আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউঃ রান লোলা রান(১৯৯৮)

seremos como el Che
আপনারা যারা মোটামুটি মুভির ব্যাপারে ধারণা রাখেন তারা সবাই ‘পারফিউমঃ দ্যা স্টোরি অফ এ মার্ডারার’ অথবা গতবছরের মুভি ‘দ্যা ইন্টারন্যাশনাল’ এর নাম শুনেছেন এবং দেখেছেন। কিন্তু বলতে পারবেন কি এর ডিরেক্টরের নামটা কি? তার নাম টম টাইকোয়্যার, একজন জার্মান ডিরেক্টর। ১৯৯০ সালের তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে যখন তিনি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেন এবং একই সাথে পড়েন অর্থকষ্টে। তিনি জানতেন যে তাকে একটি অনেক ভাল মুভি তৈরী করতে হবে টিকে থাকতে হলে।

এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার হাতে তৈরী হয় ‘লোলা রেন্‌টস’(জার্মান) যার ইংরেজী তর্জমা দাঁড়ায় ‘রান লোলা রান’। এটা হয়ে ওঠে ১৯৯৮ সালের সফমতম জার্মান মুভি এবং টম টাইকোয়্যারকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি। এই মুভিটি প্রথমেই মনে করিয়ে দেয় ক্রিস্তফ কিয়েসলোস্কির ১৯৮১ সালের পোলিশ মুভি ‘ব্লাইন্ড চান্স’ এর কথা। ফিল্মিং কনসেপ্টে এই দু’টি মুভির অনেক মিল। মুভিটির কাহিনী পুরোটুকুই লোলা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে।

মাত্র ৭৬ মিনিটের এই মুভিটির প্রতিটি মূহুর্তই টানটান উত্তেজনার। মুভির শুরুতেই লোলার বয়ফ্রেন্ড, মানির ফোন আসে। লোলাকে সে বলে যে, সে ভুল করে তার বসের অনেক অর্থ হারিয়ে ফেলেছে। সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিতে পারলে তারা মেরে ফেলবে মানিকে। অদ্ভুত একটি অবস্থায় পড়ে যায় লোলা।

হাতে আছে ২০ মিনিট, জোগাড় করতে হবে ১,০০,০০০ জার্মান মার্ক। মানি পরিকল্পনা করে একটি সুপার মার্কেট লুট করার, কিন্তু লোলা নিষেধ করে। মানি বলে লোলা যদি ঠিক ২০ মিনিটের মধ্যে না পৌঁছায় তাহলে সে সুপার মার্কেটে ঢুকবে। ক্রেডিট শেষ হয়ে যাওয়ায় কেটে যায় লাইন। এখান থেকে মুভিটি ভাগ হয়ে যায় তিনটি ভাগে।

শুরু হয় লোলার দৌড়। এই একই অবস্থা থেকে লোলা দৌড় শুরু করে মোট তিনবার। প্রতিবার বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। একইভাবে প্রতিটি দৌড়ের ফলাফলও বিভিন্ন হতে থাকে। প্রতিটি দৌড়ের শেষে সেটার ফলাফলের সাথে সম্পর্কিত মানি এবং লোলার কিছু একান্ত কথোপকথন দেখান হয়।

সেখান থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেই দৌড়ের ফলাফলের সাথে এই দু’জনের জীবনের পরিবর্তন। এছাড়াও দৌড়ের সময় লোলা যাদের সংস্পর্শে আসে, প্রতিবার দৌড়ের সাথে তাদের ভবিষ্যত জীবনও কিভাবে পরিবর্তিত হয় সেটাও দেখার মত। মুভিটির ভাষা জার্মান। লোলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রাঙ্কা পোটেন্টি(বর্ন সিরিজ, চে’ পার্ট টু)। মানি চরিত্রে আছেন মরিটজ ব্লেইবট্রিউ।

এম্পায়ার ম্যাগাজিনের ‘বিশ্বের ১০০ শ্রেষ্ঠ ফিল্ম’ এর তালিকায় এই মুভিটি ছিল ৮৬ নম্বরে। আশা করি যারা ভাল মুভি দেখতে পছন্দ করেন তারা কেউ এটা দেখে নিরাশ হবেন না। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে । ২৭শে ডিসেম্বর, ২০১০, খুলনা।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.