তোমাকে ভাবাবোই
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিচারপতিরা জ্ঞানী ও চরিত্রবান হলেও তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংযোজন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত শুনানিতে আপিলকারীর কৌঁসুলি এ কথা বলেছেন। ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত বাতিল চেয়ে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে আপিল বিভাগে। মার্চ ১০, বৃহস্পতিবার শুনানিতে ওই কথা বলেন আপিলকারীর আইনজীবী এমআই ফারুকী। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। গত ১ মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়।
ফারুকী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট করা হয়েছে। "এর মাধ্যমে নানা সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি, এটা খাল কেটে কুমির আনার সামিল। " বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের শাসনকাল বিচারিক বিবেচনায় আনার আনার আহ্বান জানান তিনি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।
তবে এর সাংবিধানিক স্বীকৃতি আসে ১৯৯৬ সালে। আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করা হয়। ২৭ মার্চ এটি সংসদের পাস হয় এবং ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেন। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০০৪ সালে ৪ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, সংবিধানসম্মতভাবেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, "ওই রায়ে বিচারপতিদের চরিত্রবান ও জ্ঞানী হিসাবে প্রশংসা করা হয়েছে। তারা চরিত্রবান ও জ্ঞানী হতে পারেন, তবে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নয়। " "সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যুদ্ধ শুরু হলে রাষ্ট্রপতি পূর্ববর্তী সংসদ অধিবেশন ডাকতে পারেন। সে পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কোথায় থাকবে? তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন, না কি সংসদ সদস্য হিসাবে বসবেন? তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রধান উপদেষ্টার কী হবে", প্রশ্ন করেন ফারুকী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।