এক দেশে আছে অনেক ছাগল। এদের আমরা বিশেষ নামে ডাকি, ছাগু বলে। এদের আবার অনেক গুলো ছাগুবাবা রয়েছে। যেমন, কাদু ছাগুবাবা, গো-আজু ছাগুবাবা, ম্যাশিনম্যান সাদু ছাগুবাবা, সাকু ছাগুবাবা, নিজু ছাগুবাবা ইত্যাদি ইত্যাদি। সব প্রাণীর পিতা একটাই যথেষ্ট।
কিন্তু এই বিস্ময়কর প্রাজাতির পিতা অফুরন্ত। তাই নাম করে শেষ করা শুধু বৃথা চেষ্টাই নয়, কষ্টকরও বটে। এবং এদের উৎপাদিত সন্তানাদি অসীম। এই সন্তানাদি কেই বলা হয়ে থাকে ছাগু।
মজার ব্যাপার হচ্ছে যে এদেরও চার পা রয়েছে।
কিন্তু এরা বিশেষ ভেল্কিবাজির মাধ্যমে নিচের পা দুটাকে চলাফেরায় ব্যবহার করে এবং উপরের পা দুটোকে মানুষের ন্যায় হাত হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এদের ভেল্কিবাজির ক্ষমতা এতোই তীব্র যে এরা মানুষের ভাষা ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য বেশিরভাগ সময়ই ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে। কোন কোন সময় ডাকের মাত্রা এতোই তীব্র হয় যে সহ্য করাই মুস্কিল হয়ে পরে। একসাথে সাথে ভ্যাঁ ভ্যাঁ আওয়াজ করলে মানুষের মাথা না ধরে কি পারে।
কিছুদিন আগে আমার কাছে এক প্রতিষ্ঠিত ছাগু এলো। ছাগু টি বিশেষ কায়দায় উপরের পা দুটো হাতের ন্যায় নাড়িয়ে নাড়িয়ে উপরে উল্লেখিত এক ছাগুবাবা কে সুনাম করে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে লাগলো। আমার স্বাভাবিকভাবে মাথা ধরে গেল ওর ভ্যাঁ ভ্যাঁ শুনে।
আমি বললাম শুন একটা ছড়া বলি,
‘ছাগু, ছাগু, ছাগু
ফাকি তে কর হাগু
ওখানে গিয়া খাও গু। ’
আমার এহেন ছড়া শুনে ছাগুর লম্বা কান দ্বয় রাগে লাল হোল।
তার লম্বা বিশেষ মুখ খানা এগিয়ে এনে বলল,
‘ভ্যাঁ’
এর এই বিশেষ ডাক আনুধাবন পূর্বক বুঝতে পেরে বললাম, ‘রাগ করার কিছু নাই, এটা একটি বিশেষ ছড়া মাত্র। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।