মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড দলের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য সৌদি আরবের বাদশাহ ‘আব্দুল্লাহ’ কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রকে মিসরের স্বৈরাচারী শাসক মোবারককে সহযোগিতা দানের ব্যাপারে সুপারিশের বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং এদেশের মুফতিরা সুন্নি নয়...’।
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট: মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. কামাল আল হালবাভি সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রকে মিসরের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট মোবারককে সহযোগিতার সুপারিশের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আল-আলাম নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে –যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে- বলেন: ‘মিসরের গণ বিপ্লবের মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ’র কোন সুপারিশের প্রয়োজন নেই। মার্কিনীরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ইসলামকে চায় না।
আর তারা ঐ পথকেই অবলম্বন করে যা আরব শাসকগণের পছন্দনীয় এবং তাদেরকে এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই’!
জনাব আল হালবাভি মিসরের গণ অভ্যুত্থানের ব্যাপারে সৌদি ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে বলেছেন: বাদশাহ আব্দুল্লাহ ও সৌদি আরবের মুফতিরা সুন্নি মাযহাবের অনুসারী নয়। যদি তারা সুন্নি মাযহাবের অনুসারী হত তবে তারা অবশ্যই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) ও তাঁর সাহাবগণের জীবন চরিত ও পবিত্র কোরআনের নির্দেশাবলীর প্রতি আমল করত। পবিত্র কোরআন বলে: নোংরামী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। কিন্তু আব্দুল্লাহ এবং সৌদি আরবের মুফতিরা স্বৈরাচারী মোবারকের সহযোগিতা এবং নোংরামী ও অন্যায়ের প্রতি উত্সাহিত করে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক মুখপাত্র এর বিপরীতে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর প্রধানের অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন: আমরা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ’র প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি মিসরের গণ বিপ্লবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তার এ পদক্ষেপের কারণে এ বিপ্লবের সমর্থনকারী দেশের সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটেছে।
তিনি ২ দিন পূর্বে বিবিসি’কে দেয়া এ সাক্ষাতকারে মিসরের ব্যাপারে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী’র অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন: আমরা ইরানি সরকারের উপর গর্বিত। তিনি দ্বিতীয়বার এ কথার পূনরাবৃত্তি করে বলেন: যে সরকার পশ্চিমা বিশ্বের স্বৈচ্ছাচারী সরকারসমূহের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তাদের উপর আমরা গর্ব করি। যে সরকারের নেতারা সাহসী তাদের উপর গর্ব করি, অন্যান্য ইসলামি দেশের বিপরীতে যে সরকার জ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নতি করেছে সে সরকার উপর আমরা গর্বিত বোধ করি।
‘বৈদেশিকদের ইশারায় মিসরের জনগণ রাস্তায় নেমেছে’ এ শীর্ষক অপবাদ –যা মোবারক সমর্থকরা দিয়েছে-এর জবাবে মিসর সরকার বিরোধি দলের এ নেতা বলেন: অপর কোন দেশই মিসরের গণ অভ্যুত্থানের পেছনে জড়িত নয়। যদি মিসরের বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করে থাকে তবে সে হচ্ছে ইসরাইল। কেননা ইতিমধ্যে তারা গ্যাস পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিক্ষোভকারীদেরকে অভিযুক্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে।
ড. আল হালবাভি হোসনি মোবারকের পরিণতি সম্পর্কে এভাবে বলেন: “যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি পথের মাঝে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় অবস্থান করছে। প্রথমটি হচ্ছে: দ্রুত মোবরাক সরকারে পতন ঘটুক এবং দ্বিতীয়ত: সে ক্ষমতায় থাকুক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও এদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন প্রথম পথটিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতগণ দ্বিতীয় পথটিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
আমার দৃষ্টিতে মোবারকের ইসরাইলে চলে যাওয়া উচিত। কেননা সে সারা জীবন ইসরাইলের ভাড়াটে কর্মী হিসেবে কাজ করেছে তাই এ সুযোগে সে জায়নবাদীদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে”। # 93450.jp
সূত্র: http://abna.ir/data.asp?lang=11&id=225032
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।