মার্কিন ফাঁদে সুদান
সুদানকে ভাগ করা হচ্ছে। সুদানকে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে নেয়া এজেন্ডায় বিভক্তক করা হবে। সুদান হবে উত্তর সুদান আর দক্ষিণ সুদান। দক্ষিণ সুদান অপেক্ষাকৃত অনুন্নত। বিভিন্ন্ উন্নয়ন অবকাঠামোও মুল অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ও দুর্বল।
সুদানে প্রতিদিন ৫ লাখ তেল উত্তোলন করা হয়। তবে এর বেশি অংশ দক্ষিণ সুদানে। তাদেরকে বোঝানো হয়েছে তারা বিভক্ত হলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে। তাদের উন্নয়ন অবকাঠামোতে সহায়তা করা হবে। সেখানে বিনিয়োগ করা হবে।
উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেয়া হবে।
এসব মার্কিন কথাবার্তা। ইসরাইল তাদের সহযোগী। আফ্রিকার শক্তিশালী ও বৃহৎ দেশটি ভবিষ্যতে আর এই অবয়বে থাকবে না। ধারণ করা হচ্ছে ভাঙ্গন তাদের হবেই।
ইতোমধ্যে গণভোট হয়ে গেছে। যতটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে সুদান বিভক্ত হচ্ছে। এই বিভক্তি দক্ষিণ সুদানকে কতটুকু লাভবান করবে সেটা ভবিতব্য। তবে অঙ্গহারা নতুন নামের উত্তর সুদান হবে অনেক দুর্বল। তারা তাদের পূর্বের শক্তি হারাবে।
সীমা রেখা হারাবে। তাদের বৃহৎ ও শক্তির মাত্রা কমে যাবে। যদিও মার্কিনরা তাদের নানা সহায়তার প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছে। তবে সামরিক ও কৌশলগত উভয় দিক দিয়েই বিভক্ত দু্ই সুদানই হবে নিরাপত্তাহীন। উভয়ের নিরাপত্তাই তখন হুমকির সন্মুখীন হবে।
যাদের ষড়যন্ত্রে বিভক্ত করা হচ্ছে সঙ্গত কারণেই নতুন দক্ষিণ সুদান তাদের বশ্যতা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হবে। বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ইত্যাদির প্রলোভনে পরা দক্ষিণ সুদান হারাবে নিজস্ব স্বাধীনতা। তারা অধীন হবে আমেরিকা ও ইসরাইলের। এই দুই দেশের স্বার্থ হচ্ছে তার এখানে সামরিক ঘাঁটি বানাবে। আফ্রিকা তথা মুসলিম দেশসমূহের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের ঘাঁটি বানানো হবে এখানেই।
তাদের কৌশল গত অবস্থান হবে এটা। দারফুর নিয়ে সুদান যেরকম সমস্যায় আছে সেটাতেও হয়তো তারা এক পর্যায় ছাড় দিতে বাধ্য হবে। নতুবা তাদের বাধ্য করা হবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতি ভাবে দুই সুদানই তখন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধীনস্ত হয়ে যাবে। সুদান বিভক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যের লোলুপ দৃষ্টিতে অনিবার্য বোঝাই যাচ্ছে।
ইসরাইলও নিরাপদ হবে এবং তারা আরো শক্ত করে নতুন অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে।
বিভক্ত উভয় সুদানই দুর্বল দেশে পরিণত হলে বর্তমান সুদান স্বাভাবিক ভাবেই তার শক্তি হারাবে। একই সাথে তেলসমৃদ্ধ দেশটির তেল সম্পদকে হস্তগত করবে এরা। তারা তাদের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করবে এখানে। এরকমই নানা চক্রান্তের মার্কিন ইসরাইলের পাতা ফাঁদেই বিভক্ত হচ্ছে সুদান।
১৫ জানুয়ারি সপ্তাহব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশ হতে মাসখানেক লাগবে। তবে দুই ভাগের মধ্যে এখনো সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়নি। পৃথিবীর আরো অনেক দেশেই স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চললেও সেখানে বর্তমান অবস্থান বজায় রেখেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাদের স্বার্থ জিইয়ে রাখছে। সেসব অঞ্চল কবে স্বাধীন হবে বা আদৌও হব্ছে কিনা বিশ্ববাসীকে আপাতত হয়তো তাও ভুলিয়ে রাখা হবে।
সুদান বিভক্তি সফল হলে এরপর অন্য একটি দেশকে তারা নতুন করে বেছে নেবে। সে ষড়যন্ত্র হয়তো অনেক আগেই শুরু হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।