কপট ধার্মিক, ভীরু- ভন্ড, রাজাকার এবং তাদের বংশধরদের এই ব্লগে প্রবেশ নিষেধ
পাঁচতলা থেকে রাজনীতির গাছতলা পর্যন্ত সবাই খুব ভাগ্যবান। অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে কোনও রকমভাবে জড়িয়ে আছে তাদের কথাই বলছি। লেজে গোবরে হলেও! তারা এতো এতো ক্ষমতা ভোগ করে যে পৃথিবীর অন্য কোন দেশে বিশেষ করে উন্নত দেশে তা ভাবাই যায় না। তাই বাংলাদেশর রাজনীতির ব্যাপারে সবাই এতো আগ্রহী। কানাডা বা এমেরিকা প্রবাসী বাঙ্গালীরাও।
আমার স্কুল জীবনের এক বন্ধুর ছোট ভাই কানাডাতে বিএপি'র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয় বাংলা পত্রিকায়, দলীয় বিজ্ঞাপনে তার নাম একদিন দেখলাম নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে। আমি আমার সহপাঠিকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম," এখানে থেকেও তোর ভাই বাংলাদেশের রাজনীতি করে কেনো? কেনো এ দেশের রাজনীতি করে না?" জবাবে ও বলেছিলো," কতোদিন আর এভাবে কাজ করবে! কাজে কি আর ভাগ্য ফেরে! যদি একবার বাংলাদেশে এম পি বা মন্ত্রী হতে পারে তাহলে....!!!"
যে কোন দিন খেলাধূলা করেনি তাকে দেয়া হয় ক্রীড়া মন্ত্রিত্ব! কমপক্ষে বিসিবির চেয়ারম্যান পদমর্যাদার কোন পদ। যে শেয়ার বাজার বুঝে না তাকে দেয়া হয় অর্থমন্ত্রীর পদ! রোজা নামাজ পড়ে যে সময় কাটিয়েছে সে পায় শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়ীত্ব! ওকালতি করে পুলিশ মন্ত্রী হয়! শিক্ষকতা না করেও হয় শিক্ষামন্ত্রী! কতো আর উদাহরণ দেবো? অযোগ্যরাই যখন পদ পাবে তাহলে দেশের মঙ্গলের কথা ভেবে অন্তত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদের বেসিক ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে। যেমন: প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আর্মী বেসিক ট্রেনিং নিতে হবে।
স্বরাষ্টমন্ত্রীকে পুলিশ ট্রেনিং ইত্যাদী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কি কাজ, কাদের জন্য কাজ তা যদি মন্ত্রীরা নাই জানে তাহলে মন্ত্রনালয় চালাবে কি করে? সচিব নির্ভর হয়ে আর কতোদিন?
বাংলাদেশে এমপি, মন্ত্রী হতে কোন যোগ্যতা লাগে না। আর একবার এমপি বা মন্ত্রী হতে পারলে পরবর্তী চৌদ্দ গোষ্ঠি সোনার থালে পায়ের উপর পা তোলে বিরিয়ানী খেতে পারবে। নবাব বাড়ির মতো বাড়ি হবে। তাতে শৌচাগার না থাকলেও চলবে! বাদী থাকবে ৬৫ বা ১৬৫জন!
যতোদিন পর্যন্ত অযোগ্যরা যোগ্যদের আসন দখল করে থাকবে ততোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের অধঃপতন হতেই থাকবে।
লক্ষ লক্ষ কেনো শত সহস্র কোটি দোয়া, দরুদ, মোনাজাতেরও সাধ্য নেই সে পতন ঠেকানোর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।