আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারি দলের আচরণ নরমাল মনে হচ্ছে না

সিটি করপোরেশনে হেরে যাওয়ার পর সরকারি দলের কথাবার্তা-আচরণ নরমাল মনে হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে বিএনপিকে বাদ দিয়ে তারা নির্বাচন করে ফেলতে পারে। '৮৬ সালে এমন একটা নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই অবস্থা এখন আর নেই। দল হিসেবে বিএনপি এখন অনেক সংগঠিত।

তাদের সঙ্গে আরও অনেক দল আছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়কের ব্যাপারে তাদের সঙ্গে একই ভাষায় কথা বলছেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কর্নেল অলি, কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব। সিপিবিও বলছে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ অনেকটা কোণঠাসা হয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আওয়ামী লীগ তাদের মতো করে নির্বাচন করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।

গত বুধবার এনটিভির টক-শো 'এই সময়'-এ নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। জহিরুল আলমের উপস্থাপনায় তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে একটা উদ্বেগজনক অবস্থা বিরাজ করছে। বিরোধী দল বলছে, ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি। সরকারি দলের অনমনীয় ভাব। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা অস্বস্তি ও উদ্বেগ কাজ করছে।

এর প্রতিফলন ঈদের পর ঘটবে কিনা বা ঘটলে কী ঘটবে সেটা নিয়ে মানুষ চিন্তিত। গতকাল আইন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে। অতএব বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের চিন্তা একেবারেই চিত্রকল্প নয়। নিউজ টুডে সম্পাদক বলেন, তবে আশার আলো একটা আছে। দুই দলই এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এবং দলকে প্রস্তুত হতে বলেছেন। পাঁচ সিটিতে বিজয়ের পর বিএনপিও তাদের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। তাদের অনেকে বলছেন, পাঁচ সিটিতে মানুষ যদি 'না' বলে তাহলে সারা দেশে কি 'হ্যাঁ' বলবে? আবার আওয়ামী লীগ বলছে, শহরাঞ্চলে তাদের ভোট কিছুটা কমলেও গ্রামের মানুষ তাদেরই সমর্থন করছে। দুই দলই যদি মনে করে আমরাই জিতব, তাহলে নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের দেশে সবসময়ই 'ভিলেন টু দ্য লুজার্স'।

অর্থাৎ নির্বাচনে যারা হেরে যায় তাদের কাছে নির্বাচন কমিশন ভিলেনে পরিণত হয়। তাই নির্বাচন কমিশনকে খুবই ব্যালেন্স করে চলতে হয়। সব দলের কনফিডেন্স আদায় করা একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, দুই দিক থেকেই কমপ্লেইন গেছে, কিন্তু কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ আরপিও পরিবর্তন করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

এই মুহূর্তে সেটা কোনো দরকারই ছিল না। এখন দরকার একটা ভালো ভোটার তালিকা করা। জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেগুলো না করে আরপিও নিয়ে মাতামাতিকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছে। অনেক পত্রিকা লিখেছে 'আজিজের পথেই রকিব হাঁটছে'।

এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমার মনে হয় না।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.