একজন বাংলাদেশি অন্যজন ভারতীয় : বিডিআরের রিপোর্টে দুজনই ফেনসিডিল ব্যবসায়ী । ঠাকুরগাঁওয়ের ধর্মগড় সীমান্তের ভারতীয় অংশে বিএসএফের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। নিহতদের একজন বাংলাদেশি, অন্যজন ভারতীয় নাগরিক বলে বিডিআর সূত্র জানিয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে মেইন পিলার ৩৭৩-এর ওপারে মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও বিডিআর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোরে ভারত থেকে আসার সময় বধু মিঞা (৩৫) নামে এক ভারতীয় নাগরিক ও কাইয়ুম (৩০) নামে এক বাংলাদেশী ২৩ বিএসএফ শ্রীপুর ক্যাম্পের টহল দলের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এক পর্যায়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তারা দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিতে ঘটনাস্থলেই বধু মিঞা নিহত হয়। তার লাশ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গে ঝুলে ছিল। নিহত বধু মিঞা ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের গোয়ালপুকুর থানার বড়াবাড়ী গ্রামের মংলুর ছেলে।
অন্যদিকে বাংলাদেশী নাগরিক কাইয়ুম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে আসতে সক্ষম হয়। সীমান্তের গ্রামবাসীরা তাকে ভ্যানে করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পথে ধর্মগড়েই তার মৃত্যু হয়। কাইয়ুমের বাড়ি হরিপুর উপজেলার কাঠালডাঙ্গী বাজারে। তার বাবার নাম আবদুল কাদের।
বিডিআরের রিপোর্টে নিহত দুজনকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বিডিআর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
বিডিআর ২০ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহফুজ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।