কঠোর অধ্যাবশায় এর মাধ্যমে একজন মানুষ হয়তো অনেক অনেক কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে, কাউকে এই প্রশ্নটি করলে সে শত চেষ্টাতেও উত্তর দিতে পারবে না।
• স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় না এনেঃ এমন পাঁচ জন শিক্ষার্থীর নাম বল যারা এসএসসি / এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে।
• শহুরে এলাকায়ঃ এমন পাঁচ জন শিক্ষার্থীর নাম বল যারা এসএসসি / এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পায় নাই।
এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থী মূল্যায়নের বিভিন্ন পরীক্ষার একমাত্র লক্ষ্য হল সার্টিফিকেট প্রদান।
পরীক্ষার খাতায় যাই লেখা হোক না কেন, তা হোক প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক, সঠিক বা ভুল, নম্বর দিতে হবে কানায় কানায় পরিপূর্ন করে। আমি নিজেই শিক্ষককে ভুল নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর সঠিক করে দিয়ে নম্বর দিতে দেখেছি। কারণ তেমনই নির্দেশনা আছে বোর্ড থেকে, অন্যথায় তাদের ‘ভিশন’ বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটবে। এজন্য প্রকৃত ভাল শিক্ষার্থীদেরও অনেক ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন হচ্ছে। জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে এখন এটা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হয় যে তার অর্জিত ৫ কি সোনালী না রূপালী।
ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্টধারী (বোর্ড পরীক্ষা কর্তৃক স্বীকৃত) শিক্ষার্থীদের অনেকেই পরবর্তী পর্যায়ের লেখাপড়ায় খাপ খাইয়ে না নিতে পেরে মুখ থুবড়ে পরছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হোক প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষাদান, তার জন্য দরকার মেধা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ, সৃষ্টিশীল জ্ঞান চর্চা। পরম পূজোনীয় শিক্ষাগুরু এবং মহান নীতি নির্ধারকগন, এ দায়ভার আপনাদেরকেই নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।