অন্ধকার দেয়ালে তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে.....
ম্যাচে হারা দুনিয়ার কোনো দলের জন্যই নতুন নয়। আর আমরা বাংলাদেশ টীমের সাপোর্টার। আমরা তো জয়ের জন্য চাতক পাখির মত বসে থাকবই। কিন্তু তারপরেও পরাজয়ের পর খর কুটো আকড়ে থাকার মত সবসময় বলি-
লস্ট ??? ইয়েস.....হিউমিলিয়েশন???নো !!!!
কিন্তু আজ ওয়েষ্ট ইন্ডিজের কাছে সেইরকম ভাবে হারার পর তা বলার সুযোগ নেই। বলতে হচ্ছে-‘লষ্ট?? ইয়েস...।
হিউমিলিয়েটেড??? অফ কোর্স!!’
আজকের খেলা দেখে অদ্ভূদ অনূভুতি হলো। সেই ১৯৯৭ সালের নান্নু আকরামদের আমল থেকে খেলা দেখে আসছি। কিন্তু এতটা লজ্জা কখনো পাইনি (অন্তত মনে পড়ছে না)। মনে আছে '৯৯ বিশ্বকাপে দলকে কঠিন অবস্থা থেকে টেনে তুলতেন নান্নু-দুর্জয়েরা। ২০০৩ বিশ্বকাপে ব্যাপক ব্যার্থতার পরেও লুঙ্গী বাঁচাতেন পাইলট- কাপালীরা।
কিন্তু আজ আমাদের দলে আছে বিশ্বের এক নাম্বার অল রাউন্ডার। দলে আছে ওয়ান অফ দা মোষ্ট ডেসট্রাকটিভ ওপেনার। কিন্তু তারা কেউ লুঙ্গি বাচাতে পারলেন না। ওয়েষ্ট ইন্ডিজ আমাদের সর্বস্ব লুটে নিল।
আসলে খেলা শুরুর আগেই টিভিতে সিধুর অসভ্যতা দেখে মনে কু ডাকছিল।
সিধু চ্যালেঞ্জ করে বললেন গত ১০ বছর বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হয় নাই। আমাদের সাকিবেরা যে সিধুর এত ভক্ত জানতাম না। সিধুর কথা প্রমানে তারা নেমে পড়লেন।
তামিমের কি দোষ দেব। সে ইনজুরি আক্রান্ত।
আগের দু ম্যাচে রান করেছে। তাছাড়া পরের ম্যাচে হোম ক্রাউডের সামনে খেলতে হবে। সব মিলিয়ে যা করার ১ ওভারেই করতে হবে ভেবে দে বাড়ি। ০ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে বিশ্রাম নেয়াটা তার জরুরী ছিল।
তা হয়ত ছিল,কিন্তু বেলুন ফুটা হলে যেমন বাতাস বেরিয়ে আসে,এর মাধ্যমে আমাদের ব্যাটিং অর্ডারেও ফুটার সৃষ্টি হল।
আর সেই ফুটা দিয়ে বাতাসের মত বেরিয়ে এলেন মুশফিক,জুনায়েদ, সাকিব।
হ্যা,সাকিব। যিনি পেপসি খেয়ে সুপার স্কুপ খেলা শিকেছেন। সুলেমান বেনের সাদা মাটা বলটি কুতকুত খেলা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুপার স্কুপ করতে উদ্যোত হয়েছিলেন। কিন্তু যখন বুঝলেন ইহা কুত কুত খেলা নহে,ততক্ষনে সুপার বোল্ড।
সব দোষ পেপসির।
মাঝখানে আশরাফুল ভাইজান এসে অসাধারন বাউন্ডারির সহায়তায় ১১ টি মূল্যবান রান করে গেলেন। বাউন্ডারি মেরে দাত কেলিয়ে বুঝিয়ে দিলেন,হয়ত তিনি স্বনামধন্য বোলার,তার নাম শুনলে ব্যাটসম্যানদের পা কাঁপে,কিন্তু ব্যাট হাতেও তিনি চার মারতে সক্ষম।
আসলে হাসিনা-খালেদার পর যে ব্যক্তিটি বাঙালি জাতিকে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রনা দিয়েছেন তিনি এই আশরাফুইল। উনাকে দিয়ে হালচাষ করালে সেই ক্ষেতের জমি বালু হয়ে যাবে।
গত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সাথে জয়ের পর উল্লাস দেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, আয়ারল্যান্ডের সাথে জিতেই এই অবস্থা। বড় দল কে হারালে কি হবে??
অধিনায়ক কে আর চিন্তা করতে হলো না। তার দলের খেলোয়াড়েরা নিশ্চয় তাকে চিন্তা মুক্ত করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।