শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশের মুসলমান সরকার ও জনগণ শরীয়তের কোন বিষয়ে ভুল ফায়সালা তথা শরীয়তের কোন বিষয়ে রায় দেয়ার মাধ্যমে আইন জারি করার মত ধৃষ্টতা দেখানোর জন্য জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। অর্থাৎ তাদেরকে শরীয়ত প্রণয়ন করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়নি। বরং শরীয়তের বিষয়ে বিশুদ্ধ ফতওয়া দেয়ার জন্য দেশে অনেক বড় বড় আলিমগণ রয়েছেন।
জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট বিচারপতিরা যা জানে না, সে বিষয়ে ভুল ও মনগড়া ফায়সালা দিয়ে ইসলামকে বিকৃত করতে চাইলে বিশ্বের মুসলমান তা কখনোই বরদাস্ত করবে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।
বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব ধর্ম পালন করার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। এ ক্ষেত্রে কারো হস্তক্ষেপ করার কোন রকম অধিকার কারোরই নাই। এমনকি দেশের জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদেরও না।
অর্থাৎ কোন বিচারপতির জন্যই শরীয়তের কোন বিষয়ের উপরই হস্তক্ষেপ করার বা পর্দার বিরুদ্ধে আইন জারি করার কোন রকম অধিকার নেই। তারপরও কিভাবে হাইকোর্ট “পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না” এ মর্মে রায় প্রদান করে।
এই জন্য তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
আর জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা যদি নিজেদের মুসলমান দাবি করে। সেক্ষেত্রে তারা সকলেই শরীয়তের অধীন। শরীয়তের কোন বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য বৈধ নয়। আর যদি তারা নিজেদের অমুসলিম দাবি করে সেক্ষেত্রেও কোন অমুসলিমের পক্ষ থেকে ইসলাম ধর্মের কোন বিষয়ে ফায়সালা দেয়ার কোন রকম সুযোগ বা অধিকার নেই।
তারপরও কিভাবে হাইকোর্টে দেশের মুসলমানদের সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।