কম্প্রমাইজ প্রথম ধাপ দুর্নীতির। তাই নো কম্প্রমাইজ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই। আজন্ম যোদ্ধা সংসপ্তক আমি।
‘ঋত্বিক ঘটকের শৈশব কেটেছে রাজশাহী শহরে।
তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যট্রিক পাশ করেন। তার বাবা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সুরেশ চন্দ্র ঘটক অবসর গ্রহনের পর রাজশাহীতে বাড়ি করেন। বর্তমানে যেখানে হোমিওপ্যথিক কলেজ সেটিই ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক বাড়ি। এখানে জোড়া বাড়ি অথ্যাৎ দুটি বাড়ি ছিল। এর একটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
অপরটি এখনও অক্ষত রয়েছে’ এভাবেই ছোট মামা ঋত্বিক ঘটক এবং নানা বাড়ির কথা বললেন নার নেত্রী আরমা দত্ত। তিনি আরো জানালেন তার নানা সুরেশ চন্দ্র ঘটকদের আদি নিবাস পাবনার আদি ভারেঙ্গা গ্রামে। যমুনার ভাঙ্গনে সেটি বিলিন হয়ে যায়। পরে তারা বাড়ি করেন নতুন ভাড়েঙ্গা গ্রামে। এখনও সেখানে বাড়িটি রয়েছে।
তার নানা ইন্দুবালা দেবীর বাবা ঈশ্বর চন্দ্র ঘটক ছিলে রাজশাহীর নামকরা আইনজীবী। তারা ছোট মামা ঋত্বিক ঘটকের জন্ম ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকাতে। যে বাড়িতে তার জন্ম সেিেট ঝুলন বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। সুরেশ চন্দ্র ঘটকের বদলীর চাকুরির কারনে তারা ঘুরেছেন দেশের নানা প্রান্তে। বাবার অবসরের পর ঋত্বিক ঘটকের শৈশবের একটা বড় সময় কেটেছে রাজশাহী শহরে।
কলেজিয়েট স্কুলে সম্ভবত ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। এখান থেকেই তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪০ সালের আশেপাশে স্কুলের রেকর্ডপত্র দেখলে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। পরে তিনি বহরমপুরে বড় ভাই মনিশ ঘটকের কাছে চলে যান। সেখানে কৃষ্ণ নারায়ন কলেজে পড়াশুনা করেন।
রাজশাহী ভোলানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অজিত ঘোষ জানালেন, ঋত্বিক ঘটকের বাবা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সুরেশ চন্দ্র ঘটক ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। এই এলাকার সাংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ছিল তাদের পারিবার। এই আবহে বেড়ে ওঠেন ঋত্বিক ঘটক। সে সময়ের ছিপছিপে চেহারার ছেলেটি পরবর্তিতে বড় চলচিত্রকার হয়ে ছিলেন।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর পরিবারটি কোলকাতায় চলে যায়।
দেশ ছাড়ার এই ঘটনায় তার সিনেমার মূল উপজিব্য ছিল। এর সাথে যুক্ত হয় কোলকাতার সে সময়ের নাগরিক জীবন এবং দেশভাগের পর উদ্বাস্তু জীবনের রুঢ় বাস্তবতা। ঋত্বিক ঘটক ১৯৪৮ সালে লেখেন প্রথম নাটক কালো সায়র। ১৯৫১ সালে যোগ দেন গননাট্য সংঘে। ১৯৫৭ সালে তিনি লেখেন জ্বালা এই বছরেই এর নির্দেশনা দেন।
১৯৫০ সালে নিমাই ঘোষের ছিন্নমূলের মাধ্যমে তার সিনেমায় পদার্পন। এত তিনি অভিনয় করেন এবং সহকারি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে তার একক পরিচালনায় মুক্তি পায় নাগরিক। গতানুগতিক ধারার বাইরে এই সিনেমা জগতে ঝাকুনি দেয়। তার বিখ্যাত সিনেমা মেঘে ঢাকা তারা(১৯৬০), কোমল গান্ধার(১৯৬১) এবং সুবর্ন রেখা(১৯৬২) কোলকাতার নাগরিক জীবন এবং উদ্বাস্তু জীবনের চিত্রায়ন।
১৯৬৬ সারে তিনি পুনেতে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে কিছু সময় শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি নির্মান করেন তিতাস একটি নদীর নাম। এটি ভারত বাংলাদেশের যৌথ প্রযেজনায় নির্মিত হয়। ১৯৭৪ সালে তিনি নির্মান করেন তার শেষ ছবি যুক্তি তক্কো আর গপ্পো। এটি তার আতœজীবনী মূলক সিনেমা।
১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি কোলকাতায় মারা যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।