নাগরিক সুবিধার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোর যদি তালিকা করা হয়, তবে নিশ্চিত যে তাতে শুরুর দিকেই থাকবে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাম। কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা ও কাফরুল এলাকার অলিগলি যে বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়, তা তো কারো না জানার কথা নয়।
এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতরাতের ও আজকের দিনের একটানা বৃ্ষ্টিতে তলিয়ে গেছে রোকেয়া সরনি থেকে মিরপুর-১ নম্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা আর সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজটের। যে কয়েকটি গাড়ি রাস্তায় আছে তাদের অধিকাংশই বিকল হয়ে পরেছে, বিপাকে পরেছে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও অফিসগামী মানুষেরা।
রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপ, খোলা ম্যনহোল,গাড়ীর অবাধ চলাচল জন্ম দিতে পারে যেকোন ভয়াবহ দুর্ঘ্টনার। আর এই অবস্থার মধ্যেই চলছে ওয়াসার খুড়াখুড়ির কাজ।
ঢাকা শহরের এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা। আর কতদিন চলবে এই সংকট?আর কতদিন জনগণ কে পোহাতে হবে এই দুর্ভোগ?সিটি কর্পোরেশন বা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কি ঘুমাচ্ছে?
প্রতিবার ই নতুন নতুন সরকার আসে নতুন সব অংগীকার নিয়ে। কিন্তু সেগুল বাস্তবায়নের দিকে কারো কোন খেয়াল ই নেই।
বিশ্বে যখন বইছে উন্নয়নের হাওয়া,তখন আমরা ডুবছি পানিতে। রাস্তার করুন হাল, কাদাপানি, যাঞ্জট আর গাড়ীর হর্নে ব্যতিব্যস্ত নাগরিক জীবন! এ কোথায় আছি আমরা??
যাদের বাসা নীচতলায় তাদের দুর্ভোগের কথা নাহয় নাই বললাম,অনেক এলাকায় বিদ্যুত না থাকায় সমস্যা বাড়ছে আরো। নোংরা পানির কারনে ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগ জীবাণু, যা থেকে হতে পারে কঠিন থেকে কঠিনতর রোগ। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না করলে অচল হয়ে যাবে জনজীবন,থমকে যাবে রাজধানীবাসীর জীবনের গতিময়তা। আর এ জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের সবাইকে ও এগিয়ে আসতে হবে।
আসুন আমরা সবাই মিলে ঢাকাকে গড়ে তুলি বসবাসের উপযোগ্য নগরী হিসেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।