রাশিয়া বৃহস্পতিবার স্নোডেনকে সেদেশে প্রবেশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দর থেকে তাকে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। সিআইএ’র সাবেক এ গোয়েন্দাকে রাশিয়ায় সাময়িক আশ্রয়ের এ ব্যবস্থা করে দেয়াটা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চপেটাঘাতের মতোই।
এ পরিস্থিতিতে ওবামা সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পরিহারের দৃষ্টান্তস্বরূপ সেপ্টেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় মস্কো সম্মেলন বাদ দেবেন কিনা তা ভেবে দেখছে হোয়াইট হাউস।
সেন্ট পিটারসবার্গে সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ফাঁকে পুতিন-ওবামা বৈঠকের কথা রয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, “স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমাদের পরিষ্কার ও আইনগত অনুরোধের পরও রাশিয়া সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদেরকে মারাত্মকভাবে হতাশ করেছে”।
ওবামার সঙ্গে রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ম্যাক কেইনও মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাশিয়ার এ আচরণের চরম প্রতিক্রিয়া দেখানো। আর তাই পুতিন-ওবামা শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ওদিকে, স্নোডেন তার আশ্রয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ায় রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তিনি শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকা ছেড়ে যান। গত ২৩ জুন থেকে তিনি মস্কোর এ বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন।
রাশিয়া এর আগে স্নোডেন ইস্যুকে তুচ্ছে করে দেখেছিল। তার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করেছিল মস্কো।
মস্কোয় বিবিসি’র প্রতিবেদক ডেনিয়েল সেন্ডফোর্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আগেও ভালো ছিলনা। এর মধ্যে স্নোডেনকে নিয়ে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহ, ইরানের পরমাণু প্রকল্পের আগ্রগতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।
নতুন করে সম্পর্কের অবনতি হলে এসব মতবিরোধ আরো বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।