কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু হয়েছে। সীমান্তের পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরের প্রায় ৩শ' একর জমি ভারতীয়রা দখলে নেয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পদ্মায় ভেঙে যাওয়ার আগে সেখানে বাংলাদেশীদের জনবসতি থাকলেও এখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধার মুখে বাপ-দাদার পৈত্রিক ভিটায় ফিরতে পারছে না সেখানকার কয়েক হাজার মানুষ। এসব জমি ভারতের দখলে চলে গেলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে সীমান্তবর্তী ৫টি গ্রাম। বাংলাদেশী ভূমি জরিপ বিভাগ একাধিকবার ভারতীয় ভূমি জরিপ বিভাগের সাথে বৈঠক করে বিষয়টি সুরাহা করতে না পারায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, পদ্মা নদীর জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর এখন সবুজ ফসলে ভরে উঠলেও ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এ চরে ছিলো দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মহম্মদপুর, চাইডোবা, ডাঙেরপাড়া, ইনছাফনগর ও পূর্ব খারিজাথাক নামের ৫টি গ্রাম। পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে গত কয়েক বছরের মধ্যে এ গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যায় নদীগর্ভে। তবে ৪-৫ বছর আগে বিলীন হওয়া ওই গ্রামগুলোর বিশাল এলাকাজুড়ে চর জেগে ওঠে। পরে পলি পড়ে সেসব জমি আবাদযোগ্য হয়ে উঠলে বাংলাদেশীরা সেখানে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে তারা ওই জমিতে যেতে পারছেন না।
জমিতে গেলেই বিএসএফ তাদের তাড়া করছে। বিএসএফ বলছে এ জমি ভারতীয়দের। আবার কোনো কোনো কৃষক এসব জমিতে ফসল আবাদের সুযোগ পেলেও এর জন্য বিএসএফকে দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সীমান্ত এলাকাবাসীর মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে
লিনক.
http://www.aajkalca.com/link.html
Vol. 08 Issue 08 : Friday, March 04, 2011
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।