Speak no evil, hear no evil, see no evil.
প্রথমেই বলে নেই যে জাতিসংঘে চাকরি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন ব্যপার। একটা পদের বিপরীতে ১০,০০০ এরও বেশী এপ্লিকেন্ট থাকে বলে শুনেছি। তথাপিও আমার অনেক বন্ধু বান্ধব জাতিসংঘে চাকরি করছে। আমার মনে হয় লেগে থাকলে এবং সঠিক এক্সপেরিয়েন্স এবং যোগ্যতা থাকলে জাতিসংঘে চাকরি করা সম্ভব। জীবনে এমন অর্থপুর্ন, সম্মানজনক এবং উচ্চ বেতনের চাকরী অন্য কোথাও পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই।
জাতিসংঘে সাধারনত দু ধরনের জায়গায় কাজ করতে পারেন। একটা হচ্ছে হেডকোয়ার্টার্স/ সেক্রেটারিয়েট এ (নিউ ইয়র্ক, জেনেভা, ভিয়েনা ও নাইরোবি) আরেকটি হচ্ছে জাতিসংঘে মিশনে যেখানে আমদের ও অন্যন্য দেশের সেনাবাহিনী মিশনে যায়। অবাক হচ্ছেন? জেনে খুশী হবেন যে মিশনে সামরিক লোকজন যেমন থাকে তেমনি বেসামরিক ব্যক্তিরাও প্রায় সমসংখ্যায় থাকেন। তারা অনেক ক্ষেত্রে কাজ করেন। যেমন ইন্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, আইন, এডমিনিস্ট্রেশন, শিক্ষা, পলিটিকাল এফেয়ার্স, মিডিয়া, হিউম্যান রাইটস, অনূবাদক, যোগাযোগ, টেকনিক্যাল, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি হাজারো কাজ।
জাতিসংঘের পদ গুলো সাধারনত কয়েক ধরনের।
প্রফেশনাল এবং উচ্চ ক্যাটাগরী (P and D)
জেনারেল সার্ভিস ক্যাটাগরী (G, T/C, S, PIA, LT)
ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (N)
ফিল্ড সার্ভিস (FS)
সিনিয়র এপয়ন্টমেন্ট (SG, DSG, USG and ASG)
এ ছাড়াও ইউ এন ভলান্টিয়ার (UNV) বলে একটা ক্যাটাগরী আছে যারা সাধারনত এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কাজ করে থাকেন এবং যাদের বেতন বেশ কম (২০০০ ডলার এর আশে পাশে/মাস)।
ধরে নিচ্ছি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী আছে এবং কাজ করার কিছু অভিগ্গতাও আছে। আপনি প্রফেশনাল এবং উচ্চ ক্যাটাগরীতে (P and D) শান্তি মিশনে (বিশ্বের ২৭ দেশে এখন এই মিশন চলছে) কিভাবে এপ্লাই করবেন তা বলছি।
প্রথমেই বলি যে কাজের জন্য আবেদন করবেন তাতে ন্যুনতম কতদিনের অভিগ্গতা লাগবে।
(P- মানে প্রফেশনাল এবং D - মানে ডাইরেক্টর)
P-2 - ন্যুনতম দু বছর
P-3 - ন্যুনতম পাঁচ বছর
P-4 - ন্যুনতম সাত বছর
P-5 - ন্যুনতম দশ বছর
P-6/D-1- ন্যুনতম পনের বছর
P-7/D-2- পনের বৎসরের ওপরে
এপ্লিকাশনের স্টেপ গুলো:
(বলে রাখি জাতিসংঘে চাকরি পেতে কোনো পয়সা খরচের প্রয়োজন নেই এবং পুরোটাই অনলাইনে হয়। )
১। জাতিসংঘের সাইটে গিয়ে প্রথেমে একাউন্ট খুলুন বা রেজিস্টার করুন।
Click This Link
২। এর পরে আপনি আপনার বেসিক প্রোফাইল তৈরী করন যাতে নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি থাকবে।
৩। এরপর আপনি খসড়া একটা এপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করুন। এটা অনেক টা আপনার রেজিউমে মত। এটা পূরন করতেই মাস খানেক লাগবে আশা করি! খুব মনোযোগ দিয়ে করুন। একবারে করার দরকার নেই।
সেভ করে করে পূরন করুন।
৪। ইউ এন সাইটে যেয়ে মাঝে মাঝেই নতুন চকরীর পোস্টিং দেখুন।
Click This Link
৫। আপনি যে চাকরির জন্য যোগ্য মনে করেন আপনাকে তাতে ক্লিক করে এপ্লাই করুন।
এর সাথে সাথে আপনাকে কিছু ছোট ছোট মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন করা হবে যার উত্তর আপনি দেবেন। উত্তর দেয়া শেষ হলে আপনাকে একটা পারসোনাল স্টেটমেন্ট লিখতে বলবে (সাধারনত ১৫০০ শব্দের যা আগে হতেই লিখে রাখবেন)। এটা আপলোড করবেন। এরপর সব ঠিক থকলে একটা ই মেইল কনফার্মেশন পাবেন যে আপনার এপ্লিকেশন গৃহিত হয়েছে।
৬।
আপনার এপ্লিকেশন যাচাই এর পরে আপনাকে যোগ্য মনে হলে একটা এসেসমেন্ট পরীক্ষার জন্য আপনাকে বলা হবে। এটা একটা লিখিত পরীক্ষা বা কেস স্টাডির মত যা বাংলাদেশেই বসে দেবেন।
৭। এর পরে আপনি উপরের ধাপ পার হলে একটা ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে যা সাধারনত অনলাইনে হয়।
৮।
ইন্টারভিউ এ যোগ্য হলে আপনি চাকরীর অফার পাবেন! সাধারনত প্রথমে ৬ মাসের অফার থাকে যা পরে আপনার কাজের ওপর নির্ভর করে বাড়বে।
মনে রাখবেন আপনি যে ধরনের কাজের জন্য যোগ্য শুধু সে ধরনের পোস্টেই এপ্লাই করবেন। এপ্লিকেশন সাবমিট করার আগে পো্স্টের বিভিন্ন দিক দেখে রেজিউমে টা সাজাবেন। সব ধরনের পোস্টের জন্য একই রেজিউমে দেয়া ঠিক হবে না।
এটা খুবই ছোট আকারে দেয়া হোলো।
ভবিষ্যতে এর আপডেট দেবার আশা রাখি ইনশাআল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।