এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।
ভারতীয় বাঙালিরা ফ্রান্সে গিয়ে যেভাবে ‘বাংলাদেশী’ হচ্ছে
- অশোক দেব একজন ভারতীয় (কলকাতার) বাঙালি। নানা বাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে সে ফ্রান্সে এসেছে। এখানে থাকতে হলে সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে, তাকে ফ্রান্স সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে হবে। কিন্তু ভারতীয় কারো বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সোজা নয়, এ জন্য বাংলাদেশী সেজেছে অশোক।
সে বলেছে, বাংলাদেশের অমুক জেলা, উপজেলা ও গ্রামের (-) ড্যাসের সন্তান। অমুক অমুক ... কারণে সে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
কিন্তু বাস্তব হলো, কখনো সে বাংলাদেশে পা-ই রাখেনি। তার এ মিথ্যা রাজনৈতিক গল্পকে ‘সত্যে’ রূপ দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার, দুঃখজনক হলেও তার সবই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে করতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশেরই অর্থলোভী একশ্রেণীর দালাল এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের অসাধু কিছু কর্মকর্তা।
এখানকার আদালতে (রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের) বাংলা অনুবাদকের কাজ করে অনেক ভারতীয় বাঙালি।
তাদের কাছ থেকেও বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে অশোকরা। তাই তারা সহজেই ‘বাংলাদেশী’ হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েও যায়। এ রকম হাজার হাজার ‘অশোক দেব’ ভারত থেকে ফ্রান্সে এসে ‘বাংলাদেশী’ হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিচ্ছে। পাশাপাশি অনেক পাকিস্তানিও নিজেকে ‘বাংলাদেশের বিহারি’ পরিচয় দিয়ে একই অপকর্ম করছে।
ভারতীয়দের অপকর্ম ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ বাংলাদেশীরা আন্দোলন পর্যন্ত করেছেন।
কিছু দিন আগে ‘বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটি ফ্রান্স’ এ নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট কোটা রয়েছে, যা ভারতীয়দের নেই। তা-ই তারা নানা কূটকৌশল অবলম্বন করে ‘বাংলাদেশী’ পরিচয় দিয়ে কাজ হাসিল করে।
এরা তাদের আর্জিতে এমন কিছু বর্ণনা দেয়, যা প্রকাশ করতেও রুচিতে বাধে।
যেমন অশোক দেব বলেছে, মেয়ে নয়; তার মতো অন্য এক ছেলেকে সে বিয়ে করতে চেয়েছে। তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত করেছে। এটা সমাজ জেনে ফেলায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী তার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
অদিত নামে এক ভারতীয় হিন্দু তার আবেদনে লিখেছে; তার সামনে তার মা ও ১৪ বছরের বোনকে সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করেছে। এরপর কিভাবে সে তাদের এ মুখ দেখায়? আইন আদালত করে কোনো বিচার তো পায়ইনি, উল্টো তার জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় বাধ্য হয়ে সে দেশ ত্যাগ করেছে।
আমাদের বক্তব্য, উন্মুক্ত তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে এমন কোনো ঘটনার সাক্ষ্য কি কেউ দিতে পারবে; যা বাংলাদেশে ঘটেছে? কিন্তু ভারতে অসংখ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে। প্রকৃত বাংলাদেশী সংখ্যালঘুরা এরকম মিথ্যা বর্ণনা লিখতে পারে না বিধায় তাদের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশী হিন্দু, খ্রিষ্টান বা অন্য ধর্মাবলম্বী বলে বিশ্বাসই করতে চায় না। এ জন্য বাংলাদেশী অনেক মুসলমানও সংখ্যালঘু সেজে এ রকম ঘটনা লিখে সুবিধা পাচ্ছেন। কাগজে-কলমে তারা সংখ্যালঘু, কিন্তু এমনিতে ‘পাক্কা মুসলমান’।
তাদের অনেকে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পর অফিসিয়ালি নতুন রূপে ধর্ম গ্রহণ করে ‘মুসলমান’ হয়। অনেকে অফিসিয়ালি সেভাই থেকে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।