২০০৯ সাল থেকে দেশের পুঁজিবাজার দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। দেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটকে মাথায় রেখে সরকার মুনাফার টাকা শিল্পায়নের পরিবর্তে শেয়ারমার্কেটে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করে। এ লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো শেয়ার মার্কেটে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়। এরপর থেকে একের পর এক ইস্যু বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাজার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ে।
এ ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে- কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, পুঁজিবাজারে মুনাফার টাকা করমুক্ত রাখা, সঞ্চয় পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেওয়া, ফেসভ্যালু পরিবর্তন, বুকবিল্ডিং পদ্ধতি, ব্যাংকের সীমার বাইরে বিনিয়োগ, বিও এ্যাকাউন্ট বৃদ্ধি, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেটে প্রশ্নহীন ভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে যারা কালো টাকা বিনিয়োগ করবেন তাদের টাকার উৎস সরকার জানতে চাইবে না। এ সুযোগে বছরের প্রথম থেকেই শেয়ার বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়তে শুরু করে।
বছরের শেষ দিকে এসে কালো টাকা বৈধ করার হিড়িক পড়ে যায়। ফলে লেনদেনও হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে। এভাবে ধীরে ধীরে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। এতে শেয়ারের দরও অতিমূল্যায়িত হতে থাকে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে সমালোচনার সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে করের হার।
সাধারণ এবং সৎ করদাতা যারা নিয়মিত কর দেন তাদের কর নির্ধারণ করা হয় শতকরা ২৫ ভাগ। আর যাদের কাছে কালো টাকা আছে, ১০ ভাগ কর দিয়ে তাদের কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রথমদিকে শেয়ার বাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রবণতা কম থাকলেও শেষ দিকে এসে বিপুল অংকের কালো টাকা বিনিয়োগ হয় শেয়ার বাজারে। যার প্রভাব লেনদেনের ওপর পড়তে দেখা যায়। পরে বিভিন্ন সমালোচনার মুখে ২০১০-১১ অর্থবছরে এ সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
পুঁজিবাজারে মুনাফার টাকা করমুক্ত রাখা
পুঁজিবাজারে মুনাফার টাকা করমুক্ত রাখা হয়েছে। এতে বড় পুঁজির বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ২০১০-১১ বাজেটে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ কর রাখা হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মুনাফার ওপর কর রাখার আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন মহলের চাপে তা করা হয়নি। ফলে অনেক বড় পুঁজির বিনিয়োগকারী কোটি কোটি টাকা অন্যান্য ব্যবসার খাত থেকে তুলে এনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে টাকার প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেওয়া
২০১০ সালে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেয় সরকার। এতে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী সঞ্চয়পত্র ভেঙ্গে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। সাধারণত সরকারি চাকরিজীবিদের অধিকাংশই পেনশন ও অবসর ভাতার টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখতেন। কিন্তু হঠাৎ সরকারি ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে দেয়। ফলে সঞ্চয়পত্র থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ কমে যায়।
এতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারমুখী হয়ে পড়ে। এটি মার্কেটে তারল্য প্রবাহে ব্যাপক ভুমিকা রাখে।
ফেসভ্যালু পরিবর্তন
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্তে এ বছরে সকল শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা করার উদ্যোগ নেয় এসইসি। কিন্তু গত বছর ৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তন না করার নির্দেশ দেয়া হয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরবর্তী ৪ মাসেও ওই নির্দেশনা কার্যকরের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হচ্ছে না বলে ধরে নেয়া হয়ে ছিলো।
পরে গত ১ মার্চ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভবিষ্যতে সব কোম্পানির শেয়ারের ফেসভ্যালু ১০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে এবং বিদ্যমান শেয়ারের ফেসভ্যালু অপরিবর্তিত থাকবে। এসইসির এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে ওইসময় যেসব কোম্পানি তাদের শেয়ারের ফেসভ্যালু ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দিয়েছিলো তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। পরে ফেসভ্যালু পরিবর্তনের জন্য এসইসির আবারও সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত অর্থমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফেসভ্যালু পরিবর্তন বাধ্যতামূলক নয়। কোম্পানিগুলোর ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসইসির এ সিদ্ধান্তের পর কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফেসভ্যালু পরিবর্তনের জোয়ার শুরু হয়। এতে বাজারও ব্যাপক প্রভাবিত হয়ে পড়ে। কোম্পানিগুলো নিজেদের সুবিধা মত সময়ে ফেসভ্যালু পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে শেয়ারের দর ব্যাপক বাড়িয়ে দেয়। যদিও ফেসভ্যালু পরিবর্তনে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল কোনো পরিবর্তন আসছে না।
কিন্তু মনস্তাত্বিক কারণে বিনিয়োগকারীরা ফেসভ্যালু পরিবর্তনের ঘোষণাকে ইস্যু করে ওই কোম্পানির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। ফলে এ ইস্যু শেয়ারবাজারের অধিকাংশ শেয়ারকে অতিমূল্যায়িত করে ফেলে।
বুকবিল্ডিং সিস্টেম
এসইসি গত বছর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে। আইপিওর ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যাধুনিক মূল্য নির্ধারক পদ্ধতি। বড় পুঁজির কোম্পানিগুলো বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি হতে পারবে।
এ পদ্ধতিতে কোম্পানির অবশ্যই ৩০ কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পদ থাকতে হবে। ইস্যুয়ার/শেয়ার ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান যথাযথ ডিসকোজার, প্রেজেনটেশন, ডকুমেন্ট, সেমিনার, রোড শোর মাধ্যমে নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ারের নির্দেশিত মূল্য আহ্বান করবে। প্রথমবারের মতো বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আরএকে সিরামিকস তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন পায়। কিন্তু এ পদ্ধতির মূল্য নির্ধারণে ত্রুটি থাকায় কোম্পানিগুলো বাজারে আসার আগেই অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া সব কোম্পানির শেয়ারই লেনদেন শুরুর আগেই অতিমূল্যায়িত হয়ে গেছে।
অতিমূল্যায়নের অভিযোগে এসইসি বর্তমানে কোনো শেয়ারের বাজার মূল্য ও আয়ের অনুপাত ৪০-এর বেশি হলে মার্জিন ঋণ দেয়া বন্ধ রেখেছে। অথচ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসা সব কোম্পানি পিই অনুপাত ৪০-এর ওপরে থেকেই লেনদেন শুরু করে। এ পদ্ধতিতে প্রথম মূল্য নির্ধারিত হয় ওশান কন্টেইনারের। ২০০৯ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয় ১৪৫ টাকা।
ফলে লেনদেন শুরুর আগেই প্রতিটি শেয়ারের দর এর প্রকৃত আয়ের তুলনায় ৬০ গুণ বেশি নির্ধারিত হয়। আরএকে সিরামিকের ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা। বুক বিল্ডিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৮ টাকা। শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগেই কোম্পানির পিই অনুপাত দাঁড়ায় ৪৪। খুলনা পাওয়ারের ইপিএস ছিল ২ টাকা ৭৯ পয়সা।
এ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয় ১৯৪ টাকা। ফলে লেনদেনের শুরুতেই খুলনা পাওয়ারের শেয়ারের পিই দাঁড়ায় ৬৯। বর্তমানে বাজারে আসার প্রক্রিয়াধীন মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টসের সর্বশেষ বার্ষিক হিসাবে ইপিএস ২ টাকা ৪৫ পয়সা। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫২ টাকা ৪০ পয়সা। এতে মবিল যমুনার পিই দাঁড়াচ্ছে ৬২।
সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টসের ইপিএস ৪ টাকা ৮০ পয়সা। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ধরা হয়েছে ১৮৫ টাকা। ফলে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণের আগেই ইউনিকের পিই দাঁড়াচ্ছে ৩৮.৫০। মূলত অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নেয়ার উদ্দেশ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে এসব প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
ব্যাংকের সীমার বাইরে বিনিয়োগ
গত দুই বছরে বাজার সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে।
বাজারে তারল্য প্রবাহে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বছরে ব্যাংকগুলো মুনাফার সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে। এ মুনাফা বৃদ্ধির প্রধান কারণ শেয়ারবাজার। ব্যাংকগুলোর প্রধান ব্যবসা হলো ঋণ। এর বাইরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দেয়া আছে।
কিন্তু এ বছর ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের খেলায় মেতে ওঠে। শেয়ারবাজারের সূচক ৮ হাজার পয়েন্টে উঠানোর মূল ভুমিকার ছিল ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ। এর ফলে এ খাত থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন করতে পেরেছে। ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফার সিংহ ভাগ এসেছে শেয়ার বাজার থেকে।
বিও এ্যাকাউন্ট বৃদ্ধি
২০১০ সালে বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ফলে উল্লেখযোগ্য হারে বিও একাউন্টের সংখ্যাও বেড়েছে। এক বছরের ব্যাবধানে বিও এ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন বেড়েছে। এ বছর বিও এ্যাকউন্ট প্রায় ৩২ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীর স্রোত কমাতে ২০১০-’১১ অর্থবছরের বাজেটে বিও ফি বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯-এর ১ জানুয়ারি দেশে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৮৪ হাজার।
গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যার পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮টি। আর এখন তা ৩২ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। এ বছরের ১১ মাসে ওপেন হয়েছে ২০ লাখ বিও। বিও এ্যাকাউন্ট বাড়ায় বিও ফি থেকে সরকারের উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ আয়ও হচ্ছে। এ বছরে শেয়ারবাজার সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় ব্রোকারেজ হাউজ খোলার ঘোষণা দেয় ডিএসই।
ইতমধ্যে ২৮টি জেলায় ব্রোকারেজ হাউজের ব্রাঞ্চ খোলা হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্টতা বাড়ার সাথে সাথে টাকার প্রবাহও বেড়েছে।
চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা
বাজারে চারদিক থেকে যে হারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে সে হারে শেয়ার সরবরাহ বাড়েনি। চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীতার কারণে শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে। গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মাত্র ২৫টি প্রতিষ্ঠান বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর নন ডিমেট ২৫ টি কোম্পানি তালিকাচ্যুত করা হয়। এতে কোম্পানির সংখ্যা আরও কমে যায়। বাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে সরকার দফায় দফায় সরকারি কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনার ঘোষণা দিলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বাজারের ২৫ শতাংশেরও বেশি শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালের শেষ দিন বাজারের আর্থিক লেনদেন ছিল ৯২০ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার টাকা।
ওই দিন বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২২ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৩৫ পয়েন্ট এবং ডিএসআই ইনডেক্স ছিল ৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্ট। ২০১০ সালের শেষ দিন এসে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এদিন বাজার মূলধন হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ কোটি ৫৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। ডিএসইর সাধারণ সূচক হয়েছে ৮ হাজার ২৯০ পয়েন্ট এবং ডিএসআই ইনডেক্স হয়েছে ৬ হাজার ৮৭৭ পয়েন্ট।
২০০৯ সালের সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০ অক্টোবর ১ হাজার ২৪৫ কোটি ১৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ওই দিন বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা। ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৩ হাজার ৩২৬ পয়েন্ট এবং ডিএসআই সূচক ছিল ২ হাজার ৭৮৭ পয়েন্ট। ২০১০ সালে এসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৫ ডিসেম্বর। এদিন আর্থিক লেনদেন হয় ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং বাাজার মূলধন হয় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইর সাধারণ সূচক হয় ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্ট এবং ডিএসআই পয়েন্ট হয় ৭ হাজার ৩৮৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে যাওয়ায় গত ২০ জানুয়ারি শেষ কার্য দিবসে সাধারণ সূচক ৬ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।