নাজমুল ইসলাম মকবুল
সুসাহিত্যিক আপ্তাব আলী স্যার : চলে গেলেন হঠাৎ করে
নাজমুল ইসলাম মকবুল
কচি খোকা ছিলাম যখন
পাঠশালাতে যেতাম
স্যারের নিকট অনেক অনেক
আদর সোহাগ পেতাম।
মোদের তখন পাঠ শেখাতেন
অনেক অনেক কষ্ট করে
আমরা কী আর দিতে পারব
সেই প্রতিদান জীবন ভরে।
স্যারের কাছে থাকব মোরা
অনেক ঋনী সারা জীবন
এ ঋন শোধের নেই মতা
মুটোয় দিলেও নিখিল ভুবন
আজো আছেন এই আঙ্গিনায়
জীবন নামের শেষ বেলাতে
হয়তো জীবন বিলিয়ে দিবেন
মানুষ গড়ার কারখানাতে।
কবিতাটি লিখার পর দৈনিক সিলেটের ডাক এ ছাপা হয়েছিল। স্যার দেখে হয়েছিলেন আনন্দে অভিভূত।
স্যার আমাকে বলেছিলেন আমাকে সিলেটের ডাক এর একটি কপি দিয়, আমি সংরন করে রাখব। সদা প্রাণচাঞ্চল্য হাসিখুশি মুখ অমায়িক ব্যবহার চালচলনে নিরহংকারী জনাব আপ্তাব আলী স্যার আজীবন মানুষ গড়ার কারখানায় কাটিয়ে দিয়ে যখন একটু জিরিয়ে নেবার জন্য চাকুরী থেকে অবসর নিলেন তখন আর সময় পেলেননা এ পৃথিবীর আলো বাতাসে আর কয়টা দিন বেচে থাকার। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাকে যেন পাঠিয়েছিলেন কর্মের মধ্যে বেচে থাকতে অবসরে নয়। তাই চিরতরে অবসর নিয়ে অগণিত শিষ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে মাত্র ৫৭ বৎসর বয়সে পরপারে পাড়ি দিতে হলো বিগত ৮ই মে ২০০৬ইং সোমবার দিবাগত রাত ১১.৪০ মিঃ এর সময়।
জন্ম ঃ শ্রদ্ধেয় শিাগুরু জনাব আপ্তাব আলী স্যার সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী বিশ্বনাথ থানার অন্তর্গত ৩নং অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ১লা জানুয়ারী ১৯৪৯ঈং সনে।
পিতার নাম মরহুম হোসেন আলী, মাতার নাম মরহুমা নফিজা বানু।
শিা ঃ ছহিফাগঞ্জ এম. এফ. প্রাইমারী স্কুল থেকে পাঠশালা শেষে বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৬৫ ঈং সনে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাশ করে সিলেটের মদন মোহন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট এ ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৭ ঈং সনে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৭০ ঈং সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে প্রাইভেট পরীা দিয়ে বি.এ পাশ করেন এবং ১৯৭৮ ঈং সনে কোটবাড়ি কুমিল্লাস্থ শিক প্রশিণ মহা বিদ্যালয় থেকে বি. এড সমাপন করেন।
চাকুরী ঃ শিাজীবন সমাপন করে ১৯৬৭ সালে কাইয়া কাইড় ধীতপুর এম.এফ প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক পদে যোগদান করেন।
সেখান থেকে ১৯৭১ সালে কচরাকেলী এম. এফ. প্রাইমারী স্কুলে প্রধান শিক পদে উন্নীত হয়ে বদলী হন এবং ১৯৭২ সালে নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী বড় খুরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখান থেকে ১৯৭৬ সালে অলংকারী পৌদনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ০১.০১.২০০৬ ঈং চাকুরী থেকে অবসর নেন। চাকুরীর মধ্যবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সাল হতে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেন এবং সেফাকে ১৯৮৪ ঈং সনে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন।
প্রাথমিক শিক সমিতির যে সব পদে দায়িত্ব পালন ঃ ১৯৭২-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক সমিতি, বিশ্বনাথ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭২-১৯৮১ সাল পর্যন্ত ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক সমিতির কেন্দ্র সম্পাদক, ১৯৮৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত অলংকারী ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক সমিতির ইউনিয়ন সভাপতি এবং ১৯৮৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত গ্রাজুয়েট প্রাথমিক শিক সমিতি, বিশ্বনাথ শাখার সভাপতির দায়িত্ব অত্যন্ত দতার সাথে পালন করেন।
সামাজিক উন্নয়নে অবদান ঃ সামাজিক উন্নয়নেও জনাব আপ্তাব আলী স্যার যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
তিনি ছিলেন জমির আহমদ হাই স্কুল, বড়তলা দাখিল মাদরাসা এবং সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭২-৭৩ সালে ছিলেন ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন ট্রাইবুন্যাল কোর্ট এর চেয়ারম্যান। ১৯৯০-৯২ সন পর্যন্ত বিশ্বনাথ কেন্দ্রীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি এবং বিশ্বনাথ পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্য ছিলেন। এছাড়া এলাকার রাস্তা ঘাট ও কালভার্ট নির্মানেও রেখেছেন প্রশংসনীয় অবদান।
সাহিত্য চর্চা ঃ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত প্রায় শতাধিক প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা, ছড়া ও গান লিখে লেখার মধ্যেই অমর হয়ে আছেন জনাব আপ্তাব আলী স্যার।
পারিবারিক বিবরণ ঃ মহান স্বাধীনতার বৎসর ১৯৭১ সালে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুরুয়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুছ ছুবহান সাহেবের কন্যা রোকেয়া বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর এক পুত্র ডাঃ মোঃ মঈনুল ইসলাম ডালিম যিনি এম বি বি এস পাশ করে দশঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী করার পাশাপাশি জনসাধারনকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন। কন্যা হোছনো আরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, উম্মে রওশন তিনজনই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিকিা হিসেবে কর্মরত আছেন। এবং সর্বকনিষ্ট মেয়ে উম্মে আছমা বি এ অনার্সে অধ্যয়ন করছেন।
স্মৃতির এ্যালবাম থেকে ঃ স্যারের ব্যক্তিগত গুণাবলীর ছিটেফোটা আলোকপাত করতে হলে আমার কিশোর বয়সের পাঠশালা জীবনের দেখা সেই অতীতের স্মৃতির এ্যালবাম খুলে দেখতে হয়।
আমরা যখন কৈশোরে অলংকারী পৌদনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন শিক ছিলেন শ্রী নির্মল চন্দ্র দাস, জনাব আপ্তাব আলী স্যার, শ্রী সুভাষ চন্দ্র ভৌমিক (যিনি বর্তমানে সিলেট জর্জ কোর্টে আইন পেশায় নিয়েজিত)। আরও কিছু শিক ছিলেন যারা বিভিন্ন সময় এসেছিলেন আবার বিভিন্ন সময়ে বদলী হয়ে অন্যত্রও চলে গিয়েছিলেন। পৌদনাপুর নিবাসী শ্রী নির্মল চন্দ্র দাস ছিলেন খুবই প্রবীণ মেধাবী এবং হাতের লেখা ছিল অত্যান্ত সুন্দর এককথায় ছাপার হরফের মতো। আমাদের পিতা এবং তাদের বড়োরাও অলংকারী স্কুলে তাঁর কাছে পড়েছেন বলে জানা যায়। এলাকার অধিকাংশ ভূমির দলিলও তিনি লিখতেন।
ছাত্র শিক অভিভাবক সবাই তাকে ডাকতেন 'মাস্টর বাবু বলে'। মাস্টর বাবুর কাচা চিকন বাশের কঞ্চির আঘাতের ভয়ে এলাকার অনেকেই স্কুল থেকে পালিয়ে গাছের ডালে ও বিভিন্ন গোপন স্থানে আশ্রয় নিতেন বলেও জনশ্র“তি আছে। তাঁর ভয়ে অনেকের লেখাপড়াও গোল্লায় গেছে। বেত্রাঘাতে অনেকেরই জ্বর হতো কারো প্রস্রাব ও রক্ত প্রবাহিত হতো আবার ঝাঝালো চড়ের আঘাতে কেহবা বধির হয়েছেন বলেও জানা যায়। মাস্টর বাবু বেশ অভিনব পন্থায়ও শাস্তি দিতেন।
যেমন পুরো বেঞ্চের ছাত্ররা পড়া না শিখলে বেঞ্চের পাশের ছেলের গালে কয়েক মন ওজনের চড় কষে দিতেন। ছাত্রটি টাল সামলাতে না পেরে পাশে উপবিষ্ট ছাত্রের মাথায় ঠাস করে খেতো টক্কর এভাবে বেঞ্চে বসা প্রত্যেকের মাথায় প্রচন্ড শব্দে টক্কর খেতে খেতে দেয়ালের পাশে বসা ছাত্রটি পাকা দেয়ালের সাথে খেতো টক্কর। শব্দ হতো নারিকেল ফাটানোর শব্দের মতো। অভিনব পদ্ধতিতে এক চড়েই বেঞ্চে বসা পাচ ছয়জনকেই শাস্তি দিতেন, যেন এক ঢিলে পাচ ছয় পাখি শিকার করা। মাথা ফুলে সুপারির মতো হলেও ভয়ে কেহ কিছু বলতোনা।
অভিভাবকদের মধ্য হতে অধিকাংশেরই শিাগুরু ছিলেন বিধায় তারাও টু শব্দ করার সাহস পেতেননা। ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে পৌছেই প্রথমে খেয়াল করতো মাস্টর বাবু এসেছেন কি না। না আসলে সকলেই মহাখুশি। তবে সবাই মাস্টর বাবু আসার রাস্তা অর্থাৎ পৌদনাপুরের রাস্তার দিকে অপলক নেত্রে চেয়ে দেখতো তিনি আসছেন কি না এবং দোয়া করতে থাকতো আল্লাহ আজকে যেন মাস্টর বাবু স্কুলে না আসেন, কেহবা হয়তো মান্নত টান্নতও করতো। একদিন পার হলে মনে হতো যেন একটি বছর পার হয়েছে।
সময় পার হয়ে গেলে মহাখুশি হতো সকলেই। কিন্তু যেদিন দেখা যেত মাস্টর বাবু সফেদ ধুতি পরে স্কুলের দিকে হন হন করে এগিয়ে আসছেন সেদিন সকল ছাত্র ছাত্রীর মন বিষাদে ও আতংকে ভরে উঠত। কিন্তু তৎকালীন প্রধান শিক আপ্তাব আলী স্যার ছিলেন এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ছাত্রদেরকে অত্যান্ত স্নেহ করতেন আপন সন্তানের মতো, কোন সময় বন্ধুর মতো, আবার কোন কোন সময় সহপাঠির মতো। শ্রেণীকইে মুখে মুখে শিখিয়ে দিতেন পড়া।
সকল ছাত্রকেই আদর করে বুকে টেনে নিতেন। প্রয়োজন মতো শাষনও করতেন তবে বাড়াবাড়ি করতেন না। স্যার ছাত্রদেরকে শাসনের পরিবর্তে আদর করতেন বেশি। কারন আদর না করলে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিককে যমের মতো ভয় করবে এবং স্কুল থেকে পালাবে। কোন কোন শিককে ছাত্র ছাত্রীরা আজরাইলের মতো ভয় করে তাদের কঠোর শাষন বেত্রাঘাত বা অভিনব শাস্তি প্রদানের দরুন।
তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে এ প্রবণতা হ্রাস পাওয়া, অভিভাবকদের সচেতনতা ও সরকারের বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেয়ায় বিদ্যালয়গামী ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুরুতেই স্কুল থেকে পালালে যে কোন ছাত্র ছাত্রী ভবিষ্যতে লেখাপড়া করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবার সম্ভাবনাই বেশি। স্যারের মধুরতম পরশে সকল ছাত্র ছাত্রীরাই স্যারকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতো। এবং স্যার কাসে আসলেই সকলের মুখেই ফুটে উঠত হাসি ও সস্তির রেখা। স্যার আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মন প্রাণ উজাড় করে।
পরীার রেজাল্ট ঘোষনার সময় আমি প্রথম স্থান অধিকার করায় স্যার খুবই আনন্দিত হয়ে কাসে এসে আমাকে সুসংবাদটি দিয়েছিলেন অত্যন্ত আবেগঘন ভাষায়। যে স্মৃতি আমার মনের মণিকোঠায় এখনও জ্বলজ্বল করছে। পাঠশালা শেষে হাই স্কুলে গিয়ে ভর্তি হওয়ার পর করণীয় সম্পর্কেও স্যার মুল্যবান উপদেশ দিতেন। পাঠশালা শেষে কারা কারা লেখাপড়া করছে এবং কারা ছেড়ে দিয়েছে তারও খোজখবর নিতেন এবং অভিভাবকরদের সাথেও যোগাযোগ রাখতেন। দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতেন লেখাপড়ার খবরাখবর।
উপদেশ দিতেন মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করার এবং মানুষের মতো মানুষ হবার। আমি ছাত্রাবস্থায়ই কবিতা ছড়াসহ কিছু কিছু লেখালেখি করতাম। যেহেতু স্যারেরও কবিতা ছড়া গল্প প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখার অভ্যাস ছিল তাই স্যার লেখালেখিতেও উৎসাহ প্রদান করতেন। বলতেন বেশি বেশি করে লেখালেখি করো, দেখবে এভাবে একদিন অনেক বড়ো লেখক হয়ে যাবে। স্যারের এসব কথাবার্তা আমার জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
স্যারের জীবদ্দশায় শিকতাকে পেশা হিসেবে নেয়ার কারন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন ‘‘শিকতা এক মহান পেশা। ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিতি করার ল্েয প্রতিটি শিতি মানুষের শিাদান করা নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। বিশ্বের যতসব দার্শনিক ও শিাবিদ ছিলেন তারা শিশুদেরকে শিাদান করার বিভিন্ন পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন শিকতা পেশার মাধ্যমে। এই মহান ব্রত নিয়েই আমি শিকতা পেশাকে বেছে নিয়েছিলাম। ’’
এ মহান পেশায় দায়িত্ব পালন করে নিজেকে কতটুকু সুখী ভাবেন এ প্রশ্নের উত্তরে স্যার বলেন ‘‘শিকতা পেশায় নিয়োজিত থাকায় আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সন্তানদেরকে আল্লাহপাকের অনুগ্রহে লেখাপড়া করাতে সম হয়েছি।
চাকুরী শেষে পেনশন প্রাপ্ত হয়ে বাসগৃহ নির্মাণে কিছুটা সহায়ক হয়েছে বলে নিজেকে আপাতত সুখী মনে করছি’’।
আদর্শ ছাত্র হতে হলে কি কি গুনাগুন থাকা দরকার এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন ‘‘নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকা, মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করা, সু-স্বাস্থ্যের জন্য সুসম খাবার খাওয়া, নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যয়াম করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা, স্কুলের সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করা, সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, রুটিন মোতাবেক স্কুলে ও বাড়ীতে লেখাপড়া করা, একমাত্র শিামূলক অনুষ্ঠান ব্যতীত রেডিও ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপভোগ না করা, দুষ্ট ছেলেদের সাথে স্কুল ছাড়া অন্যত্র খেলাধুলা না করা, পিতা মাতার অবাধ্য না হওয়া ইত্যাদি’’।
জনাব আপ্তাব আলী স্যার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজ সন্তানদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে গেছেন, রেখে গেছেন একটি আলোকিত পরিবার। আমাদের মতো অগণিত ছাত্রদেরকেও রেখে গেছেন যাদের অনেকেই আজ স্ব স্ব ক্ষেেত্র প্রতিষ্ঠিত। যাদেরকে দেখলেই স্যারের মুখে ফুটে উঠত হাসির রেখা এবং টেনে নিতেন একেবারে কাছে থেকে আরও কাছে।
আমরা সব সময়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে স্যারের রুহের মাগফিরাত ও জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।