আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিআরএস ছাপিয়ে দুর্দান্ত ক্লার্ক

ব্যালকনিতে সবার আগে লাফিয়ে উঠলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর বাকি সতীর্থরা, মাঝের ২২ গজে দুহাত উঁচিয়ে মাইকেল ক্লার্ক। দাঁড়িয়ে তখন পুরো গ্যালারিই। গুমোট ভাবটা কেটে গিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তখন প্রশান্তির নির্মল বাতাস। বিতর্কের দিনটা শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল ক্লার্কের দিন।

খানিকটা স্বস্তির ছোঁয়া যেন দুবাইয়ে আইসিসির হেডকোয়ার্টারেও!
ডিআরএসকে আরও নিখুঁত করে তুলতে এই টেস্ট থেকেই টিভি আম্পায়ারদের জন্য বাড়ানো হয়েছে প্রযুক্তিসুবিধা। অথচ প্রথম দিনেই কিনা তৃতীয় আম্পায়ারের এমন ভুল, সেই তিনিও আবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা! ভুলটা এমনই দৃষ্টিকটু যে আড়ালে পড়ে গেল তখন ক্রিস রজার্সের দুর্দান্ত ইনিংস, প্রথম দিনেই গ্রায়েম সোয়ানের বিশাল সব টার্ন। সব ছাপিয়ে আলোচনায় আবার শুধু ডিআরএস। শেষ পর্যন্ত নায়কের আলোয় ম্লান ওই ‘খলনায়ক’। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে আলোটুকু কেড়ে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।

স্পিন বোলিংয়ে সেই চিরচেনা ওস্তাদি, পেস বোলিংয়ে দারুণ সব ড্রাইভ—তাঁর ব্যাটিং যেমন প্রশান্তি দিল চোখ আর মনকে একেকটি শটে, তেমনি যেন আড়াল করতে থাকলেন বিতর্ককে। দিনের শেষে আম্পায়ারের ভুলও থাকছে আলোচনায়, তবে শেষ পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডের দিনটা ক্লার্কের ও অস্ট্রেলিয়ার। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথম দিনে রান ৩ উইকেটে ৩০৩। আইসিসির অন্তত স্বস্তি, আম্পায়ারের ভুলের খেসারত খুব বেশি দিতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে!
উসমান খাজার মন থেকে অবশ্য ঘটনাটা মুছে যাবে না। আলোচনায় ডিআরএস থাকলেও দায়টা এখানে প্রযুক্তির নয়।

সোয়ানের বলে কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ চান খাজা। রিপ্লেতে খালি চোখেই মনে হয়েছে বলের ছোঁয়া লাগেনি ব্যাটে, হটস্পটে ধরা পড়েনি বলের স্পর্শ। অস্পষ্ট একটা শব্দ শোনা গেলেও সেটা ব্যাট-প্যাডের বলেই মনে হচ্ছিল। অথচ মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই রেখে দিলেন টিভি আম্পায়ার! পরে স্নিকোমিটার নিশ্চিত করল, আউট ছিলেন না খাজা।
অথচ এর আগ পর্যন্ত চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রথম দিনটিকে রাঙাচ্ছিলেন রজার্স।

ওয়াটসনের সঙ্গে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙার পর খাজার ওই সিদ্ধান্তে সব গড়বড়। ধারাভাষ্য আর টুইটার জগতে ডিআরএস-ঝড়। মঞ্চে আবির্ভাব ক্লার্কের। সোয়ান তখন হুমকি হয়ে উঠছেন, খাজার পর ফিরিয়েছেন রজার্সকেও। কিন্তু ক্লার্ক দেখালেন স্পিন কীভাবে খেলতে হয়।

সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন স্মিথও, দিনের শেষে দুজন মাঠ ছেড়েছেন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে। দুই-দুবার ইংল্যান্ডের রিভিউ থেকে বেঁচেছেন স্মিথ, এর শেষটিতেও আছে বিতর্ক। ডিআরএস তাই আলোচনার খোরাক হচ্ছেই। দিনটা তবু ক্লার্কের, তাঁর অসাধারণ ব্যাটসমানশিপের! তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।