ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই। চলছে ফেনসিডিল ও ভারতীয় পণ্য পাচারও। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা কল্যাণ-তহবিল বা সমিতির নাম ভাঙিয়ে করছে চাঁদাবাজি। পিছিয়ে নেই থানা, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ। ইতোমধ্যে চাঁদা তুলতে গিয়ে একাধিক গণধোলাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।
সিরাজগঞ্জ : পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসে স্লিপ দিয়ে ও স্লিপবিহীন টাকা উত্তোলন করছে। এসব পয়েন্টে চলাচলকৃত যান থেকে থানা, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশও ফিটনেস ও কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে চাঁদাবাজি করছে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। পাশাপাশি মাদক ও ভারতীয় পণ্য জব্দ ও তা ছেড়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর অর্থ। এ ছাড়া এ সড়কে প্রায়ই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
সর্বশেষ শনিবার রাতে মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোনারগাঁ : সোনারগাঁর কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে পুলিশ ও শাসক দলের কর্মীরা বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবহন মালিক ও চালকরা। চাঁদাবাজি বন্ধে ইতোমধ্যে তারা স্বরাষ্টমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ঈদ সামনে রেখে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে চাঁদাবাজি। থানা ও হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে একশ্রেণীর লোক পরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করছে।
প্রতিটি যানবাহন থেকে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আসাদুজ্জামান জানান, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁ : জেলায় পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চাঁদা তুলতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন কয়েকবার। সাধারণ মানুষকে হয়রানির ভয় ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অাঁতাত করে চাঁদাবাজি করছে পুলিশ।
২২ জুলাই বদলগাছী উপজেলার চকমথুর গ্রামে ডিবি পুলিশ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।