মনসুর ভাই প্রতি রাতে গলির মোড়ে ঢুকবার সময় কারো না কারো সাথে তার দেখা হয়ে যায়। এরা কারা তা অবশ্য মনসুর ভাই জানেননা। চিনেননা। মনসুর ভাইয়ের চেনা জানা নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা নাই। কি দরকার চিনে? যেভাবে চলছে চলুক না।
তারা তো আর খারাপ মানুষ না। প্রতিদিন তারা একটা করে সিগারেট দেয়। কিছুক্ষন কথা বলে। নানান কথা জিজ্ঞাসা করে। মনসুর ভাইয়ের ভালোই লাগে।
সময়টা সুন্দর কাটে। মনসুর ভাই এই মুহুর্তে গলির কাছাকাছি এসে গেছেন। ঘটনা কী? আজ কাউকে দেখা যাচ্ছেনা কেন?
মনসুর ভাইয়ের খুবই সিগারেটের তৃষ্ণা পেয়েছে। এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন। কেউ কি নেই? এদিকে দোকানপাটও বন্ধ হয়ে গেছে।
মনুসর ভাইয়ের সিগারেটের তৃষ্ণা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ ডানদিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়লেন। আরিফদের বাড়ির পাশে ছোট একটা দেয়াল আছে। সেখানে সিগারেটের লাল আলো দেখা যাচ্ছে। মনসুর ভাই আনন্দে ডাক দিলেন, ভাই আছেন নাকি?
অন্ধকার থেকে কেউ একজন জবাব দিল, জ্বি মনসুর ভাই।
অন্ধকারে মনসুর ভাই যেন আলোর দেখা পান। মনসুর ভাই কাছে যেতেই লোকটি সিগারেটটা তার দিকে বাড়িয়ে দেন। মনসুর ভাই চরম তৃপ্তি নিয়ে সিগারেটে টান দিয়ে আপ্লুত হন। লোকটিকে প্রশ্ন করেন, আমাকে মনসুর ভাই বলেন কেন? কিভাবে জানেন এই এলাকায় আমাকে কেউ ভাই ছাড়া ডাকেনা? আপনি তো এই এলাকার না।
লোকটি জবাব দেয় না।
মনসুর ভাইও তা আর জানার প্রয়োজন মনে করেননা। উত্তর না দিলে না দিক। সিগারেট তো দিয়েছে। মনসুর ভাই সিগারেট টানতে টানতে ঘরের দিকে হাটা ধরেন।
২.
ঘরে ঢুকে মনসুর ভাইয়ের আরেক দফা সিগারেটের তৃষ্ণা পেয়ে বসে।
লোকটির কথা মনে পড়ে। মনসুর ভাই ভাবেন এই লোকগুলো না থাকলে কিভাবে প্রতিদিন সিগারেট পেতেন? যা দাম সিগারেটের। তার পকেটে তো টাকাও থাকেনা। মনসুর ভাই বড় একটা সাদা কাগজ নেন। মনযোগ দিয়ে একটা সিগারেট আঁকা শুরু করেন।
ভাবেন এটা তাকে গিফট করবেন। কিন্তু পরনই দমে যান। তারা তো অনেকজন। তিনি ভাবণা বাদ দেন। আঁকা সিগারেটটাতে কী ব্র্যাণ্ড দেয়া যায় তিনি সেই ভাবণায় মন দেন।
ভাবতে ভাবতে তিনি আনমনে সিগারেটে নিজের নাম বসিয়ে ফেলেন। ঘোর কাটতেই মনসুর ভাই হেসে ওঠেন, আহ! নিজের যদি একটা সিগারেটের কোম্পানী থাকতো। কী ভালোই না হতো। মনসুর ভাই ভাবতে থাকেন, নিজের কোম্পানী তিনি ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর সদ্য প্রস্তুত সিগারেট তুলে খাচ্ছেন। যা কোনও দিন ভাবেনওনি, তা আজ কল্পনায় করলেন, অর্ধেক শেষ না হতেই সিগারেট ফেলে দিচ্ছেন।
৩.
মনসুর ভাই আজ গলির মোড়ে এসে অবাক হয়ে গেলেন। একজন লোক তাকে এক প্যাকেট সিগারেট দিলেন। মনসুর ভাই শিল্পী জীবনের প্রথম দিকে এসব জিনিস নিতেন না। আত্মসন্মাণে বাধতো। এখন নেন।
তিনি একজন শিল্পী মানুষ। শিল্পীর অনেক ভক্তকুল থাকতেই পারে। তিনি প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করতে যাবেন। অমনি লোকটি বলল, মনসুর ভাই পরে ধরান। আগে চলেন একটা জায়গা থেকে ঘুরে আসি।
মনসুর ভাই নির্ধিদ্বায় রাজি হয়ে গেলেন। লোকটি তাকে এক প্যাকেট সিগারেট দিয়েছে তার সাথে তো যাওয়া যেতেই পারে। তার তো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবণাও নাই। যার পকেটে এখন তিন টাকা আছে তার আবার ক্ষতির ভয় কিসের। মনসুর ভাই বললেন, চলেন কাজ সেরে আসি।
লোকটি তাকে একটু এগিয়ে নিয়ে একটা গাড়িতে ওঠতে বললেন। মনসুর ভাই হালকা আলোয় গাড়ি দেখে অবাক হলেন। গাড়িটা কেমন যেন। তবে খুব বেশি ভাবলেন না। আজকাল পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।
এখন গাড়ি হয়তো এমনই হয়।
মনসুর ভাই গাড়িতে বসে ইশারায় লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, সিগারেট ধরানো যাবে?
লোকটি হ্যা সূচক মাথা নাড়লো। মনুসর ভাই সিগারেট ধরিয়ে টান দিতেই নড়েচড়ে বসলেন। প্যাকেট দেখছেন। কি ব্র্যাণ্ড জানার চেষ্টা করছেন।
সিগারেটে টান দিতেই যেন মাথাটা চক্কর দিল। মনে হল উড়ছেন।
৪.
মনসুর ভাই যে ঘরে বসে আছেন কিছুক্ষণ পর ঘরের কালার প্যার্টান চেঞ্জ হচ্ছে। মনসুর ভাই নির্বিকার। এমন ঘটনায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই আছেন।
তিনি কীভাবে যেন জেনে গেছেন তিনি আরেক গ্রহে এখন। তিনি গভীর মনোযোগে কালারগুলো লক্ষ্য করছেন। তবে তিনি এবার একটু ধাক্কা খেলেন এতক্ষণ তিনি দেখছিলেন ঘরটায় অনেকে আছে। কিন্তু না। কৃত্রিম হেলুসিনেশন তৈরি করে রাখা হয়েছিল।
ঘরটা আসলে খালি।
হঠাৎ মনসুর ভাইয়ের সামনে নেমে এল ক্যাথোড রশ্মির বিশাল সাইজের স্ক্রীণ। মনসুর ভাইয়ের এখানে দুঃচিন্তা হবার কথা। কিন্তু হচ্ছেনা। তিনি এক মনে দেখার চেষ্টা করছেন ঘটনা কী হয়।
স্ক্রীণে কী দেখায়? তিনি আশেপাশে রিমোট খোঁজার চেষ্টা করলেন। বাংলা কোনও চ্যানেল থাকলে দেখতে হবে।
হঠাৎ স্ক্রীনে ভেসে এল অপূর্ব সুন্দর এক মুখশ্রী। মনসুর ভাই এবার কিছুটা ভড়কে গেলেন। স্ক্রীনের মুখশ্রী কথা বলে ওঠল, হ্যাঁ মানবজাতির সন্মানিত প্রতিনিধি।
স্বাগতম আমাদের ভূবণে। চমৎকার বাহ্যিক গঠন আপনাদের করেছে নান্দনিক। আমাদের চেয়ে তিন মাত্রা উপরে। আপনি একজন সুস্থ সবল মানুষ হিসেবে সফলভাবে পরীক্ষিত।
আপনাকে আমাদের পরিচয়টা দিয়ে নিই।
মহাকাশ বলয় সম্পর্কে তো আপনার নিশ্চয় ধারণা আছে?
মনসুর ভাই না সূচক মাথা নাড়লেন, আমার কোনও আগ্রহও নেই।
তারা তাদের পরিচয় দেয়া শুরু করলো। বলল, পৃথিবী থেকে ...
মনসুর ভাই মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বললেন, পৃথিবীর কোন কিছুতেই আমাদের আগ্রহ নাই।
সুন্দর মুখশ্রীটি এবার মনসুর ভাইকে বলল, এটা পৃথিবী না মনসুর ভাই।
মনসুর ভাই কিছুটা যেন লজ্জা পেলেন।
তারা হয়তো অনুভুতি মতা রাখে না। লজ্জা পাবার বিষয়টা তারা ধরতে পারলনা। কোন বিরতী ছাড়া আবার কথা শুরু করল, একথা বলার আগে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, আপনি হয়তো জানেননা, আপনি একটা দীর্ঘ একটা সময় ধরে আমাদের নজরে থাকা মানুষ।
মনসুর ভাই অবাক হয়ে মুখশ্রীটির দিকে তাকালেন এবং আরো অবাক হলেন।
মুখটা আগের না। এতোন একটা মুখ কথা বলল এখন আবার আরেকজন।
মুখটি বলেই যাচ্ছে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীতে এমন মানুষের সন্ধান করেছি। মানবিক অনেক বৈশিষ্ট যার মধ্যে অতি মাত্রায় কাজ করে না। যার নিউরণ সেল কম ব্যবহৃত হয়।
এবং অবশ্যই সে একজন আর্টিস্ট হবে। প্রিয় মনসুর ভাই আপনাকে আমাদের এখানে খুব বেশি সময় অবস্থান করতে হবেনা। আপনার সাথে আমাদের একটা মাত্র কাজ আছে।
মনসুর ভাই বললেন, কাজ?
মুখটি যান্ত্রিকভাবে বলল, হ্যাঁ কাজ। আপনার পক্ষে যে কাজ সম্ভব সে ধরণের কাজই।
আঁকাআঁকি।
মনসুর ভাই সশব্দে হেসে বললেন, আঁকাআঁকি? আপনারা পৃথিবী জুড়ে আর কোনও শিল্পী পেলেন না?
মনুসর ভাই ভেবেছিলেন কথাটা শুনে মুখটি রেগে যেতে পারে। কিন্তু তা হলনা। যা হলো স্ক্রীণের মুখটি আবার পাল্টে গেল। মনসুর এই বিষয়টা নিয়ে কিছুটা বলতে যাবার আগে মুখটি বলল, পৃথিবীতে অনেক শিল্পী আছে মনসুর ভাই কিন্তু আমাদের সব শর্ত কেবল আপনিই পূরণ করেছেন।
আপনার অনেক বৈশিষ্ট অব্যবহৃত থাকে। আপনার মধ্যে চাওয়া পাওয়ার পরিমান খুবই কম। লোভ নেই। ইর্ষা পরায়নতা নেই। আমরা এসব মানবিক বিষয়ের সাথে পরিচিত না থাকলেও জেনেছি এসব কারণে মস্তিস্কের নিউরন সেল ব্যস্ত থাকে বেশি।
মানুষের অনেক সৃজনশীল কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। কারণ আপনাকে এখানে আনা হয়েছে একটা সৃজনশীল কাজের জন্যই।
মনসুর ভাই কিছুটা রেগে গেলেন, সৃজনশীল কাজ? আমাকে দিয়ে? তাও আমাকে না জিজ্ঞাসা করেই? কি কাজ?
আঁকাআঁকি।
মনসুর ভাই আরেক দফা রেগে গেলেন। আমি বাজারী শিল্পী না যে বললেই এঁকে দেবো।
মনসুর ভাই তার শিল্পসাধণা নিয়ে ভিন্ন একটি গ্রহের এই আচরণে খুবই বিরক্ত। মনসুর ভাই সহজে রাগেননা। কিন্তু এখন তিনি ক্রোধে ফেটে পড়ছেন। তিনি স্ত্রীণের মুখটি দিকে তাকালেন এবং তার ক্রোধ সমান মাত্রায় বিস্ময়ে পাল্টে গেল। তিনি এবার প্রশ্নটা করেই ফেললেন, আপনারা কী আমার সাথে ইয়ার্কী করছেন? একজন কথা বললে কী হয়? একেকবার একেজন আসছেন কেন?
স্ক্রীনের নতুন মুখটি বলল, মনসুর সাহেব আপনি উত্তেজিত।
আপনার নার্ভ পঞ্চম মাত্রায় উঠে গেছে। হৃৎপিণ্ডের গতি অস্বাভাবিকভাবে চলমান। এই সময় আপনি কোনও কিছু শুনে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবেননা।
মনসুর ভাই বললেন, না পারবো। বলেন।
স্ক্রীনের মুখটি বলল, না আপনাকে এখন এন্ট্রি সিপ্লিং প্রক্রিয়ায় ঘুমাতে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনার ঘরটির বাতাসে সেই ক্যামিক্যাল ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আপনি ঘুমানোর পর আপনাকে ইনফরমেশন লিংকিং মেশিনের মাধ্যমে সকল তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।
৫.
মনসুর ভাই একটা বিশাল রুমের মধ্যে বসে গত ৭২ ঘন্টা যাবৎ গ্রহের প্রধান ব্যাক্তি এক্সটি০১-এর ছবি আঁকছেন। ৭২ ঘন্টায় তিনি প্রায় আটত্রিশটার মত ছবি একেছেন গ্রহের প্রধাণ ব্যাক্তির চেহারার।
মাঝে মাঝে তার সাথে কথাও বলছেন, আপনার ২৩ ঘন্টা আগের ছবিটা ভালো ছিল। ৪৯ ঘন্টারটাও।
মনসুর ভাই ঘটনায় অবাক হচ্ছেননা এখন। কারণ, ঘুমের মধ্যে তার নিউরন সেলে দেয়া ইনফরমেশনে জেনে গেছেন এই গ্রহের প্রাণীদের একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট আছে। কিছুক্ষন পরপর তাদের চেহারা পাল্টে যায়।
যে কারণে মনসুর ভাইকে নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রহের প্রধান ব্যাক্তি এক্সটি০১ এর ইচ্ছা তার আগের চেহারাগুলো কেমন ছিল তা সংরক্ষন করবেন। মনসুর ভাই অবশ্য জানতে চেয়েছিলেন, ক্যমেরা দিয়ে ছবি তোলেননা কেন? মনসুর ভাইকে জানানো হয়েছে, আমরা আসলে বিশেষ এক রশ্মির সাহায্যে তৈরি। ক্যামেরা আমাদের অবয়ব ধারণ করতে পারেনা।
মনসুর ভাই আর প্রশ্ন করেননা।
একমনে এক্সটি০১ এর নানান অবয়বের চিত্র এঁকে চলেছেন আর অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছেন। বারবার চেহারা পাল্টে যাওয়ায় তিনি স্ক্রীনের ওই লোকটার সাথে কী বাজে ব্যবহারই করেছেন। তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু কিভাবে যে পাবেন? তার তো কোড নাম্বার জানা নেই। মনসুর ভাইয়ের প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে।
মনসুর ভাই এই ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বুঝতে পারছেন, তার ঘরে বিশেষ ক্যামিক্যাল ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
৬.
মনসুর ভাই ঘুম থেকে ওঠে জানলেন আজ তাতে পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো হবে। গ্রহের প্রধান ব্যাক্তি এক্সটি০১ তার কাজে খুশি।
সন্ধ্যা নাগাদ মনসুর ভাই মহল্লার গলিটাতেই নামেন। নেমে একটা সিগারেট ধরান।
বিদায় জানান পৌছে দিতে আসা প্রাণীটিকে।
বিদায় নেবার সময় প্রাণীটি মনসুর ভাইকে বলল, সরি। আমাদের গ্রহের আবহাওয়াটা একটু অন্যরকম। কোন সমস্যা হলে গ্রহের প্রধান এক্সটি০১ সহ সকলের পক্ষ থেকে আমাদের দুঃখিত। আমাদের যেহেতু কোনও অনুভুতি শক্তি নেই তাই হয়তো শুধু মুখে বলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
দুঃখবোধ থাকলে হয়তো আপনার যে কোন তির জন্য অনেক কিছুই করা যেত। মনসুর ভাই তার কথার আগা-মাথা কিছুই বুঝলেননা। ভাবলেন বিনয় দেখাবেন। আবার মত পাল্টালেন, দুর। তারা অনুভুতিহীন, বিনয় দেখিয়ে কী হবে?
তাকে নিচে রেখে চলে যায় বাহনটি।
মনসুর ভাই খুব ধীরে তার ঘরে ঢোকেন।
আয়নার সামনে দিয়ে হেটে যেতেই অবাক হন। আয়না পাশ কাটিয়ে দু পা এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে আসেন। আয়নার বরাবর এসে দাঁড়ান। তার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেননা ঘটনাটা।
মনসুর ভাইয়ের শরীর বেয়ে ঘাম পড়ছে । মনসুর ভাই হাটু গেড়ে বসে পড়েন, একি! তার চেহারাটাও পাল্টে গেছে।
মনসুর ভাই বিছানায় শুয়ে পড়লেন। অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে তার। এটা কী হল।
এটা কী হয়ে গেল?
সারারাত ঘুমাতে পারলেননা মনসুর ভাই।
৮.
মনসুর ভাইয়ের মন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সকালে নাস্তাও খেতে পারেননি। সেই ভোর থেকে তিনি ক্যানভাস নিয়ে বসে আছেন।
আঁকতে চেষ্টা করছেন তার আগের চেহারাটা কেমন ছিল।
(গল্পটি কিছুটা সায়েন্স ফিকশন আদলে লেখা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।