বাংলাদেশের ৫৮ রানে অলআউট কেউ মেনে নিতে পারছে না। আর মেনে না নেয়াটাই স্বাভাবিক। নিজ দেশে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কিছুই বলার থাকে না। তবু বলবো আমাদের সবাইকে নিরাশ হলে চলবে না। এই ক্রিকেট আমাদের বিশ্বের দরবারে সুন্দর ভাবে পরিচিত করেছে।
৫৮ রানে অলআউট একটা এ্যাকসিডেন্ট মনে করে আমাদের আবার খেলায় মনোযোগী হতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমিদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন ক্রিকেটের ভালোর জন্যেই। আর ক্রিকেট যেহেতু আমাদের হ্রদয়ে স্থান করে নিয়েছে তাই এই দলটির নির্বাচকদের বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। তারা যাতে ক্রিকেটকে রাজনীতিকরণ করতে না পারে আমাদের সেই ভাবে জনবল তৈরী করতে হবে।
গত তিনটা ম্যাচই বলে দেয়, আমাদের ব্যাটসম্যানের অভাব।
এখানে আফতাব, অলক কাপালী, শাহরিয়ার নাফিজ, মাশরাফিদের অভাব মারাত্বকভাবে অনুভূত হয়েছে। মুশফিককে দিয়ে যে কিছুই হবে না, সেটা বারবার প্রমানিত হয়েছে। এতো খাটো উইকেটরক্ষক কোনদিনই উইকেটের পিছনে ভালো কিছু করতে পারবে না। আর মুশফিক ব্যাটিং করতে নামলে দেখা যায় উনি ভীত থাকেন মানে পা কাপাকাপি। তার এই জায়গাটাতে এখনই অন্য কাউকে আনতে হবে।
আশরাফুলতো কুফা খেতাবে ভূষিত হয়েই গেছে। ও দলে থাকলে টিম স্পিরিট থাকে না সেটা একেবারেই পরিস্কার। আর তার খেলার কথা নাইবা বললাম তাতো সবারই জানা।
সাকিব আল হাসানকে দলনায়ক করার খেসারত বাংলাদেশকে আরো দিতে হবে। তার কারণ আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বেশী চাপ সহ্য করতে পারে না।
বাংলাদেশের এক নম্বর এই খেলোয়ারটির খেলোয়ারীর বারোটা বাজানো হবে এই অধিনায়ক করেই। আমি সব সময়ই মনে করি অধিনায়ক হোক বোলারদের মধ্যে কেউ। সাকিবকে খেলতে দিতে হবে টেনশন না দিয়ে। আর সাকিবকে কেনো যেনো হিংসুটে মনে হয় আমার কাছে। কেনো মনে হয় তা হয়তো কারো অজানা নয়।
আর রকিবুলকে টেস্ট দলে রাখা হোক। ওয়ানডে দলে ওকে মানায় না। শফিউলের বলে কোনো ছন্দ নেই। এমন বল করতে পারে যে কেউ। মাশরাফির পরেই আমার কেনো যেনো শাহাদাৎ হোসেন রাজীবকে মনে পড়ে।
ও থাকলে এতোদিনে অনেক ভালো করতে পারতো। রাসেলও ভালো খেলতো। আর রুবেলতো তার যোগ্যতা প্রমানের সুযোগই পেলো না। তবে ওর বলে ভালো পেস আছে। আশা করি ও ভালো করবে।
যাই হোক লেখাটা আর বাড়ালাম না। আশা করি অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা রইলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।