সভ্যতার সন্ধানে অলি গলি খুঁজে বেড়াই। মাঝে মাঝে কিছু সত্যিকারের সভ্য মানুষের দেখা মিলে, আর সভ্য মানুষের বেশে থাকা বেশিরভাগ মানুষই জানেনা, তারা কিভাবে সভ্য।
স্যামুয়ের কনজুয়ালজেস একজন জিনিয়াস প্রোগ্রামার। নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা সব সময়ই তাকে তটস্থ করে রাখে। আর তাই প্রতিদিন সাজগোজ করে অফিসে পৌছানোর সাথে সাথেই সে কলিগদের বিগিনিং আনন্দের খোরাক হয় একটি সাধারন কারনে।
তা হল, প্যান্টের জিপার। শার্টটা প্যান্টের ভেতর ইন করিয়ে শেষ পর্যন্ত স্যামুয়েল প্রায় প্রতিদিনই প্যান্টের জিপারটা লাগাতে ভুলে যায়। একদিন স্যামুয়েল পরিকল্পনা করল যে, সে জিপারওলা প্যান্ট আর কিনবেনা। যেই ভাবা সেই কাজ। পুরোনো সব প্যান্ট ফেলে দিয়ে নতুন করে প্যান্ট কিনে নিয়ে এল।
পরদিন সকালে তার দৈনন্দিন চিন্তাভাবনার সাথে আরেকটা জিনিস যোগ হল, সে হল উত্তেজনা। নতুন ধরনের প্যান্ট পরিধান করার উত্তেজনা। সাজগোজ শেষে অফিসে এল কিন্তু স্যামুয়েল অফিসে পৌছে অভ্যর্থনা কক্ষ পার হবার সময়ই লক্ষ্য করল অভ্যর্থনাকারিনী মার্গারেট কসকাবিসকি অন্যদিনের চাইতেও বেশি করে হাসছে। হাসি চেপে রাখতে না পেরে রুমাল দিয়ে মুখ চেপে রাখল। স্যামুয়েল এর মাথায় কিছুতেই ধরছেনা মেয়েটি কেন হাসছে।
স্যামুয়েল মার্গারেটকে ছোট্ট একটা কর্পোরেট টাইপের ধমক দিয়ে বলল, "দেখুন মার্গারেট, আজ আপনার হাসার কিছুই নেই। আমার প্যান্টে কোন জিপারই নেই, জিপার খোলা থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই। আপনারও আর হাসার কোন প্রয়োজন নেই। " শুনে মার্গারেট নিজেকে সংযত করার চেষ্টা করতে করতেই বলল, "দু:খিত স্যার! তবে আমার চোখ যদি আমার সাথে কোন রকম ছলনা না করে থাকে, তাহলে আমার চোখের দৃষ্টি মতে, আপনি আজ কোন প্যান্টই পরে আসেননি। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।