আমি অর্থনীতির অতশত বুঝি না, শুধু বুঝি আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে চলেছে আমাদের অভুক্ত চাষা সমাজ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। চাষাদের একবেলা বা দু'বেলা খাবার দিয়ে তাদের উৎপন্ন পণ্যদিয়ে শুরু হয় ব্যবসা। সে ব্যবসার টাকা রাস্তার শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে পলিটিক্যাল লিডার হয়ে কাওরান বাজার হয়ে ঢাকার উচু তলা পর্যন্ত পৌছে যায়। আর শেষ পর্যন্ত রশদ যোগায় বাংলাদেশের নিম্নমধ্যবিত্তশ্রেণী।
আমরা হঠাৎই যেন বড় বেশী আধুনিক হয়ে পড়েছি।
যে আধুনিকতার ছোয়া শুরু হল গত ডিসেম্বরে শাহরুখের স্টেজ শো দিয়ে। আধুনিকতায় গা ভাসিয়ে দিতে আমাদের মন্ত্রীসভা মাটিতে লেপ্টে বসে পড়েছেন কিন্তু কখনও দেখিনি রাহুল গান্ধীর মত জনগণের সাথে মিশে যেতে। এবার তিন জাতি বিগ শো হবে ফেব্রুয়ারীতে। আমাদের বড়লোকশ্রেণী লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে একেকটা টিকেট কিনবেন। তারা হয়তো লাখ টাকার মর্ম বুঝেননা কিন্তু গরীব রিকসাওলার কাছে বা সন্ধ্যায় ছেড়া স্যান্ডেল হাতে নিয়ে বাড়ী ফেরা গার্মেন্স কর্মীর কাছে একটি টাকার মূল্য অনেক বেশী।
যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশ থেকে আমাদের সম্পদ পাচার হয়েছে, কখনও লুকিয়ে, কখনও প্রকাশ্যে বা কখনও জোরপূর্বক। সম্পদ আর নেই এখন পাচার হবার মতন তবে আমাদের কষ্টে অর্জিত অর্থনীতি আছে। বিদেশীরা আসছে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে কিছু এদেশী দালালরাও পকেট ভরছে।
আমাদের কি জনপ্রতি লাখ টাকার উপরে টিকিট কেটে নাচ দেখার মত অর্থনীতি আছে? আমাদের আছে কোটির উপর অভুক্ত মুখ। ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারেনা হাওড়ের বা আইলা কবলিত মানুষজন, তারাও তো এদেশেরই নাগরিক !
অনেক বেশী দরকার ঢাকার যানযট নিরশন, দরকার মনো রেল বা মেট্রো রেল।
পদ্মায় দুটি সেতুর অভাবে কতশত দু:খ দুর্দশা ভোগ করে ওপারের লোকজন।
তার পরও হুন্ডি কাজলরা টাকা মেরে ফুটে পড়বে, ডেস্টিনি, ইউনিপে টু ইউ লোকেরাও সরকারকে বখরা দিয়ে লোভী জনগণের ন্যাংটো করে ছাড়বে। এ যে বাংলা !! মীর জাফরদের এখানেই জন্ম হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।