গত দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙন চললেও মঙ্গলবার থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে বলে জানান ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা।
জেলার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর, পাঁচগাও, চরজুজিরা, সাধুর বাজার, ওয়াপদা বাজার, ওয়াপদা লঞ্চঘাট, বুন্নাগ্রামসহ আশেপাশের আরো প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন চলছে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক রামচন্দ্র দাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি লিখেছি ত্রাণ ও ঘর তৈরির উপকরণের জন্য।
এছাড়া জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চরজুজিরা গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পদ্মার শোঁ শোঁ শব্দ শুনতে পাই।
“হঠাৎ বিকট শব্দে আমাদের বাড়ির পাশের অনেকখানি জমি নদীতে টান মেরে নিয়ে গেল।”
একই গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, রাতের অন্ধকারে পদ্মার ভাঙ্গনে আমাদের বাড়ির সবগুলো ঘর ও গাছ-পালা নদীতে বিলীন হয়েছে।
“নিজেদের জীবনটুকু ছাড়া আর কিছুই বাঁচাতে পারিনি। কোথায় গিয়ে থাকব, সামনে ঈদ, কীভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঈদ করব তাও জানি না।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।