বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একদল আরেকদলকে প্রতিপক্ষ মনে করছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ লক্ষণ। খেলার মাঠে একদল হারে আরেক দল জিতে। যুদ্ধের ময়দানে একপক্ষ আরেকপক্ষকে পরাজিত করতে সবশক্তি নিয়োগ করে। এখন রাজনৈতিক অঙ্গন খেলার মাঠ কিংবা যুদ্ধের ময়দান কোনটাই নয়।
ফলে এখানে কাউকে আঘাত করে, আক্রমণ করে, বিপদাপন্ন করে নিজের শক্তি সামথ্য প্রদশন করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অবস্থা তৈরি করা বা হওয়াটা বিপদজনক। আমার মনে হয় এখানে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকতে পারত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যে, দেশ ও জাতির উন্নয়ন-সমৃদ্ধি-শান্তি-প্রগতি নিশ্চিত করে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস-ভালবাসা অজনের জন্যে। মাটি ও মানুষের সেবার উদ্দেশ্য যদি সবার থাকে তাহলে কেন দেশের অগ্রগতি ও উন্নতি নিশ্চিতকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা-সহমমিতা-সমঝোতামূলক মনোভাব থাকবেনা। বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয় পারস্পরিক সম্মানবোধ-হিতাকাংখা-কল্যাণকামনা দ্বারাই বৃহত্তর মঙ্গল হাসিল হতে পারে।
ঘরে বুকসেলফ ও বই, বাড়ির উঠানে কিংবা বিল্ডিংয়ের ছাদে ফুলের বাগান বা টব থাকাটা রুচিকর, রুচিশীলতার ছাপ ফুটায়ে তোলায় সহায়ক।
যেখানে সৃজনশীলতা-রুচিশীলতা থাকেনা সেখানে মানুষ মানুষের স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্রতা নিয়ে বেচেঁ থাকতে পারে না। অনেককে চারপাশকে মেনে নিতে দেখা যায়,শুধু গ্রহণ করায় কিংবা টিকে থাকায় আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়। আসলে ব্যক্তিত্বহীন ও আত্মমযাদাবোধহীন না হলে কেউ যেকোন পরিবেশের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে পারে না। আসলে যখন যেমন তখন তেমনভাবে চললে, পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে, পরিবেশটাকে প্রভাবিত করতে না পারলে-এমন মানুষকে সত্যিকার মানুষ বলাটা বোধহয় মানুষের অপমান।
মানুষ যখন কিছু চায় আর সেই চাওয়াটা যদি বাস্তব সম্মত ও যৌক্তিক হয় তবে তা না পাওয়াটা এমন একটি অবস্থা যা আশাবাদী মানুষকে আরো বেশী পরিশ্রমী করে, আর হতাশাবাদী মানুষকে আরো দুবল করে।
আর চাওয়াটা যদি অবাস্তব ও অযৌক্তিক হয় তবে তার জন্যে চেষ্টা সাধনা একধরনের পন্ডশ্রম-অনথক জীবনীশক্তির অপচয়। আবার প্রত্যাশা যদি আকাশ ছোঁয়া হয় আর প্রাপ্তি যদি অল্প হয় তবে অল্পেতুষ্ট মানুষ মানসিক প্রশান্তি নিয়ে তার স্বপ্নপূরণে কাজ করবে আর ভোগবাদী-বিলাসি-আরামপ্রিয়-লোভী মানুষ বক্রপথ অবলম্বন করে পরিস্থিতি জটিল ও ঘোলাটে করবে। আর যার আশা নেই তার সাধনাও নেই, নিদিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণে আকুলতা-ব্যাকুলতা নেই; ফলে তার উন্নতিরও সম্ভাবনা নেই।
আপনার সম্পদ আছে কিন্তু চারপাশে যদি অনিয়ম থাকে,তবে আপনি নিশ্চিন্তে থাকবেন কিভাবে? আপনার বসবাসের বিল্ডিংটা যদি ভেজাল সিমেন্ট-ইট-রড দ্বারা তৈরি হয় তবে সেখানে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছাড়া কি আপনি ঘুমুতে পারবেন? সন্ত্রাস-ইভটিজিং-চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই যদি বাড়ে তবে কি আপনি ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠায়ে দুশ্চিন্তামুক্ত সময় কাটাতে পারবেন? যদি খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল বৃদ্ধি পায় তবে কি আপনি তা খেয়ে সুস্থ-সবলভাবে স্বাভাবিক বিকাশ লাভ করতে পারবেন? চারপাশে যদি দু:খ-কষ্ট-সমস্যা-সংকট থাকে তবে আপনি আনন্দে থাকবেন কিভাবে?
এটা ঠিক বয়সভেদে, স্থান-কাল-পাত্রভেদে আনন্দের উৎস বা ধরনে পাথক্য হয়ে থাকে। খেলার সাথী-সহপাঠী-সহকমী জীবনের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নজন গুরুত্বপূণ হয়ে ওঠে।
একেক বয়সে একেক রকমের আনন্দ। ছোট্টবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলায় আনন্দ পেয়েছেন তরুণ বয়সে তা পাননি। তখন আবার আনন্দের ভিন্ন উৎসের সন্ধান মিলেছে। সাময়িক উত্তেজনা বশে আনন্দের মাঝে স্থায়ী মঙ্গল খুব কমই থাকে। অনেকে অবসর সময়টাকে অথহীনভাবে ব্যায় করে আসলে এটা নিবুদ্ধিতা।
কেননা জগতে যারা বড় হয়েছেন তাদের সফলতার পেছনে অবসর সময়ের উৎকৃষ্ট চিন্তার ভুমিকা গুরুত্বপূণ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।