আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় টিকিট! হায় বিসিবি!



উপরের ছবিটা দেখুন! এরা কোনো সন্ত্রাসী না। কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাডারও না। দলবাজি করতে কোনো মিছিল সমাবেশে যায়নি এরা। তবু এরা পুলিশের পিটুনী খাচ্ছে। কারণ একটাই , ওরা ক্রিকেট ভালোবাসে।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তাই ওরা এসেছিল বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে। বিনিময়ে পুলিশের লাঠির বাড়ি উপহার হিসেবে পেল। আজ সারা দেশের ৮০টি বুথে (সিটি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক) টিকিট ছাড়া হয়েছে। কিন্তু টিকিট নিয়ে উত্তেজনা ছিল কাল দুপুর থেকেই।

কাল ছিল আমার ডে অফ। মানে ছুটি। সন্ধ্যার সময় আমার এক সোর্স জানালেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ধ্যার পর থেকে লোকের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে ওই ভদ্রলোকের দোকান, ভয় পাচ্ছেন ভাঙচুর হয় কি না। রাতেই অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমার এসাইনম্যান্ট মিরপুর বুথে।

বাসা মিরপুর হওয়ার এই এক জ্বালা! কি আর করা সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ১ নম্বর বুথে এলাম। সাড়ে নয়টা, ১০টা হবে তখন। এসে দেখি আরো দুই একজন সাংবাদিক হাজির। প্রথমে বোঝার চেষ্টা করলাম কি অবস্থা। নিজেও হাজার দুয়েক টাকা নিয়ে এসেছিলাম যদি পাওয়া যায় টিকিট।

কিন্তু নিজের কথা বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে ভাবছিলাম। অনেক লোকের সঙ্গে কথা বললাম। কেউ কাল দুপুরে এসেছে। কেউ রাতে। কারোর বাবা-মা রাতে এসে খাবার দিয়ে গেছে ছেলের।

কেউ সারারাত কার্ড খেলেছে। সকালে অনেক কষ্টে দেখা গেল একজন গেটের কাছে পৌছাল। অমনি পেছন থেকে হুড়মুড়িয়ে ধাক্কা । ব্যস। শুরু হয়ে গেল পুলিশের মারপিট।

জঘন্য এই পুলিশগুলা। টিকিট নিয়ে ধুম্রজাল চলছেই। কতগুলা টিকিট বিক্রি হল সেটাও তারা জানাচ্ছেনা। ১৫ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৫ হাজার টিকিট! এখানে সাইবার দুর্নীতি হচ্ছে। সচেতন হোন, না হলে টিকিট নিয়ে দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়ে যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।