আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
তিউনিসিয়ার পথে হাটছে মিশর, পরিবারসহ বৃটেনে পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট পুত্র গামাল
গণআন্দোলনের মুখে মাত্র কয়েকদিন আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিউনিশিয়ার সরকার প্রধান বিন আলি। এবার আন্দোলন শুরু হয়েছে মিসরেও। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় ৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে আন্দোলনের মুখে আতঙ্কিত হয়ে স্ত্রী ও মেয়েসহ বৃটেনে পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ছেলে গামাল মোবারক।
আর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভ, আন্দোলন, মিছিল, প্রতিবাদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তারপরও ফেসবুকের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে সরকার পতনে রাজপথে নেমেছে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী।
মিসরের শান্ত পরিস্থিতি হঠাৎ করে কী কারণে এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে, তা ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্লেষকদের। তাদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে তিউনিশিয়ার মতো মিসরেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগাম সতর্কতা হিসেবে ‘ডে অফ রিভোল্ট’র চাপে পড়ে সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মিসর সরকার।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা জানায়, সরকারি নির্দেশে সব ধরনের মিছিল, প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিলে বা বিক্ষোভে যোগ দিলে কোনো ব্যক্তি গ্রেপ্তার এবং কারাবাস এড়াতে পারবে না।
দেশটির পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবিসি জানায়, বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক পুলিশসহ তিনজন নিহত হয়। সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে তিউনিশিয়ার ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাজধানী কায়রোতে হাজার হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামে। এক পর্যায়ে তা দেশের বড় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় প্রায় ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর ময়দান আল-তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হয়। তারা মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান চায়। বিরোধী আল ঘাদ পার্টি, মুসলিম ব্রাদারহুড পার্টি, দি আল আহাদ পাটির্র সমর্থকরাও এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে ‘এপ্রিল ৬ মুভমেন্ট’ নামে একটি গ্রুপ পেজ ডেভেলপ করেছে সরকারবিরোধী তরুণরা।
আর ওই গ্রুপের পেজে জানানো আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে ভবিষ্যতেও মৌলিক খাবারে ভর্তুকি দেয়া হবে বলে এরই মধ্যে জনগণকে আশ্বস্ত করেছে সরকার।
পালিয়েছে হোসনি মোবারকের ছেলের পরিবার : স্ত্রী ও মেয়েসহ বৃটেনে পালিয়ে গেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ছেলে গামাল মোবারক। আল-আরব নামে একটি ওয়েবসাইট জানায়, মঙ্গলবার রাজধানী কায়রোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এলে প্রেসিডেন্টের ছেলে জামাল পরিবার ও ৯৭টি মালপত্র ভর্তি লাগেজ নিয়ে বৃটেনের একটি বেসরকারী বিমানে করে লন্ডনে পালিয়ে যান।
সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।