অদ্ভুত পৃথিবী তরুন প্রজন্মের নেতা ,বাংলাদেশের দ্বিত্বীয় মুক্তিযুদ্ধের নেতা ,ব্লগার অ্যাক্টিভিস্ট নেটওর্য়াক এবং গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে আমারদেশ যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তা তরুন প্রজন্মের কাছে খুবই বিব্রতকর। প্রথমে ইমরান ভাইয়ের পরিচয় সর্ম্পকে পরিষ্কার ধারনা থাকা দরকার ।
নামঃ ইমরান এইচ সরকার
বাবাঃ আবদুল মতিন সরকার
দাদাঃ খয়ের উদ্দিন সরকার
জন্মঃ ১৯৮৩
জন্ম স্থানঃ বালিয়ামারী বাজারপাড়া
উপজেলাঃ রাজীবপুর
জেলাঃ কুড়িগ্রাম
পেশাঃ ডাক্তার
আগেই বলে রাখি রাজীবপুর উপজেলা বাংলাদেশের মধ্য-উত্তর অবস্থিত জামালপুর জেলার উত্তর প্রান্তে কুড়িগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন উপজেলা । মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জামালপুরের ব্ক্সীগঞ্জ উপজেলা ,রাজীবপুর আর রৌমারি এই তিন থানা পাকবাহিনির আওতা মুক্ত ছিল। এখানে কোন সময় মুক্তি যুদ্ধ হয়নি ।
এই জায়গায় বাংলাদেশের প্রথম পোষ্ট অফিস ছিল ।
আমারদেশ যা লিখেছে তার কিছু অংশ তুলে ধরলাম
শাহবাগের নেতা ইমরান এইচ সরকার, একই সাথে ছাত্রলীগ ও স্বাচিপ
তার দাদা খয়ের উদ্দিন হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত স্থানীয় রাজাকার
গ্রাম বালিয়ামারী বাজারপাড়া, উপজেলা রাজীবপুর, জেলা কুড়িগ্রাম
১৪ জুন, ১৯৭১-এ বল্লমগিরি বিলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত
দেশ স্বাধীন হলে প্রাণ বাঁচাতে রাজাকারপুত্র মতিন সরকারের সিপিবিতে যোগদান
এই মতিন সরকারই ইমরান এইচ সরকারের বাবা
মৃত খয়েরের দারোগা চাচা শ্বশুড়ের প্রভাবে ১৯৭২ সালে 'শহীদ পরিবার' হিসেবে তালিকাভুক্তি
এবং কন্যা মাধবী (ইমরানের ফুপু)-র নামে সরকারী বাড়ি বরাদ্দ
পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আ'লীগ নেতাদের প্রতিবাদের মুখে বরাদ্দ বাতিল
এখন আমার কথাঃ
স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে খয়ের উদ্দিন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে থাকে তাতে দোষের কিছু না , তিনি রাজাকার নন কারন সেখানে কেন পাকিস্থানী সেনাবাহিনি যায়নি ,তিনি কি ভাবে তাদের সাথে আতাত করলেন ?
তার বিরুদ্ধে কোন ধর্ষনের অভিযোগ নেই, মানুষ হত্যার অভিযুগ নেই ,ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ নেই তাহলে তিনি কি ভাবে রাজাকার বা মানবতবিরোধী অপরধী হন?
আমারদেশের কথা অনুযায়ী ঃ
এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মাঝামাঝি সময়ে একদিন এলাকার জিঞ্জিয়া নদী দিয়ে নৌকায় করে মুক্তিযোদ্ধারা যাচ্ছিলেন। আরেকটি নৌকায় করে নিকটবর্তী ভারতের কালাইয়েরচরের বাজারে যাচ্ছিলেন রাজাকার খয়ের উদ্দিন। তার নৌকায় আরও অনেক যাত্রী ছিল। পাশের নৌকায় যে মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন, তিনি জানতেন না।
রাজাকার খয়ের উদ্দিন শেখ মুজিবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নানা কথা বলেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা তার সম্পর্কে খবর নিয়ে বিএসএফের সহযোগিতায় তাকে পাকড়াও করে। একদিন তাকে কৌশলে মাখনেরচর ও বল্লমগিরি বিল এলাকায় নিয়ে যায় এবং হাঁটুপানিতে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
আমার কথাঃ এখানে দেখা যায় "শেখ মুজিবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নানা কথা বলেছিলেন।
একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করছিলেন"
এই জন্য মুক্তি যোদ্ধারা তাকে হত্যা করে । তাকে হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধারা অন্যায় করেছিল । কারন তার বিরুদ্ধে হত্যা করার মত তেমন অভিযোগ ছিল না । এখানে থেকে বোঝা যায় চাঁদেরও কলঙ্ক আছে ।
ইমরানের দাদার এই সামান্য অপরাধের কারনে যদি তাকে হত্যা করা হয় তাহলে যারা এত বড় বড় অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন তিনি বিচার চাইতে পারবেন না ?
এতে তার দোষ কোথায়? তাকে সবার ধন্যবাদ জানানো উচিৎ কারন তার দাদা কথিত রাজাকার হওয়া সত্ত্বেও তিনি রাজাকার দের ফাঁসি চাচ্ছেন ।
ইমরানের ভুল যেথায় ঃ
১। তার এই দাবিটা সঠিক না যে তার দাদা একজন সার্টিফাইড মুক্তি যোদ্ধা ।
২। তার যখন তখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছিল সবচেয়ে নেতি বাচক।
৩।
আযাচিত ভাবে বঙ্গবীরের বিরুধে বিষেদ্বগার ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।