আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকিবের কাছে তামিমের হার

দুই বন্ধুর লড়াইয়ে জয় পেয়েছে সাকিব আল হাসান। ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে তামিম ইকবালের দল সেন্ট লুসিয়া জোউকসকে ১৭ রানে হারিয়েছে সাকিবের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্স। তবে দল জয় পেলেও ব্যাটে-বলে একেবারে ফ্লপ বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। ব্যাট হাতে ৫ বলে ৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন সাকিব। সেন্ট লুসিয়ার অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির বলে উইকেটরক্ষক অ্যান্ড্রু ফ্লেচারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। দুই ওভারেই দিয়েছেন ২৯ রান। তামিম ইকবালও আহামরি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। তবে সাকিবের তুলনায় কিছুটা তো ভালোই। সেন্ট লুসিয়া জোউকসের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে ১৪ বলে ২২ রান করেছেন তিনি।

চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে এই রান করেন তিনি। তামিম ইকবালও আউট হয়েছেন সাকিবের মতো উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। অ্যাশলে নার্সের বলে উমর আকমলের কাছে ক্যাচ দিয়ে ২২ রানেই বিদায় নেন তামিম। তবে বাংলাদেশের ওপেনারের বিদায়ের পর হারতে হয়েছে সেন্ট লুসিয়াকেও।

সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলেও তার দল বার্বাডোজ প্রথম ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে।

১৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় তামিমের সেন্ট লুসিয়া। ১৭ রানে জয় তুলে নেয় বার্বাডোজ।

ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচ। ঘরের মাঠ বলে এগিয়ে ছিল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্স। তাই টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বার্বাডোজের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।

কিন্তু ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। মরকেলের বলে ফ্লেচারকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথ। ৩০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন, ১১ রান করে আউট হন চার্টার। দলীয় ৪৭ ও ৪৮ রানে আরও দুই উইকেটে পতন। সাকিব আল হাসান ও উমর আকমলকে সাজঘরে পাঠিয়ে উল্লাস করেন সেন্ট লুসিয়ার ক্রিকেটাররা।

কিন্তু সেই উল্লাস স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম উইকেটে শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে পোলার্ড ৮৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় ৭৮ রান করে মালিক বিদায় নেন। মাত্র ৫১ বলে আটটি বাউন্ডারি ও একটি বিশাল ছক্কায় এই রান করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। শেষ দিকে তো ঝড় তুলেছিলেন পোলার্ড।

তার ৪৬ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৬৯ রান করে বার্বাডোজ।

জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সেন্ট লুসিয়ার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তাদের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৫৭ রান। কিন্তু তামিম ইকবাল আউট হয়ে যাওয়ার পর রানের গতি কমতে থাকে। উইকেটও পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে।

লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তো রীতিমতো যাওয়া-আসার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। শেষের ২৩ রানেই পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে। ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় সেন্ট লুসিয়ার ইনিংস। ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন অ্যান্ড্রু ফ্লেচার। এছাড়া ১৬ বলে ৩৫ রান করেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। বল হাতে মাত্র ১৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বার্বাডোজের পোলার্ড। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হোল্ডার, নার্স ও ইমরিট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শোয়েব মালিক।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।