রাশিয়া ফেডারেশনে যোগ দেয়ার পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে ইউক্রেইনের দাক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়ার এমপি’রা।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জনগণের রায়ের জন্য ১৬ মার্চে গণভোট করা হবে বলে জানিয়েছে ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট।
ইউক্রেইনের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, এ ধরনের যে কোনো ভোটই অসাংবিধানিক।
ক্রিমিয়া অঞ্চলের মানুষেরা বেশির ভাগই রাশিয়ান। ইউক্রেইনের মস্কো-পন্থি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতনের পর ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়া-পন্থি এবং রুশ বাহিনী ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছে। ওই অঞ্চলটি কয়েকদিন ধরেই কিয়েভ থেকে স্বায়ত্ত্বশাসিত অবস্থায় আছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ গণমাধ্যমে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্রিমিয়ার ভোটের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
ক্রিমিয়া পার্লামেন্টের কয়েকটি সূত্র বিবিসি’কে বলেছে, তারা এখন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করে নেয়ার অনুরোধের ব্যাপারে মস্কোর প্রতিক্রিয়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
ক্রিমিয়া পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডিক্রিতে বলা হয়েছে, জনগণ রাশিয়ান ফেডারেশনের হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে চায় নাকি ক্রিমিয়াকে ইউক্রেইনের অংশ করেই রাখতে চায় গণভোটটি হবে সে প্রশ্নেই।
রাশিয়া ইউক্রেইনে হস্তক্ষেপ করা এবং ক্রিমিয়া থেকে সেনা সরানোর পশ্চিমা আহ্বান উপেক্ষা করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মস্কোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে না গিয়ে বরং সতর্ক করেছে। এখন ক্রিমিয়ার রাশিয়ায় যোগদানের সিদ্ধান্তের পদক্ষেপের কি প্রভাব পড়বে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।
ইইউ সম্মেলনে হাজির হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তেজনা কমানোর জন্য রাশিয়ার ওপর যথাসম্ভব জোরাল চাপ প্রয়োগ করা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।