তিনি শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসানে জাতিসংঘ সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের নিউ ইয়র্কে ডেকে আনার কোনো উদ্যোগ কখনোই নেয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব কোনো প্রস্তাবও আমাকে দেননি। ”
আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই প্রধান দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন সম্প্রতি দুই নেত্রীকে টেলিফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আলোচনার জন্য এই মাসেই নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিউ ইয়র্কে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে উদ্যোগের একটি খবর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
তবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এই খবরটি ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিলেন।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের নিজস্ব আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এই প্রত্যাশা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের। কারণ, বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন পর্যায়ে ৬ সহস্রাধিক নির্বাচন হয়েছে। একটি নির্বাচনেও কারচুপির কোনো অভিযোগ ওঠেনি। ”
সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে সংসদ বহাল রেখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না এবং সংসদ বহাল থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তা না হলে নির্বাচন বয়কটের হুমকিও রয়েছে তাদের।
দুই দলের বিপরীত অবস্থানে কূটনীতিক মহল থেকে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দুই নেত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।