সেমিস্টার ফাইনাল বিদ্যমান, তার সাথে সাথে জনসেবামূলক আইডিয়া গজায়মান ! তার সাথে ১৬ বছরের অভিজ্ঞতা যোগ করে শেযমেয পোস্টটা লিখেই ফেললাম।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল যাঁদের প্রতিদিন নিয়ম করে পড়তে বসার অভ্যাস আছে এই পোস্ট মোটেও তাদের জন্য না। এমনকি যারা সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘন্টা করে পড়তে পারেন তারাও এখুনি চলে যেতে পারেন। এটা কেবল তাদের জন্য যা্রা পরীক্ষার আগে আগে পড়তে বসেন কিন্তু আধাঘন্টা পার হওয়ার আগেই সমস্ত জমা করা মনোযোগ এবং মোটিভেশন হারিয়ে ফেলেন। আসলে এটা যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা এটাকে কোন কাজেই লাগাতে পারবেন না।
(নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি) তবুও জেনে রাখা ভাল, কাউকে উপদেশ দিতে পারবেন । শুরু করা যাক।
১) টেবিল দেয়ালের সামনে নিয়ে যান। বই থেকে মুখ তুললে দৃষ্টি দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আবার বইয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি, তবে দেয়াল কিন্তু সাইজ হয়ে যেতে পারে। আশাকরি দেয়ালকে দেয়ালপত্রিকা ভেবে আকাআকি শুরু করবেন না ।
২) টেবিলে শুধু এ্কটা খাতা আর যে বই পড়বেন সেটা রাখবেন। অন্য বই সরিয়ে রাখুন, কোথাও রাখার জায়গা না পেলে মাটিতে রাখুন, বইএর লেখা এতে করে মুছে যাবে না। পরীক্ষা শেষ হলে আবার দরকার হলে টেবিলে উঠিয়ে রাখবেন, তখন যত ধুলা জমে জমুক।
৩) মোবাইল টেবিলে তো রাখবেন ই না, এমনকি পকেটেও রাখবেন না। কাছাকাছি কোথাও রাখতে হলে সাইলেন্ট করে টেবিলের ড্রয়ারে রাখতে পারেন।
৪) খাতা কলম নিজের জমানো বা উপার্জিত টাকা দিয়ে কিনতে পারেন, তখন লিখে মজা পাবেন। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ, মানে যাদের টেবিলে বসাও হাবিয়া দোযখের আগুনে পুড়ার মত অনুভূতি দেয় তারা একটা কাজ করতে পারেন। লাল, নীল,কালো তিন কালারের কলম কিনে ফেলেন। তারপর সুন্দর স্পাইরাল খাতার এক এক পাতা এক এক রঙের কালি দিয়ে লিখা শুরু করেন। পড়া না হোক, লিখা তো হবে, আর লিখলে পড়াও হবে ।
৫) পড়ার সময় ঠিক করে নেন। দুনিয়া উল্টায়ে যাক আপনি টাইম্লি টেবিলে থাকবেন। এজন্য আগে থেকেই সব কাজ শেষ করে রাখবেন। কাছাকাছি সময়ে আড্ডা দিতে বা কার্ড খেলতে বসবেন না। তাইলে কি হবে আপনি তা জানেন।
৬) পরীক্ষার সময় যতটা পারেন দায়িতব এড়িয়ে চলবেন। ক্লাব, সোসাইটি, ডিপার্টমেন্ট বা ফ্যামিলির কাজ থেকে যত পালায়ে বাচতে পারেন তত ভাল(এটা অবশ্য অন্যান্য সময়ের জন্যও প্রযোজ্য )। যে কাজ ই করেন না কেন আপনার উপর সেটা একটা মেন্টাল ইফেক্ট ফেলবেই।
৭) গোল সেট করেন, তারপর মেসির মত একটার পর একটা গোল দিতে থাকেন। ধরে নেন এই বসায় দুই ঘন্টা পড়বেন।
অথবা ২ চ্যাপ্টার পড়বেন। কোন এক মনীষী বলেছেন, তুমি যদি লক্ষ্য অর্জ়ন করে ফেল তবে বুঝতে হবে তুমি যথেষ্ট পরিমানে লক্ষ্য স্থির কর নাই। (গোল না দিতে পারলেও তাই মন খারাপ করবেন না)
৮) অনেক বড় সিলেবাস ? ডিসইন্ট্রিগেট করে ফেলুন। যেমন ১০০ পৃষ্ঠার পড়াকে দশ পৃষ্ঠার দশটা গোল বানিয়ে ফেলুন।
৯) যদি পড়তে না পারেন, লিখুন।
যদি না বুঝেন লিখুন। যদি মুখস্ত না হয়, লিখুন, কাজ হবে।
১০) সবশেষে নেটে বসবেন না, দূরে থাকুন অন্তত পরীক্ষার দিনগুলোতে, আক্ষরিক অর্থেই দূরে থাকুন। যেমন ল্যাপটপ প্যাক করে এমন যায়গায় রাখুন, যাতে বের করতে ৫ মিনিট লাগে, অথবা মডেম কোন বন্ধুকে ১ মাসের জন্য দিয়ে আসুন(বন্ধুর কিন্তু বারোটা বেজে যাবে)।
তবে এইসবে কাজ না করলে কি করলে কাজ হবে এইটা নিয়ে একটা ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।