ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড
একটু আগে একজন ব্লগারের লেখায় দেখলাম- কোচ সিডন্সের সাথে মাশরাফির ঝগড়া হয়েছে। উপলক্ষ্য- কোচ বলেছেন মাশরাফি খেলার জন্য ফিট নন এখনও।
মাশরাফি গত কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছেন তার ফিটনেস বোঝানোর। ঘরোয়া ম্যাচ্ওে খেলেছেন। বল করেছেন দশ ্ওভার।
কোচ বলেছেন- ঘরোয়া ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ এক বিষয় নয়।
আমার মনে হচ্ছে- বর্তমান পরিস্থিতিতে কোচের কথা মেনে নেয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। মাশরাফি দলে থাকলেই আমরা বিশ্বকাপ ট্রফিটা হাতে নিয়ে ফিরবো এমন নিশ্চয়তা কউ দিতে পারে না। সে দলে থাকলে হয়তো তার ব্যক্তিগত লাভ হতে পারে। কিন্তু দলগত বিষয় বিবেচনা একটা নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দেয়াটাই সময়ের দাবি।
বিশেষত যেহেতু মাশরাফি পুরোটা আসলেই সেরে উঠেনি।
মাশরাফির বোঝা উচিত- ফিটনেস খেলার জন্য সবচেয়ে বড় শর্ত এবং ফিটনেসহীনতার কারণে যে কউ যেকোন সময়ে দল থেকে বাদ পড়তে পারে।
আমারা্ও এমন হুজুগে যে, মাশরাফির জন্য এখন মায়াকান্না করতে করতে চোখের জল নাকের জল এক করে ফেলছি। আর তাকে দলে নেয়ার পর যখন মাঠে দুই তিনটা বল করে খোড়াতে খোড়াতে সে মাঠ থেকে ড্রেসিং রুমের দিকে হাটা দিতো তখন আমরাই তার গুষ্ঠি উদ্ধার করে গালি দিতাম।
মাশরাফির উচিত বাস্তবতা মেনে নেয়া।
তার এ ধরনের আচরণ দলের জন্য েক্ষতিকর। তার কারণে অন্যদের মনোসংযোগে সমস্যা হবে। অন্য বোলাররা অযথা চাপে ভুগবে। মাশরাফির জন্য ইনজুরি নতুন কিছু নয়। তার ভাগ্য খারাপ, ইনজুরিটা বিশ্বকাপের আগে আঘাত হানলো।
আর ইনজুরির কারণে অনেক বড় খেলোয়ারই অনেক বড় আসর মিস করেছেন। গত বিশ্বকাপ ফুটবলে বেকহাম তার বড় উদাহরণ। বেকহামের মতো অভিজ্ঞ হলে মাশরাফিকে হয়তো কোন একটা পোস্ট দিয়ে দলে রাখা যেতো। যেহেতু তার সুযোগ নেই- তাই মাশরাফিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া উচিত- তুমি এবার বিশ্বকাপ দলে কোন সুযোগ পাবে না। এনাফ ইজ এনাফ।
আমাদের অন্য ছেলেদের নিয়ে ভাবা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।