যাত্রাশুভ। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ক'দিন আগে একটি লেখা ছাপা হয়েছিল ইন্ডিয়া’স ওরিস কুড মাউন্ট উইথ খালেদা জিয়া’স এক্সপেকটেড রিটার্ন টু পাওয়ার ইন বাংলাদেশ শিরোনামে। লেখাটায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মৌলবাদিতার দিকে যাচ্ছে এবং এর ফলে বিপণ্ন হতে চলেছে ভারত, এটাই ছিল লেখাটির মূলভাষণ। মৌলবাদিতাসহ যার আরো অনেক কিছুই সত্য।
ভারতীয় পাঠকরা ওই লেখার স্বপক্ষে পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে অনেক মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যগুলোর কয়েকটির দিকে তাকালে শিউরে উঠতে হয়। ভারত আসলে কেমন দেশ। নাগরিকদের কী শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটি। মন্তব্যগুলো থেকে ভারত রাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্কে কী ধরণের মনোভাবকে প্রশ্রয় দেয়, এটা স্পষ্ট হয়েছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থে এখানকার মৌলবাদীদের পাশাপাশি ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র ও সেখানকার মৌলবাদীদের নিয়েও চিন্তা-ভাবনা-কাজ শুরু করা উচিত।
কয়েকটি মন্তব্য :
'অজ্ঞাতনামা' একজন কলকাতা থেকে লিখেছেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্যে পরিণত করে নেয়, তাহলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
নয়াদিল্লি থেকে এস সুন্দারাম লিখেছেন, কংগ্রেসের আস্কারা পেয়ে বাংলাদেশ মাথায় উঠেছে।
ব্যাঙ্গালোর থেকে প্রিন্স নামের একজন কৌতুক করে বাংলাদেশকে দখল করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এভাবে, বাংলাদেশের সব লোককেই আমাদের স্বাগত জানানো উচিত। তাহলে উপহার হিসেবে দেশটির ভূখণ্ড পাওয়া যাবে।
মুম্বাই থেকে শচীন দিচোলকার লিখেছেন, সময় এসেছে ভারতের সীমান্ত প্রসারিত করার। যুদ্ধ করে পুরো বাংলাদেশকে দখল করে নিতে হবে।
দুবাই প্রবাসী কল্যাণ দেব লিখেছেন, বন্দুকের নলই ক্ষমতার উত্স। বাংলাদেশ থেকে যেসব সন্ত্রাসী ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে, তাদের নির্বিচারে গুলি করার অনুমতি দিতে হবে বিএসএফকে।
দিল্লি থেকে দীনেশ প্রভাকর লিখেছেন, ১৯৭১ সালে ভারত বিশাল ভুল করেছে।
পাকিস্তানিরাই তো বাংলাদেশীদের খতম করে দিত। তার এ মন্তব্যকে সমর্থন করেছে শতাধিক পাঠক।
ব্যাঙ্গালোর থেকে মনোজ লিখেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ব্যবস্থা নিতে হবে। সীমান্ত বন্ধ করে সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে হবে।
মুম্বাই থেকে কায়া লিখেছেন, বাংলাদেশকে শায়েস্তা করতে হলে নরেদ্র মোদীকে (গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা) ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি জানেন, কীভাবে সন্ত্রাসীদের শিক্ষা দিতে হয়।
গোয়া থেকে এন্টিনিও বারবোসা লিখেছেন, বাংলাদেশের সরকারই শুধু ভারতবিরোধী নয়। নতুন প্রজন্মও জানে না যে আমরা তাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলাম। নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার জন্য টাকা খরচ করতে হবে।
রনবীর লাম্বা লিখেছেন, বাংলাদেশের নিজ শক্তিতে চলার সামর্থ্য নেই।
চীন বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে পারে। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে দখল করে নিতে হবে। অন্যথায় সামনে আমাদের কঠিন সময়।
ভাস্কর মিত্তাল লিখেছেন, ভারতের প্রশিক্ষিত বন্দুকধারীদের বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। তারা ভারতবিরোধীদের শেষ করে দেবে।
জগন্নাথান লিখেছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিজেপি ও কংগ্রেসের কালো টাকা আছে। তারা সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে বন্ধু সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশীরা গরিব। টাকা দিয়ে তাদের কেনা যায়।
বিশাখাপত্তম থেকে জ্যোতিমুখো নামে একজন বাংলাদেশকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন, পকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে ভারত যেভাবে কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে, পূর্ব পাকিস্তানকেও বিবেচনা করতে হবে।
গোবিন্দ লিখেছেন, ইসরাইলের মতোই ভারতও চারদিকে মোল্লাতন্ত্র শাসিত দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এসব প্রতিবেশীকে বাদ দিয়ে ভারতকে সেসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, যাদের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য রয়েছে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।