চাচা চৌধুরীর মগজ কম্পুটারের চেয়েও প্রখর
লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার দাবীতে মানব বন্ধন
১২ মার্চ শনিবার
সময়- বিকাল ৪টা
স্থান- জাতীয় প্রেসক্লাব
"ঢাকায় এসিতে বসে মিসরের সাল্লুম সীমান্তের এই অনাহারী, বৃস্টি শীতে প্রায় মৃতপ্রায় এসব বাংলাদেশীদের সত্যিকার অবস্থা কেউ ভাবেন না সেটা এখানে এসে আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম...." প্রিয় সাংবাদিক মুন্নী সাহা আজকে যখন মিসর-লিবিয়া সীমান্ত থেকে এই কথা উচ্চারণ করলো তখন আবেগে চোখের পানি হয়তো আমার মত অনেকে ধরে রাখতে পারেন নি।
এ পর্যন্ত আমাদের সরকারের কোনো মাথা ব্যাথা নেই দেখে বিষয়টা একরকম নিষ্ঠুরতাই মনে হয়। বিশ্বকাপের আনন্দে আমরা ভুলে গেছি সাকিবদের বাইরেও আমাদের যে আরো একদল খেলোয়ার সাড়া বছরের ঘাম জড়ানো খেলার উপার্জন দিয়ে রাষ্ট্র নামক এই যন্ত্রটিকে সচল করে রাখছে। লিবিয়ার গোলমাল আঁচ করতে পেরে বহু রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের কে কম পক্ষে ২ সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নিয়ে এসছে। অথচ যখন বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরীক গোলাগুলিতে আহত হয় তখন টনক নড়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের।
৫০ হাজার বাংলাদেশীর মধ্যে নিজ উদ্যোগে ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সহযোগীতায় প্রায় ৪ হাজার জন ফিরে এসেছেন। বাকি দের প্রাণগুলোর কি কোনো মূল্য নেই?
আজ থেকে যদি তরুন সমাজ পথে পথে টাকা কালেকশান ও প্রেসক্লাবে মানব বন্ধনের কাজ শুরু করে এক সপ্তাহের মধ্যে সকল অর্থের সংকুলন ও পরের সপ্তাহের মধ্যেই বাকী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো যদি সামান্য সহযোগীতা করা হয়। আর তা না হলে---- আমার দেশের তরুনেরা পঙ্গু হয়ে যায়নি। এরা নিজেরা রিক্সাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, কৃষক, দিনমজুর, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও সমস্ত পেশার মানুষদের সহযোগীতায় প্লেন ভাড়া করে হলেও ভাইদেরকে নিয়ে আসতে মুহুর্তেই ঝলসে উঠতে প্রস্তুত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।