আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাসড়কে রাজনৈতিক বর্বরতা

শুক্রবার ভোররাত। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক। যানজটে স্থবির পাঁচ শতাধিক গাড়ি। স্থানে স্থানে ককটেল, ইটপাথর নিয়ে নির্বিচার হামলা। নারকীয় তাণ্ডব।

নারী-শিশু-বৃদ্ধ—কারও রেহাই নেই। আহত শতাধিক যাত্রী।
শুক্রবার ভোররাত। ফেনীর দাগন-ভূঞায় নৈশকোচে হামলা। যাত্রীদের মারধর।

টাকাপয়সা, মালামাল লুট। পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন।
শুক্রবার রাত একটা। রাজশাহী-নওগাঁ সড়কের দেওয়ানপাড়া। ধানবোঝাই চারটি ট্রাকে আগুন।

আগুন ওষুধের গাড়িতেও।
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের হঠাৎ ৭২ ঘণ্টা অবরোধের খণ্ডচিত্র এটি। অবরোধের আগপাছ বিবেচনায় নেই। হামলা যেন অনিবার্য। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, চাঁদপুর—অবরোধের ডাক দেওয়ার আগে রাস্তায় নামা যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকের ওপর হামলে পড়ার একই চিত্র সবখানে।

অপ্রস্তুত মানুষের ওপর পরিকল্পিত হামলা। মহাসড়কজুড়ে এক অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক বর্বরতা।
টানা তিন দিনের অবরোধের পর সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে বের হন শুক্রবার। যানবাহনের চাপে দুপুরের পরই বিভিন্ন মহাসড়কে যানজট লেগে যায়।
যাত্রী, মালামাল নিয়ে আটকা পড়ে হাজার হাজার যানবাহন।

এর মধ্যেই শুক্রবার রাত ১০টায় হুট করে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। শুক্রবার ভোরেই মাত্র শেষ হয়েছিল তাদের ৭১ ঘণ্টার অবরোধ।
‘অপ্রস্তুত সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার এই আয়োজনের’ খবর তখনো পাননি অনেকে। সেসব যাত্রী আর যানবাহন ততক্ষণে মহাসড়কে নেমে গেছে, তারা এখন ‘গণতন্ত্রের বলি’। অবিবেচক কর্মসূচির ফাঁদে পড়া মানুষ পালাবেন কোথায়! তাঁরা রাস্তায় মার খেয়েছেন।

সর্বস্ব হারিয়েছেন। পারলে বড়জোর কিছু ক্ষোভ ঝেড়েছেন। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তাঁদের জন্য সান্ত্বনার বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে অবরোধ পালন করা হচ্ছে। সহানুভূতি কিংবা অনুকম্পা দেখিয়ে কোনো গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।


ভোর ছয়টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার ঘোষণা দিলেও রাতেই শুরু হয় তাণ্ডব। পথে পথে জটে আটকে থাকা যানবাহনে হামলা-ভাঙচুরের সময় অসহায় যাত্রীদের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি ছিল না অবরোধকারীদের। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনাসহ সব মহাসড়কে শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার পুরো দিন ছিল অবিশ্বাস্য অবস্থা।
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গগামী পাঁচ শতাধিক দূরপাল্লার বাস-ট্রাক বগুড়ার শেরপুরসহ বিভিন্ন অংশে ভোররাতে আটকা পড়ে। সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যে ৭০-৮০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালান অবরোধকারীরা।

প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কিত যাত্রীরা যে যেভাবে পারেন, পড়িমরি করে গাড়ি ছেড়ে নেমে যান। তার আগেই ইটপাথরের আঘাতে আহত হন অনেকে। রাত সাড়ে চারটার পর থেকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপজেলার ধনকুণ্ডি, ঘোগা বটতলা, ছোনকা, মির্জাপুর আমবাগান, হাওয়াখানা মোড়, শেরুয়া বটতলা, হামছায়াপুর, ধুনট রোড, খেজুরতলা, কলেজ রোড, মহিপুর দুগ্ধ খামারের সামনে, গাড়িদহ ও দশমাইল এলাকায় ঘটে এসব হামলার ঘটনা।

হামলায় শিকার একাধিক বাসের যাত্রীরা বলেন, প্রতিটি স্থানে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন করে যুবক পাথর ও ইট ছুড়ে এ হামলা চালান। আহত হন শতাধিক নারী-পুরুষ।

অবরোধকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন গোবিন্দগঞ্জগামী বাসযাত্রী বৃদ্ধা জহুরা খাতুন। বললেন, ‘মানুষ যে এত পাষাণ, আগে দেখিনি। ’ নওগাঁগামী বাসযাত্রী আফাজউদ্দিন জানালেন, যানজটে থেমে থাকা বাসে বৃষ্টির মতো ইট ও পাথর ছুড়েছেন অবরোধকারীরা।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজামেঞ্চল হক ও র‌্যাব-১২-এর অধিনায়ক জামিল আহমদ বিজিবির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আটকে পড়া গাড়িগুলো নিরাপদে বগুড়া পার করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

শেরপুরের মহিপুর বাজার এলাকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া গাড়িবহরেও পেছন দিক থেকে হামলা চালিয়েছেন অবরোধকারীরা।

সকাল নয়টা পর্যন্ত এই এলাকায় কমপক্ষে ৪০টি যানবাহন ভাঙচুরের শিকার হয়। আহত হয়েছেন নারী-পুরুষ মিলে কমপক্ষে ৫০ জন। অনেকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

বেলা তিনটার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুরের নয়মাইল এলাকায় পুলিশি পাহারা থাকা অবস্থায় আরও অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মহাসড়ক এলাকায় র‌্যাবের গাড়িবহরে ককটেল হামলা চালান অবরোধকারীরা।

বিকেল চারটার দিকে শহরের চারমাথা এলাকায় অবরোধকারীরা আরও একটি গাড়িবহর আটকে দেন। তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে সমাবেশ করতে থাকলে দেড় শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। এসব গাড়ি থেকে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের নামিয়ে দেন অবরোধকারীরা। রাত নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছিল দুর্ভোগ, দুর্যোগ। বেলা আড়াইটায় শাজাহানপুরে কথা হয় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর শ্রমজীবী মফিদুল ইসলামসহ নয়জন সদস্যের সঙ্গে।

তাঁরা ঢাকায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রোমার পরিবহনের বাসে উঠেছেন বাড়ি যাওয়ার জন্য। মফিদুল বলেন, ‘অল্পত থ্যাকি জানে বাচ্চি হামরা। বাসত বোমা মারিচে। অনেকেই জঘম হচি।

বাস থ্যাকি নামি পায়ে হাঁটি রওনা দিচি। পকেটত টেকা নাই। সারা দিন খাওন হয়নি। ’

জয়পুরহাটের তিলকপুরের ৬৫ বছরের কুলসুম বেওয়া নাতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সিলেটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাতি তাঁকে জয়পুরহাটের বাসে তুলে দিয়েছিলেন।

হামলায় পড়ে নেমে যান বগুড়ার শেরপুরে। হেঁটেই রওনা দিয়েছেন জয়পুরহাটে! বললেন, ‘বাপ, পাও আর চলোছে না। প্যাটত কিচু নাই। বুড়ি মানুষ। কীভাবে বাড়িত যামো।

একটা গাড়িঘোড়া পাওচি না। ’

স্ত্রী মরিয়ম বিবি, কন্যা ইশমত আরা, শিশুকন্যা দিনাকে নিয়ে গাইবান্ধার পুলপাঞ্জি গ্রামে ফিরছিলেন রিকশাচালক গোলজার হোসেন। এক হাজার টাকায় টিকিট কেটে উঠেছিলেন গাইবান্ধাগামী বাসে। ভোরে গাড়িতে হামলার পর শাজাহানপুরের নয়মাইল এলাকায় অন্য যাত্রীদের সঙ্গে তাঁরাও নেমে পড়েন। স্বামী-স্ত্রী পোঁটলা মাথায় নিয়ে হেঁটেই রওনা দেন গন্তব্যে।

বললেন, ‘সন্ধ্যাত ঢাকাত বাসত চড়চি। সারা রাত প্যাটত কিচু পড়েনি। পকেটত ৩০ টেকা সম্বল। ছোট মাইয়া দুডা কিচুই খায়নি। ’

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

চালক ও যাত্রীদের নির্বিচারে আহত করেছেন।

আটকে পড়া মানুষের ওপর কেন এ হামলা—জানতে চাইলে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে অবরোধ পালন করা হচ্ছে। সহানুভূতি কিংবা অনুকম্পা দেখিয়ে কোনো গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। ’

বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজামেঞ্চল হক বলেন, আটকে পড়া হাজার হাজার যাত্রীকে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে অবরোধকারীরা তাঁদের ওপরও ককটেল ছুড়ে মেরেছেন। আটকে পড়া পাঁচ শতাধিক গাড়ির মধ্যে অন্তত চার শ গাড়ি পাহারা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী বলেন, ভাঙচুর প্রতিরোধে ৫০টি রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।

বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া কয়েক হাজার যাত্রী ট্রেনের আশায় বগুড়া রেলস্টেশনে পৌঁছান। বিকেল সোয়া চারটার দিকে রংপুর এক্সপ্রেস স্টেশনে ভিড়লে হুমড়ি খেয়ে পড়েন যাত্রীরা। একপর্যায়ে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতরে ও ছাদে শুধু মানুষ আর মানুষ। স্টেশনমাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, ধারণক্ষমতার অন্তত চার গুণ যাত্রী ট্রেনটিতে উঠে পড়েছেন।

আরও শত শত যাত্রী স্টেশনে আটকা।

ঢাকা থেকে মনোনয়ন নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফেরার পথে সদ্য সাবেক দুজন মন্ত্রী ও শাসক দলের অন্তত কুড়িজন সাংসদের গাড়িবহর অবরোধকারীদের বাধার মুখে পড়ে। তাঁরা শেরপুরে দুটি রেস্তোরাঁয় ওঠেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র, মোতাহার হোসেন, নওগাঁর সাংসদ এমাজউদ্দিন, শহীদুজ্জামান সরকার, সাধন চন্দ্র, গাইবান্ধার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ফেনী-নোয়াখালী: গতকাল ভোররাত চারটার দিকে একদল অবরোধকারী ফেনী-নোয়াখালী সড়কের দাগনভূঞা উপজেলা সদরের পাশে উদরাজপুর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

এর আগে তাঁরা যাত্রীদের মারধর করেন, টাকাপয়সা, মুঠোফোন ও মালামাল লুট করেন।

দাগনভূঞা আজিজ ফাজিলপুর মোক্তার বাড়ি নামক স্থানে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং যুগীরপুল আলম মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি পিকআপও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ধানবোঝাই ট্রাক, ওষুধের গাড়িতে আগুন: শুক্রবার রাত একটার দিকে নগরের মতিহার থানা এলাকার দেওয়ানপাড়ায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আটকানো হয় ধানবোঝাই চারটি ট্রাক ও একটি ওষুধের গাড়ি। এক হাজার ২০ বস্তা ধান নিয়ে নওগাঁ থেকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহে যাচ্ছিল ট্রাকগুলো। চালকেরা জানান, মাফলারে মুখ বাঁধা একদল লোক প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি ট্রাকের চালক আজমত আলী জানান, তিনজন চালকের মুঠোফোন হামলাকারীরা কেড়ে নিয়েছে। ওষুধের গাড়ির চালক প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিসের দপ্তরে গিয়ে খবর দেন। ওই চালক ইটের আঘাতে আহতও হয়েছিলেন।

সীতাকুণ্ড: গতকাল দুপুরে সীতাকুণ্ডের বিএমএ গেট, টোব্যাকো গেট, বানুর বাজার এলাকায় তিনটি ট্রাক ও ১১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা।

তাঁদের ইটের আঘাতে অটোরিকশার চালক মো. ইয়ামিন (৩৫) ও ফরহাদ (২২) আহত হন।

চাঁদপুরে অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের পিকআপ ভ্যানসহ ছয়টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেওয়া হয় মোটরসাইকেলে। কুমিল্লায় রাত সোয়া সাতটার দিকে ট্রাকে আগুন দিয়েছেন অবরোধকারীরা।

৭২ কিলোমিটার যানজট: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর, পাকুল্যা, করটিয়া, নাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শুক্রবার বিকেল থেকেই শুরু হয় তীব্র যানজট।

গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৭২ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কে আটকে ছিল কয়েক হাজার যানবাহন। হাজার হাজার যাত্রী পড়েন দুর্ভোগে।

ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী নাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার মো. ফিরোজ মিয়া বললেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন তিনি। ভোর ছয়টার আগেই দিনাজপুরে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল সোয়া আটটায়ও তিনি মির্জাপুরেই আছেন।

ঢাকা-সিলেট: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর ও ওসমানীনগর এলাকায় অন্তত ২৫টি যাত্রীবাহী বাস আটকা পড়ে। একই এলাকায় সিলেট ট্রেড সেন্টারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে সিলেট নগরে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল আরও অন্তত ২০টি ট্রাক। পরে কদমতলী এলাকায় টহলরত বিজিবির পাঁচটি গাড়ি পাহারা দিয়ে গাড়িগুলোকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।

কাঁচামাল নিয়ে বিপাকে: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের খাড়াজোড়া এলাকায় রাস্তায় দুই পাশে সবজিভর্তি শত শত ট্রাক আটকা পড়ে। সবজি ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালকেরা ট্রাকের পাশে দাঁড়িয়ে হামলা ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। নদী পাড়ি দিয়ে আসা ও নদী পাড়ে অপেক্ষমাণ এসব গাড়ির চালক ও সহকারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সিলেট, বগুড়া ও টাঙ্গাইল অফিস এবং বগুড়ার শেরপুর, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ প্রতিনিধি। ]

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.