আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপুরায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা-তোমাকে সরি,... তোমাকে অনেক ভালোবাসি

আমি চাষার ছেলে, আমার গা দিয়ে কয় মাটির গন্ধ....

তোমাকে সরি, আমার জন্মদিনের কথা তোমার মনে থাকে না। আমাকে ১০ মিনিট সময় দেয়ার মত সময় তোমার নেই। দোলার চেহারা অনেক ভালো, দোলা জিন্সের প্যান্ট পড়লে সুন্দর দেখায়, দোলা শাড়ী পড়লেও তোমার কাছে চমৎকার লাগে। আমার থেকে দোলাকে ভালো দেখায়। তারপরও আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, অনেক ভালোবাসি।

- চিঠিটি তার খাতায় লেখা। আর খাতাটি বীথির লাশের পাশে পড়েছিল। গতকাল সোমবার সকালে রামপুরা থানা পুলিশ বনশ্রী ই-ব্লকের একটি বাসা থেকে রাফানা আক্তার বীথির লাশ উদ্ধার করে। রামপুরা থানা সূত্রে জানা গেছে, বনশ্রী ই-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৪৩ নম্বর বাড়ির ৭ম তলায় বখতিয়ার চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রাফানা আক্তার বীথি ভাড়া থাকেন। গতকাল সকালে বাড়ির মালিক আবু ইউসুফ ওই বাসার দরোজা আটকানো দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ বাসার দরোজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। বাসার শয়ন কক্ষের খাটের পাশে রাফানা আক্তার বীথি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এই লাশের পাশে কয়েক পাতা ট্রিপট্রিন এবং একটি খাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ ধারণা করছে পারিবারিক কলহের জেরে রাফানা আক্তার বীথি আত্নহত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রাফানার মা নাজমা বেগম জানায়, বখতিয়ারের আগে একজন স্ত্রী ছিল। দার নাম দোলা। দোলার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ার পর তার মেয়ে বীথির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় বখতিয়ারে সঙ্গে বীথির বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে বীথি এবং বখতিয়ার বনশ্রীর এই বাসায় ভাড়া থাকে। বিয়ের পর থেকে বখতিয়ার বিভিন্ন সময় দোলার কথা বলে বীথিকে খোটা দিত। এমনকি নামা ব্যাপারে বখতিয়ার বীথিকে তাচ্ছিল্য করতো। এসব কারনে অভিমানে বীথি আত্নহত্যা করেছে। বাড়ির মালিক আবু ইউসুফ জানায়, গতকাল সোমবার সকালে বখতিয়ার তাকে মোবাইল ফোনে জানায় গতরাত থেকে বাসার দরোজা বন্ধ।

একারনে সে বাসায় ঢুকতে পারেনি। বখতিয়ার তাকে অনুরোধ করে বলে ‘ চাচা বাসায় গিয়ে একটু দরোজা খোলার ব্যবস্থা করেন। ’ এ পরিস্থিতিতে তিনি বাসায় গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে ঘরের দরোজা বন্ধ। পরে পুলিশকে ডেকে এনে বাসার দরোজা খোলেন এবং ভেতরে বীথির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি আরো জানান, বখতিয়ার এবং বীথিকে দেখে বোঝা যেত না তাদের মধ্যে এক ধরনের দুরত্ব রয়েছে।

তারা সব সময় হাশিখুশি থাকতো। বাড়ির দারোয়ান জানায়, গত রবিবার রাত ১১ টার দিকে বখতিয়ার বাসা থেকে চলে যায়। এসময় বখতিয়ার তাকে বলে ‘ আপনার ভাবি দরোজা বন্ধ করে রেখেছে। একটু খেয়াল করেন। ’ এরপর বখতিয়ার আর বাসায় ফেরেনি।

রমাপুরা থানার এসআই আব্দুল হক জানান, ঘরে পড়ে থাকা আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটা আত্নহত্যার ঘটনা। তবে এই দম্পতির মধ্যে সম্পর্কের টানা পড়েন চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় অভিমান করে বীথি আত্নহত্যা করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে বীথির স্বামী বখতিয়ার পলাতক রয়েছে। পুলিশ বখতিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করবে।

এছাড়া লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট জানার পর মামলাটির ব্যাপারে অন্যকোন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। ##

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।