টানা তিন ম্যাচ জিতে কোহলির ভারত সিরিজ নিশ্চিত করেছে আগেই। চতুর্থ ম্যাচে নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করার কিছু ছিল না। তবে অধিনায়ক কোহলি জিম্বাবুয়েকে এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নন। দলপতির লড়াকু মনোভাবের জন্যই ভারতের জয়টাও এসেছে খুব সহজে। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধান করল কোহলির দল।
এখন বাকি রইল হোয়াইটওয়াশ। ভারতীয় বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে বুলাওয়েতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০.৫ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত। বাড়তি কোনো চাপ ছিল না। তাই কালকের ম্যাচে কোহলি এক সঙ্গে সুযোগ দিয়েছেন দুই তরুণ ক্রিকেটার চেতেশ্বর পুজারা ও মোহিত শর্মাকে।
পুজারার শুরুটা ভালো না হলেও অভিষকেই ম্যাচ সেরা হয়ে বাজিমাত করলেন মোহিত শর্মা। ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর পুজারা অভিষেকটা মোটেও ভালো হয়নি। শেখর ধাওয়ানের পরিবর্তে ওপেন করতে নেমে 'অপয়া' ১৩-র ফাঁদে আটকে গেছেন তিনি। তবে গতকাল জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পুজারা ছাড়া আর উইকেটের পতন ঘটেনি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়না মিলে অপরাজিত ১২২ রানের জুটি গড়ে ভারতকে সহজ জয় এনে দেন। রোহিত ৬৪ এবং ৬৫ রানে অপরাজিত ছিল রায়না।
কালকের ম্যাচে মূলত জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের পরই ভারতের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ওয়ানডেতে ভারতের মতো শক্তি লাইনআপের বিরুদ্ধে যে ১৪৫ রানের টার্গেট ডাল-ভাতের মতো। ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
দলীয় ৪৭ রানের পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তারপরে চিগুম্বুরার লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৪ রান করেছিল। ভারতের পক্ষে ২৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন অমিত মিশ্র। মোহিত ছাড়াও দুই উইকেট নিয়েছেন রবিন্দ্র জাদেজাও। মোহাম্মদ সামি ও জয়দেব উনকদ একটি করে উইকেট পেলেও রান দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ছিলেন খুবই হিসেবী।
সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামীকাল বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।