আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজী ফয়েজউদ্দিন ও ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট (১৬+)

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/

ফয়েজউদ্দিন ও ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সেদিন আমাদে বাজী ফয়েজউদ্দিন একবস্তা টাকা নিয়ে ঔঔঔ ব্যাংকে হাজির হয়ে, ব্যাংকের প্রেসিডেন্টেরে সাথে দেখা করতে চাইলো। ব্যাংকের কর্মকর্তা দৌড়ে গিয়ে ব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে বললো- স্যার এক জন লোক একবস্তা টাকা নিয়ে এসে আপনার সাথে দেখা করতে চাইছে। এই কথা শুনে প্রেসিডেন্টও দৌড়ে এলেন। ব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে দেখেই ফয়েজ বলে উঠলো - ফয়েজ : ভাই আপনার ব্যাংকে আমি একটি এ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।

এই টাকাগুলি দিয়ে একটি চ্যারেটির জন্য এ্যাকাউন্ট ওপেন করে দেন। প্রেসিডেন্ট : (অবাক হয়ে) কিছু মনে করবেন না, এতোগুলি টাকা চ্যারেটির জন্য দিয়ে দিচ্ছেন, বিষয়টি কি? ফয়েজ : আর বলেন নারে ভাই, সেদিন একটা বাজী ধরেছিলাম। হেরে গিয়ে এই চ্যারেটি করতে হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট : বাজী? কি ধরনের বাজী? ফয়েজ : কি ধরেনর বাজী!! প্রেসিডেন্ট : জ্বি। ফয়েজ : হুম, ধরুন আমি বললাম আপনার testicle গুলি আসলে গোল নয়, চারকোনা।

প্রেসিডেন্ট : ধাত, এটা কোনো কথা হলো!! আমি জানি না যে ওগুলি গোল! ফয়েজ : ঠিক আছে, তাহলে বাজী হয়ে যাক, আমি বলছি আপনারগুলি চারকোনা। আর আপনি বলছেন গোল। যদি গোল হয় আহলে আমি আপনাকে পাঁচ লাক্ষ টাকা দেবো, কিন্তু যদি চারকোনা হয় তাহলে আপনি আমাকে পাঁচ লাক্ষ টাকা দিবেন। প্রেসিডেন্ট : (একবার হাত বুলিয়ে চেক করে নিয়ে) ঠিক আছে, আমি রাজি। ফয়েজ : তাহলে আগামী কাল সকাল ১১টায় আমি আমার লইয়ার নিয়ে আসবো, আপনি রাজী থাকলে উনার সামনেই চেক করা হবে গোল-না-চৌকো।

প্রেসিডেন্ট : (এতোগুলো টাকার কথা ভেবে) ঠিক আছে আমি রাজি। ফয়েজ : তাহলে আগামী কাল সকালে দেখা হবে। খোদাহাফেজ। পরদিন সকাল-সকাল প্রেসিডেন্ট চলে এসেছেন ব্যাংকে গতকাল থেকে বারবার চেক করে দেখেছেন, testicle গুলি গোলই। তারপর তার হঠাত করে মনে হয়েছে- কোনো কারণে এগুলি আবার চৌকো হয়ে যাবে নাতো? তারপার থেকে কিছুক্ষণ পরপরই হাতবুলিয়ে দেখে নিচ্ছে আকৃতি ঠিক আছে কিনা।

কর্মচারিরা সব আড়চোখে প্রেসিডেন্টির কান্ড দেখে মিটি মিটি হাসছে। আসল ঘটনা তো আর কেউ জানে না। প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ পরপর ঘড়ি দেখছেন। সময় যেনো পারই হয় না, আর ফেয়েজও আসছে না। এমনি করতে করতে ১১টা বাজলো ঘড়িতে।

তখন ফয়েজও তার উকিলকে নিয়ে ঠিক সময় মতই হাজির হয়ে গেলো। ফয়েজ : প্রেসিডেন্ট সাহেব, আপনি বাজীতে রাজি তো? প্রেসিডেন্ট : (আবার একবার হাত বুলিয়ে চেক করে নিয়ে) অবশ্যই, আসুন পরীক্ষা করে ফেলা যাক। ফয়েজ : ঠিক আছে, চলুন আপনার কামরায়। কামরায় তিনজন ঢুকলেন। প্রেসিডেন্ট আবারও হাতবুলিয়ে চেক করে নিলেন-আকৃতি চেঞ্জ হয়নি।

ফয়েজ : ঠিক আছে, তাহলে আপনি এবার আপনার প্যান্ট খুলে আমাদের দেখান যে আপনার testicle গুলি আসলেই গোল, চৌকো নয়। প্রেসিডেন্ট : ঠিক আছে। (এই বলে তিনি প্যান্ট-আন্ডারওয়ার খুলে দাঁড়ালেন। ) ফয়েজ : হুম!! গোলতো মনে হচ্ছে না, একটু চৌকো মনে হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট : কি বলেন? আমি গত কাল রাতে চেক করেছি, কিছুক্ষণ আগেও চেক করেছি গোলই ছিলো!! ফয়েজ : তাহলে, লইয়ার সাহেব হাত দিয়ে ধরে চেক করে দেখুক এগুলির আকৃতি ঠিক আছে কিনা? প্রেসিডেন্ট : হে, অবশ্যই।

লইয়ার সাহেব আপনি ধরে দেখেন। এই কথা শুনে লইয়ার নিজের মাথার চুল ধরে টানতে টানতে রুম থেক বেরিয়ে গেলো। প্রেসিডেন্ট : কি ব্যাপার? লইয়ারের কি হলো? ফয়েজ : আপনি বাজীতে জিতেছেন, আপনারগুলি গোল, এই নিন ৫ লাক্ষ টাকা। প্রেসিডেন্ট : কিন্তু লইয়ারের কি হলো? ফয়েজ : ওর সাথে আমার বাজী ছিলো। আপনার testicle যদি আপনি স্বইচ্ছায় ওকে ধরতে বলেন তাহলে ও আমাকে ১৫ লাক্ষ টাকা দিবে।

কিন্তু শর্তছিলো ওর সাথে আমার বাজী হয়েছে তা আপনাকে জানানো যাবে না, আর আপনাকে টাকা দিয়ে রাজি করানো যাবেনা। এই বলে ফয়েজউদ্দিন মুচকি হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো ব্যাংক থেকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।