নিহত নাজিম উদ্দীন (৩২) সদর উপজেলার রামশহর মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি গোকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওযার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) গাজিউর রহমান জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নাজিমকে হত্যা করা হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় যুবক জুয়েল রাতে বাড়ি থেকে নাজিমকে ডেকে হাজরাদিঘী হাটের পাশে একটি বাগানে নিয়ে যায়। নাজিমের সাথে তার বন্ধু সবুজও সেখানে যান।
এরপর জুয়েল তাদের দুজনকে মুড়ির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অর্ধঅচেতন করে ফেলে। পরে মুখোশধারী ৭/৮ জন যুবক রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নাজিমকে হত্যা করে। এ সময় নাজিমকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সুবজও দায়ের কোপে আহত হন।
নাজিম শহরের মাটিরডালি এলাকায় মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।
তার স্ত্রীর মেনেরা বেগম জানান, একটি হোটেলে ভাংচুরের ঘটনায় ১৫ দিন আগে স্থানীয় ষড়দিন্দু ও তফছেরের সঙ্গে নাজিমের বিরোধ তৈরি হয়।
তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে স্ত্রীর ধারণা।
তবে সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, নাজিমকে কারা হত্যা কারা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লাশ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।