সুপ্রিয় ভাই-বোন ও বন্ধুরা: কেমন আছেন সবাই। নিজের ব্যক্তিগত কাজে অনেকদিন ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসতে পারেনি। আজকে এসেই আপনাদের দেয়া অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর লেখা পড়লাম আর নিজেও একটা কোন রকম লেখা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু অবাক হলাম যে আমাদের ওয়েব সাইটি আমি নিজেও চিনতে পারছি না কারণ সাইটি আপডেট করা হয়েছে। তবে বেশ ভাল লাগছে নতুনত্ব আনার কারণে।
আজাকে আমার লেখার বিষয় হল ”বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড” বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা পাশাপাশি রেখে যে মাধ্যমগুলো কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাদরাসা শিক্ষা। আর এ মাদরাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ, যার শতকরা ৮৫-৯০%ই মুসলমান। কিন্তু সেখানে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড মাত্র একটি। তাহলে দেশে ধর্মীয় শিক্ষার চাষ কিভাবে হবে।
ধর্মীয় শিক্ষার চাষ না হলে ধর্ম সম্পর্কে মানুষগণ কিভাবে জানবে। আর ধর্ম সম্পর্কে না জানলে বিধর্মীরা মনগড়া মতবাদ দিয়ে আমাদেরকে মিথ্যা হয়রানী করবে। উদাহরণ ¯^iƒc বলা যায় যে-কুরবানীর ব্যাপারে এজন হিন্দু একটি মনগড়া মিথ্যা মতবাদ দিয়েছিল। একটি মুসলিম দেশ তার বিচার করেছিল মাত্র ৫,০০০/-টাকা অর্থদণ্ড। আবার সরকার আইন করে পর্দার ব্যাপারে (বোরখা) বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
যার ইচ্ছা সে পরবে যার ইচ্ছা সে পরবে না। তবে ইভটিজিং বন্ধ করতে হবে। কেমন মানুষিকতা হলে পর্দার বিরুদ্ধে কোর্টে রাই দেওয়া সম্ভব হয় মুসলিম দেশে। পর্দা ছাড়া ইভটিজিং রোধ করা এটা কি সম্ভব?
মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব ঃ একটা মুসলিম দেশে মুসলমানদের ধর্মীয় কালচার সম্পর্কে জানতে হলে তাকে মাদরাসায় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিক শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে।
তাই আধুনিক শিক্ষা মাদরাসায় পড়েও জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান কোন অংশেই কম ছিলনা তাহলে আজকে মুসলমানরা এত পিছিয়ে কেন? তারা শাসক থেকে শাসিত হল কিভাবে? তা হল ধর্মীয শিক্ষার অভাব ও মুসলমানগণ তাদের অতীত ভূলে গিয়ে অর্থ, নারী ও অলসতায় নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছে তাই।
তবে আমি বলছিনা যে মাদরাসায় পড়লেই একজন লোক খুব ভাল মানুষ হবে: কিন্তু একথা বলতে পারি যে, তার ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হওয়ার জ্ঞান ও বিবেক সৃষ্টি হবে। সে খারাপ কাজ করলেও যে কোন সময় তার বিবেক কথা বলবে।
আবার এটাও বলছিনা যে, স্কুল-কলেজে পড়লেই একজন ব্যক্তি খারাপ হয়ে যাবে।
সে ধর্মীয় ব্যাপারে জানার সুযোগ কম পাবে তাই হইত সে আমল কম করবে। সে কোন একটা কথাকে সত্য বলে মেনে বিশ্বাস করতে শুরু করবে কিন্ত কথাটি ভূল।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের উপকার ঃ বাংলাদেশে সকল সরকারী ও অর্ধ সরকারী মাদরাসাগুলিকে এক নীতিমালায় চালানো। সবাই একই ধরনের জ্ঞানার্জনের সুযোগ। যার ফলে একটা মানুষ দেশের যেখানেই যাক সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেনা।
কারণ তার এলাকায় যা পড়ছে এখানেও তা পড়ছে। ধর্ম সম্পর্কে আধুনিকভাবে জ্ঞান অর্জন।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ১টি হলে তার অপকার ঃ যদি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড মাত্র একটি হয় তাহলে তার অনেকগুলো অপকার রয়েছে। নিম্নে তার কিছু উল্লেখ করা হলbr /> ১। অধিক কষ্ট ঃ ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গ বা দক্ষিণ হাতিয়া অনেক দূরের পথ।
এখন একটা মানুষ যদি একটা সার্টিফিকেট বা যে কোন কাজে শিক্ষাবোর্ডে যেতে হয় তাহলে তাকে অনেক দূরের পথ অতিক্রম করে অনেক কষ্ট করার পর এ কাজটি করা সম্ভব হবে। কিন্তু যদি তার বিভাগীয় শহরে শিক্ষাবোর্ডটি হত স্কুল বোর্ডের মত তাহলে তার সমস্যাটি হতনা।
২। দূর্ণীতির সুযোগ ঃ মানুষ জানে এখানে চাকুরী পেলে বদলি বা চাকুরী হারাবার ভয় থাকে না। তাই যে যেখানে বসে সে সেখান থেকে ইচ্ছানুযায়ী দূর্ণীতি করতে পারে।
আবার চাকুরী নেওয়ার সময় ¯^RbcÖxwZ/Ny‡li মাধ্যমে চাকুরী লাভ করতে পারে। কিন্তু যদি একাধিক শিক্ষাবোর্ড হত তাহলে বদলি হওয়ার ভয়ে সে দূর্ণীতি কিছুটা হলেও কম করত।
৩। অলসতার মনোভাব ঃ এক জায়গাই বেশিদিন থাকতে থাকতে অলসতায় ধরে। সে কাজ করলেও তার বেতন চলছে না করলেও চলছে।
মানুষ তার কাছে যেতে হবেই। কিন্তু যদি তার চাকুরী হারাবার ভয় থাকত তাহলে সে অলসতা ছাড়িয়ে কাজ করত।
৪। অযোগ্য লোকের প্রবেশ ঃ যারা পূর্বে চাকুরী করতেছে তারা তাদের আত্মীয়/ ঘুষের মাধ্যমে অযোগ্য লোকদের চাকুরী দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু যদি তারাও বদলির সুযোগ হত তাহলে এক জায়গায় বেশিদিন থেকে স্থানীয়দের মত অসৎ উপায় Aej¤^b করতে পারত না।
৫। মানুষকে মূল্যায়ন না করা ঃ যারা শিক্ষাবোর্ডে আছে তারা মনে করে যে, যে কোন কাজে তাদের কাছেই আসতে হবে তাই তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেনা।
আমার পক্ষ থেকে পরামর্শ ঃ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড আরো বাড়ানো উচিত। প্রত্যেকটা বিভাগে স্কুল বোর্ডের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড স্থাপন করা দরকার এ ব্যাপারে আমাদের সরকারকে সুনজর দিতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পর্কে মৌলিক ধারণা পাবে।
ছাত্র-শিক্ষকের কষ্ট কমবে দূরত্ব কমার কারণে। মিথ্যে হয়রানী থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। মুসলমানদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান পাবে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ যেন সৎ, যোগ্য ও সচেতন নাগরিক গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন খুব দ্রুত।
যেখানে প্রায় প্রতি বছর মাদরাসার ছাত্রই ১ম হয় সেখানে মাদরাসার ছাত্রকে ভাল একটি বিষয় নিতে দেওয়া হচ্ছে না এটা কি আমাদের সরকারের ভাল দিক না খারাপ দিক একথাটি একটু বিবেচনা করে সবাই দেখলে ভাল হয়।
আপনার যারা এ লেখা পড়বেন অবশ্যই আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামতগুলো শেয়ার করবেন বলে আমার বিশ্বাস। যদি কোন অংশ ভূল হয় তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কারণ আমি কোন প্রস্তুতি ছাড়া এ লেখাটি লিখেছি। আবার আমি সব কিছু জানিও না: তবে জানার চেষ্টা করি।
মোঃ ইউছুফ আলী
মোবাইল ঃ 01195101948
E-mail: , , , ,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।