আসুন আমরা সবাই একটি পরিচয়ে একাত্ব হয়। পরিচয়টি হলো 'বাংলাদেশী'।
নানান কর্মব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ করে জানলাম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে বিধিসম্মতভাবে বহিঃস্কার করা হয়েছে। তার পর থেকেই কিছু প্রশ্ন আমার মনে বারবার উঁকি দিচ্ছে। সেগুলো হলো:
১।
তাহলে কি এরপর থেকে বাংলাদেশে সব কিছু বিধি মোতাবেক হবে?
২। যদি না হয়, তাহলে সমগ্র বিশ্ববাসী যাকে সম্মান করে, যিনি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী; সেইরকম একজন ব্যক্তিকে এইভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য কি?
৩। শেখ হাসিনা কি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রফেসর ইউনূসের দল গঠনের উদ্যোগের জন্য এভাবে শাসন করছেন? নাকি ব্যক্তিগত কোনো আক্রশ আছে-আমরা যেটা জানিনা?
৪। শেখ হাসিনা কি মনে করেন, প্রফেসর ইউনূস নোবেল পুরস্কার না পেলে উনিই সেটা পেতেন? সেই প্রতিদ্বন্দীতার বহিঃপ্রকাশ এটা নইতো?
৫। জয় যে লিংক আমেরিকার সাথে করেছে (যেমন বিশাল বড় মাপের সেনা অফিসারের সাথে ইসলামবিরোধী প্রবন্ধ লিখেছেন), সেখানে প্রফেসর ইউনূস কি কোনো সমস্যা? নাকি উনারা চান না বাংলাদেশের আর কারও সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভাল থাক?
৬।
'মুজীবীয় কায়দায় আওয়ামীলীগকে গ্রামীণ ব্যাংক কেনো বেশী পরিমাণ অর্থ-সাহায্য করে না'--এটাও কি একটা কারন? এবং শেষ প্রশ্ন
৭। হাসিনা কি ভাবছেন এটাই তার শেষ ক্ষমতা ভোগের সময়? এটাই তার খায়েশ মেটাবার শেষ সময়? তাহলে উনি কি ২০১৪ সালের পর দেশ ছাড়ছেন? আমরা কি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছি?
আমি যানি না এগুলোর উত্তর কি। তবে উত্তরগুলো আওয়ামীলীগ ও আমাদের সকলের জন্য যে ভাল হবে না তা আমি নিশ্চিত.... ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।