আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুম্বকের কাহিনীঃ যখন সে সত্য মিথ্যা খুজে পেতে সাহায্য করে ....

আমার জন্য আমি। কম কথা বলি। কাজ করতে চাই বেশি। বেশি খারাপ লাগে দেশের সামগ্রিক বিষয়ের দুষ্ট চক্রকে .....

যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পক্ষে সহস্র যুক্তি দেখাতে পারে সেখানকার যুদ্ধোন্মাদ কর্তৃপক্ষ; কিন্তু সেসব যুক্তিকে কুযুক্তি বলে নাকচ করে দেয়ার মানুষও ইরাকে তো আছেই, পুরো বিশ্বেও নেহায়েত কম নেই। ব্যক্তিস্বার্থে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানোর ফন্দি চলে কিছু মানুষের মাথায় সারাক্ষণ।

কোরআন-বাইবেল-বেদ-ত্রিপিটক—কোনো কিছুর অনুশাসনেই তাদের চরিত্র পাল্টায় না। আবার কিছু কিছু কাজ করে থাকে মানুষ নিজের সংস্কারের বশবর্তী হয়ে। যেমন ধর্মীয় অনুষঙ্গ হিসেবে মুরংদের বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে গো হত্যা। হিন্দুরা আবার গরুকে অবতার মনে করে এর মাংস খায় না। সুতরাং সত্য-মিথ্যা বা ন্যায়-অন্যায়ের সংজ্ঞা কখনও উদ্দেশপ্রণোদনায় কখনও-বা সংস্কার ও দেশাচারগুণে আপেক্ষিক।

তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন এক উপায় নির্ণয় করার কথা বলেছেন, যা কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা নির্মোহভাবেই শনাক্ত করে দেবে। এ কাজে তারা চুম্বক ব্যবহারের কথা বলেছেন। তাদের দাবি, চুম্বকই আপনার মাথায় এমন এক চেতনা সৃষ্টি করে দেবে, যাতে আপনি কোনো কিছুর প্রভাব ছাড়াই সত্যি-মিথ্যা বুঝে নিতে পারেন। অর্থাত্ কোন কাজটা করা উচিত আর কোনটা নয়, তা আপনি চুম্বকের স্পর্শগুণেই টের পেয়ে যাবেন। তবে চুম্বকটা হবে বিশেষ ধরনের।

বিশেষ ধরনের এ চুম্বক স্থাপন করা হবে আপনার মাথায়। এর প্রভাবে আপনার নার্ভের ওপর এক ধরনের অনুভূতি সৃষ্টি হবে। তাতে আপনার নৈতিকতা বোধ তথা শুভবোধ মস্তিষ্কের নিউরণে কাজ করতে শুরু করবে। নীতিবিষয়ক চিন্তাভাবনা মস্তিষ্কের যেখানে চলে সেখানে কাজ করবে এ চুম্বকের স্পর্শ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমির সাময়িকী প্রসিডিংসে প্রকাশিত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) রিপোর্টে জানানো হয়েছে এমন তথ্য।

ট্রান্সক্রেনিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিম্যুলেশন (টিএমএস) নামক এ বিশেষায়িত চুম্বকটি বসানো হয়েছিল কিছু আগ্রহী ব্যক্তির মাথায়। পরে তাদের একই ধরনের কিছু প্রশ্ন করা হয়। দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের কেউই এমন কিছু বিশ্বাস করেনি কিংবা বলেনি, যা তার নিজের বেলায় লাভ এবং অন্যের বেলায় ক্ষতি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এতে দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাদের আশা একদিন তারা এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারবেন, যা মানুষকে ন্যায়-অন্যায়ের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে পারে।

সূত্র : দ্য মেইল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।