আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃটিশদের নির্মিত গীর্জা

কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
সৈয়দপুরে দুইটি পুরোনো গীর্জা রয়েছে। একটি ক্যাথেলিকদের অন্যটি প্রটেস্ট্যান্টদের। কয়াথেলিকদের গির্জাটী ১৮৮৬সালে প্রতিষ্ঠীত। এবং প্রটেস্ট্যান্টদেরটি ১৮৯২সালেপ্রতিষ্ঠিত।

প্রায় একই সময়ে প্রতিষ্ঠীত গীর্জা দুটির বহিরাঙ্গন প্রায় একই রকম হলেও ভেতরে দুইটি গীর্জার মাঝে পার্থক্য চোখে পরার মত। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের অধীনে সৈয়বপুরে ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানা যখন তৈরী হয় সেই সময় এই গীর্জা দুটি নির্মান করা হয়। ক্যাথেলিকদের গির্জাটি দেখলেই বুঝা যায় এটি অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল। এই গীর্জাটি তৈরীর সময় থেকেই জাকঁজমকপূর্ন। এর ভেতরের কাঠের মুরাল ও ভাষ্কর সত্যিই অনিন্দ্য সুন্দর।

এর শৈল্পিক সৌন্দর্য্য যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। অন্য দিকে প্রটেস্ট্যান্টদেরটি বেশ সাদামাটা, সাধারন। বিশপের দাড়াবার স্থান। মূল বেদী। বেথলেহেম এর গোয়াল ঘর যেখানে যিশূ জন্ম গ্রহন করেছেন।

বেদীর ডানে বিশপের বসবার স্থান। দেয়ালে কাঠের তৈরী মুরাল যা যিশূখৃষ্টের জীবনধারা বর্ননা করছে। তৃকোনাকৃতি ছিলিং। ছিলিং এ কাঠের ট্রাস। কাঠের ফ্যান; চারপাশে কারুকার্জময় কাঠের দেয়াল।

পবিত্র জলের পাত্র পাপ স্বীকারোক্তিত মঞ্ছ প্রটেস্ট্যান্টদের গীর্জা---- প্রটেস্ট্যান্টদের পাদ্রীর দাড়াবার স্থান। দেয়ালের কাঁচে আঁকা ছবি। বাশেঁর তৈরী ক্রুশবিদ্ধ যিশু। কাঠের মুরাল মাতা মেরীর কোলে ছোট্ট যিশূ। গীর্জার প্রতিষ্ঠাতা।

যীশুর ছবি। দুটি গীর্জার যা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে তা হচ্ছে কাঠের ফ্যান। এই ফ্যানের ভিতরের সমস্ত পার্টস লোহা তৈরী হলেও এর ব্লেড ও বডি সম্পুর্ন কাঠের। যা আজও সুন্দর ভাবে নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছে।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।