পৃথিবীর অন্যতম একজন হয়ে ওঠাটা দেশের জন্য অবশ্যই গর্বের ও অহংকারের। সেই একজন যদি দেশের একজন হতে পারে তা হলে সে হয় সকলের মধ্যমনি। একান্তই আপনার সম্পদ। সে থাকে সকল কিছুর উদ্ধে। সে তখন সর্বজনীন হয়ে ওঠে।
অর্থ্যাৎ সবার হৃদয়ের মানুষ। প্রফেসর ইউনুস নোবেল জয় করে বিশ্বের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়ে উঠেন। বিশ্বে গুনিমহলে বাংলাদেশ এক অন্য রকম পরিচিতি লাভ করলো যা সত্যই আনন্দের।
যে বিষয়টি ইউনুসকে তথা বাংলাদেশকে এমন সম্মান এনে দিয়েছে তার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত দারিদ্রতা । দরিদ্র বিমোচনের যে বারনার প্রবক্তা ইউনুস তা হলো ুদ্র ঋন।
শৈশবে কাবুলিওয়ালা পড়েছিলাম সে কাবুলিওয়ালা ছিল ছোট মেয়ে মিনির খুব পছন্দের ব্যক্তি। কিন্তু কাবুলিওয়ালারা যে পেশায় এই ভারতবর্ষে এসেছিলেন তা কি ল মিনির আজো কোন উপকারে এসেছে ? ঠিক তেমনি ভাবে ড. ইউনুস হয়তো কিছূ গ্রামের কিছু মানুষের কল্যান বয়ে এনেছ কিন্তু বৃহৎ পরিশরে কল্যাণতো দুরে থাক অকল্যাণ ডেকে আনার বাঁশি বাজাচ্ছেন। সে অর্থে ঐ সময়ে কাবুলিওয়া বা মহাজন আর এই সময়ের ইউনুস দের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
ড. ইউনুস মুলত কি করেন ? ব্যাবসা না সমাজসেবা । সমাজ সেবা করে কেউ কখনো ধনী হয় না।
আবার ব্যাবসা ও সমাজসেবা দুটো সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না। একটি অপরটিকে এক সময় গ্রাস করবেই। আমরা জানি একটি দেশের দারিদ্রতা কখনই একটি প্রতিষ্ঠান একা দুর করতে পারে না। রাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক ভাবে সচল না থাকে তাহলে কোন ভাবেই দারিদ্রততা মুক্ত করা যাবে না। কিন্তু ঘোর অন্দকারের তিমির মধ্যে একটি মোমবাতি যে আলোটুকু ছড়ায় সে পরিমান আলোও গ্রামীন ব্যাংক জ্বালাতে পারে নি।
মার্কিন তথা পশ্চিমা আগ্রাসনে দ্রারিদ্রতা আমাদেরকে কফিনে ঢুকিয়ে দিয়েছে আর সেই কফিনে শেষ পেরেক মারার জন্য ইউনুস সাহেবদের মত মার্কিন এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে ড. ইউনুসকে নিয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হলো গ্রামীন ব্যাংকে প্রধান পদে দীর্ঘদিন ধরে অধিষ্ঠ হয়ে আছে তিনি। তার যুক্তি হলো তিনি তার অবর্তমানে গ্রামীন ব্যাংক চালানোর জন্য কোন যোগ্য লোক পাচ্ছেন না। যোগ্য লোক পেলে তিনি বহু আগেই ঐ পদ ছেড়ে দিতেন। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান এত বছরেও একটি যোগ্য লোক তৈরী হলো না, বিষয়টি সত্যই অযৌক্তিক।
আমদেরতো মনে হয় দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থনীতি বিদ বা জ্ঞানী লোক আছেন যারা শুধু দেশে নয় বিদেশেও যথেষ্ঠ প্রতিভার স্বার রাখছেন। এ ছাড়া সরকার যখন প্রত্য বা পরো ভাবে তাকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছেন তখন তার ৮৫ ল দরিদ্র মানুষ আন্দোলন করছে না কেন ?
সবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্টের কেনো প্রশাসন এত নগ্ন ভাবে ব্যাক্তি ইউনুসকে একটি দেশের চেয়েও প্রাধ্যন্য দিচ্ছে ? যেখানে বিষয়টি একটি দেশের নিতান্তই আভ্যন্তরীন বিষয়। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো বিশেষ পরাশক্তির কাছে বাংলাদেশের চেয়েও একজন ব্যাক্তি বেশী গুরুত্বপূর্ন ? যাই হোক, সরকার ভুল করছে কিনা সে বিতর্কে যাবো না। তবে আপনি মেধাবী, আপনার যোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোন সংশয় নেই। এই মাটি যেমন গর্ব করে রবীন্দনাথ, নজরুল, শেখ মজিবকে নিয়ে তেমনি গর্ব করে আপনার মত সন্তান কে জম্মদিয়ে।
এই গরীব দু:খী দেশ শুধু স্বপ্ন দেখতে জানে আর আশাহত হবার পরও আশায় বুকে বাধে। একদিন নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রিয় জম্মভুমির সহজ সরল মানুষ গুলো নিয়ে ব্যবসা না করে পশ্চিমা যড়যন্তের নাগপাস ছিন্ন করে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে আসবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।