পুরাটা না পড়লে অনেক আম্লিগ আমারে ছাগু ভাবতে পারে। তাই পুরাটা কষ্ট কইরা পইরেন। আগামি ৩-৪ মাসে আর ব্লগের ধারে কাছে আসতে পারবো না।
আজকে খালেদার ভাষণের পর মাথা পুরা আউলাইয়া গেল। ধারণা করেছিলাম খালেদা পুরোপুরি জামাতকে সমর্থন করবে না।
কিন্তু খালেদা আজকে সরাসরি জামাতের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করে দিলো। এতে করে কি লাভ বা ক্ষতি হল?
পাড় আ.লিগ সমর্থককে স্বীকার করতে হবে, প্রতি ৫ জনে ১ জন বিএনপিকে অন্ধভাবে সমর্থন করে ( আমার বাবা)। যেখানে জামাতকে সমর্থন করে বেশি হলে ৩০ বা ৫০ জনে ১ জন। ফলে এখন একটা বিশাল জনগোষ্ঠী জামাতের পক্ষে চলে গেল। ফলে জামাতি দাঙ্গাবাজগুলো একটা মোরাল সাপোর্ট পাবে।
তারা হবে আরও সহিংস। বলা যায়, দেশটা আসলেই দুই ভাগ হয়ে গেছে।
কিন্তু সব দোষ কী জামাত আর খালেদার?? অনেক চিন্তা করার পর আমার গবেষণা মুলক এই পোষ্টঃ
১। আ. লিগঃ
বাংলাদেশের "সো কলড" মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল, যারা কিনা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে (?) আদর্শিত। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য তাদের দায় সবচেয়ে বেশি, কারনঃ
১।
তারা ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নাম করে ক্ষমতায় আসে, কিন্তু ২০১৩ হয়ে গেলেও বিচার শেষ করতে পারেনি।
আ.লিগের এটাই কুটবুদ্ধি ছিল যে, নিরবাচনের আগ পর্যন্ত বিচারটা টেনে নিয়ে যাব। এতে কি ফায়দা হবে তাদের? বিরাট ফায়দা হবে। এখন শাহবাগের সমর্থক যারা আছে, এমনকি আমিও এখন নির্বাচন হলে আ.লিগকে ভোট দিব। কারণ বিএনপি বা জামাতকে ভোট দিলে সাইদি বা গোলাম আজমের বিচার জীবনেও হবে না।
তাছাড়া গত ৫ বছরে আ.লীগ যে অপকর্ম করেছে, টা সুন্দর ভাবে চাপা পড়ে গেল।
২। কথায় কথায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা হচ্ছে, ব্লা ব্লা ইত্যাদি ফাউল কথা বলে মানুষকে বিরক্ত করেছে।
৩। যেখানে সাইদির ২০ তার মধ্য ৮ টা প্রমানিত, তাতে ফাঁসি দিলো, সেখানে কাদের মোল্লার ৬ তার মধ্যে ৫ টা প্রমানিত হল, যা সাইদির চেয়েও গুরতর, তাকে কেন ফাঁসি দেয়া হল না???
এতে কি সরকারের কোনো হাত নেই?? অবশ্যই আছে।
৪। উপযুক্ত সাক্ষী জোগাড় করতে না পারার ফলে নানাভাবে বিচারকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। এর দায়ভারও সম্পূর্ণভাবে সরকারের উপর পড়ে।
৫। ম খা ৭১ এর সময় চট্রগ্রামের জেলা প্রশাশক ছিল, কিন্তু গনহত্যার হোতা ছিল মির কাশেম আলী।
কিন্তু, ৭১ এ ম খা যেহেতু পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে, তাকে কেন মন্ত্রির পদে রাখা হয়েছে??
৬। বেয়াই এর কথা বাদই দিলাম।
৭। কেন হাসিনা নির্লজ্জ ভাবে এক দুর্নিতিবাজ আবুলের পক্ষ নিয়ে দেশের সম্মান ভুলন্থিত করেছেন?
৮। ব্লগার রাজিব শিবিরের হাতে মরার পর তার বাসায় যান, বিশ্বজিৎ মরার পর কেন তার বাসায় যান না?? বাসা চিনেন না? নাকি ভাড়া ছিল না?
বিশ্বজিতের খুনের দায়ভার ম খা আর প্রধানমন্ত্রীর উপরই পড়ে।
বামপন্থীঃ
১। এদের কুকীর্তির জন্য দেশের আজ এই দশা। বঙ্গবন্ধুকে মারার দায়ভার অনেকটা তাদের উপর পড়ে। এই মেনন- ইনুদের ভাসানি পর্যন্ত মানুষ করতে পারে নাই।
২।
বামপন্থীরা হল জামাতের আরেক পিঠ। ওরা একা জীবনেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওরা
৩। আপনার কি মনে হয়, আজ বামপন্থীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরব, তারা কি দেশের কলঙ্ক মোচন করতে চায়??
না, তাদের মূল প্রতিপক্ষ হল জামাত আর ধর্ম ভিত্তিক দল। তারা চায় জামাতের আরালে সকল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে।
প্রমান চানঃ
যেখানে শাহবাগে কখনই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিশিদ্ধের দাবি তোলা হয় নি, সেখানে ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি ফলাও করে প্রচার করেছে, শাহবাগে নাকি দাবি ৭ টি। শেষ দাবি হল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা!!!!
জামাত ও শিবিরঃ
১। একটা কুত্তাকেও হাজার বার মারলে ও আক্রমণ করবে, জামাত তো কুত্তারই সমতুল্য!!!
২। জামাত আসলে কোনো ইসলামী দল না, তারা বাল, বিএনপির মত মেইন্সট্রিম রাজনৈতিক দল।
৩।
এরা ইসলামের ধোঁয়া তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
৪। কয় দিন আগে এক বন্ধু বলছিল, " তুমি যখন কোনো শিবিরতের মাহফিলে যাবে, তারা তোমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে যে তুমি একজন পুর্নাঙ্গ মুসলমান না। যখন তুমি দেখবে একটা মানুষ তোমাকে ভালো পথের দিকে ডাকছে, তখন তুমি তার সব কথা বিশ্বাস করবে। ঠিক তাই হচ্ছে জামাত আর শিবিরের ক্ষেত্রে।
তারা এভাবেই সাধারন মানুষকে ব্রেন ওয়াশ করেছে। "
৫। আমরা দেশকে যত না ভালোবাশি, জামাতিরা তাদের নেতাকে এর চেয়ে বেশি ভালোবাসে। ১/১১ এর সময় হাসিনা বা খালেদার জন্য লীগ বা দলের কাউকে দেখেছিলেন প্রান দিতে!!!
৬। জামাত খুবই শু সংঘটিত দল।
তাদের প্রথম সারির নেতারা অপরাধী তা মধম সারির নেতারা জানে। কিন্তু নেতার আদেশ অমান্য করার পপ্রথা তাদের দলে নেই। ফলে তারা অরাজকতা চালাচ্ছে।
কিন্তু একটা কথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে, আজম,সাইদি, নিজামি, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান মারা গেলেও জামাত কিন্তু বন্ধ হবে না। তাদের তৃণমূল খুবই শক্ত।
তাও তারা শক্তি ক্ষয় করছে আর আস্তিক- নাস্তিকতার ধোঁয়া তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
বিএনপিঃ
১। আজ যদি বিএনপি জামাতকে ১০০% সমর্থন না দিয়ে পুর্বের ন্যায় হিজুগিরি কিংবা আমাদের সমর্থন দিত, তবে দেশ আজ গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচত।
এই কয় দিন জামাত যে তাণ্ডব করছে, আজ বিএনপির সমর্থনের পর তারা আরও বাড়াবে।
২।
বিএনপির অনেক নেতা চিল্লাইতেসে, ৪০ বছর পর বিচার করার কী দরকার, তাদের জন্য
৪০ কি ৪০০ বছর ও বড় ব্যাপার না। মানুষ বাল্কে ২০০৯ সালে ভোট দিসিল কারণ তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইত। কিন্তু বাল আজ এইতাকে রাজনৈতিক জিনিস বানাইসে।
আর বিএনপি কাদের সাথে জোট করসে!!! যারা ৭১ এ জিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করত তাদের সাথে! একটা জোট তখন হয় যখন তার মধ্যে মতের মিল হয়। কিন্তু জামাত আর বিএনপির মধ্যে কি মিল আছে!!!??! তারা করছে ভোটের রাজনীতি, দেশের নয়।
এই কথা বাল আর বামপন্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
৩। বিএনপি যদি আজকে শাহবাগে সমর্থন দিত, তবে অনেক মানুষ তাদের ভোট দিত ঠিকই, তবুও একটা সন্দেহ থাকত। কিন্তু জামাতকে সমর্থন দেবার ফলে তারা জামাতিদের ভোটব্যাঙ্ক তাদের দখলে নিল।
৪।
আপনারা কি ভাবসেন, বিএনপি আমগোরে সাপোর্ট করবো??
ওগো আলিম আর ফাকার ( সাকা) জেলে পইড়া আছে। অগোরে ছাড়া বিএনপি তো অচল!!!
পরিশেষেঃ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। এই বিচার করতে গিয়ে আর চাইতে গিয়ে আজ সবার মুখোস খুলে গেছে।
আমাদের বাবা- মা রা এদের চিনার পরও ভোট দিয়েছে। বারবার সুযোগ দিয়েছে।
আর তারা আমাদের দুর্নীতির মেডেল আর লাশ ছাড়া কি দিয়েছে??
দয়া করে এই বাল, বিএনপি, শিবির আর বামদের সমর্থন করা ছারুন! নইলে ওরা দেশে শেষ করে দেবে!
আজকের এই পরিস্থিতির দায় বর্তায় আ.লিগ, বিএনপি, জামাত, বামপন্থী এমনকি আমাদের বাপ মা দের উপর ও, কারণ তারা এই সব কুলাঙ্গারদের ভোট দিয়েছেন। ।
.........................
দেশে আগে হাজারটা সমস্যা দেখলেও আশার আলো ঠিকই ঝলকানি দিত। কিন্তু আজকে আমি আলোর সামান্যতম রশ্মি দেখতে পারছি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।