পৈত্রিক সম্পদের একাই মালিক হওয়ার আশায় বগুড়ায় ছোট ভাই জাহিদ হাসান জয়কে (১৯) খুন করেছে বড় ভাই জেমস। গতকাল রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া ব্রীজের জামতলা বালুর চর এলাকায় ফেলে রেখে যায়। থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় আজ সকালে বড় ভাই আল ফারুক জেমস (২৪) ও তার সহযোগী সজল মাহমুদ সৌরভকে (২২) আটক করেছে।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান জানান, নিহত জাহিদ হাসান জয় নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার দুধিয়া গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র।
সে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার একটি ম্যাচে থেকে সরকারী আজিজুল হক কলেজে ইন্টারমিডিয়েড প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগে লেখাপড়া করতো। গতকাল সন্ধ্যার জেমস তার ছোট ভাই জাহিদ হাসান জয়কে টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে শহরের কলোনী এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। এসময় জেমস ও তার সহযোগীরা তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে বগুড়া শহরের মাটিডালি হয়ে দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। সেখানে মাইক্রোবাসের মধ্যে গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে জয়কে হত্যা করে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া ব্রীজের জামতলা বালুচর এলাকায় লাশ ফেলে দিয়ে লাশের উপর দিয়ে মাইক্রোবাস চালিয়ে নিয়ে যায়।
মাইক্রোবাস দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মোবাইলে বিষয়টি বগুড়া ডিবি পুলিশকে জানায়। ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেমসকে শহরের কলোনী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জেমস হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
জেমসের দেওয়া তথ্যমতে হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত জেমস এর সহযোগী সুজন হাসান মাহমুদ ওরফে সৌরভকে বগুড়া শহরের ফুলতলাস্থ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে ব্যবহূত মাইক্রোবাসটিও আটক করে পুলিশ। তিনি আরো জানান, ছোট ভাই জয়কে গাড়ীতে তোলার আগে জুসের মধ্যে ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। পৈত্রিক সম্পদ হাতিয়ে নিতে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানায় নিহত জয়ের চাচা নুর ইসলাম বাদী হয়ে উল্লেখিত ২ জনসহ মাইক্রো চালক আব্দুল মান্নানকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।