আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিরপুর ষ্টেডিয়াম ও কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত



মিরপুরে বাসা হওয়ার সুবাদে প্রায় প্রতিদিনই যাচ্ছি মিরপুর ষ্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপের আগের দিন বা খেলার দিন। ভারতের সাথে হারার পর একটু যেন মানুষের জোয়ার কমেছিল। যাইহোক টিকেট না পাওয়াতে খেলা বাসায়ই দেখলাম। খেলা শেষ হতেই বউ বাচ্চা নিয়ে ছুটলাম ষ্টেডিয়ামের দিকে।

রাস্তায় দেখরাম মানুষের বাধ ভাঙ্গা বিজয় উল্যাস। কেউ আগুন নিয়ে খেরা দেখাচ্ছে। কেউ বা বাজাচ্ছে বাশি। চলছে মিছিল, মোটসাইকেল শো, বাস শো ইত্যাদি। বাঙ্গালি যে কতোটা খেলা পাগল তারই প্রমাণ সর্বত্র।

শেষ পর্যন্ত ভিড় ঠেলে খেলয়াড়রা যে গেটে সেখানে গিয়ে পৌছলাম। ষ্টেডিয়ামের সামনে এই বিশ্বকাপে যারা আসেন নেই, তাদের বলছি,আগামি খেলার দিন একবার আসবেন। আমি সিউর আপনাদের মন ভরবে। ছেলে, মেয়ে, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা সবাই এক যোগে উপভোগ করছে বিশ্বকাপ আনন্দ। এর মাঝে দেখলাম কয়েকটা সুন্দরী মেয়ে মেয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে খেলোয়াড়দের দেখবে বলে।

আরেকটি ছেলেও বোধহয় খেলোয়াড়দের দেখার জন্য দাড়িয়েছিল। কিন্তু মেয়েদের দেখে বলল,আমার এই খেলোয়াড়দের দেখার সখ নেই। তামিম এর সাথে তো আমার প্রতিদিন দেখা হয় মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে। কথাতো প্রায় প্রতিদিনই হয়। স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েরা বলল, ওহ আল্লা তাই।

আপনের বাসা কোথায়? বলল মিরপুর ১১। এই দৃশ্যের শেষ দেখা হলো না। একটা পুলিশ আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে বাংলাদেশের ক্যাপ কিনে দিল। আমাকে তার পিছন পিছন ছুটতে হলো। এমন অসংখ্য উপভোগ্য নাটক হচ্ছে মিরপুর ষ্টেডিয়ামে।

আর কিছু শয়তান টাইপ সুন্দরী মেয়ে আছে আপনার কানের কাছে ভেপু বাজিয়ে কান জালাপালা করে দিবে। কিন্তু আপনের খারাপ লাগবেনা। বরং আপনিও আনন্দ পাবেন। অনেক বিদেশীকে দেখলাম খুব উপভোগ করছে। হারের পরও তারা খুশি বাংলাদেশের এই আনন্দ উদজাপন দেখে।

তাই দেরি না করে আপনিও একবার ঘুরে যেতে পারেন মিরপুর ষ্টেডিয়াম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.